লেবেল

সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০

অঙ্কুরীশা-র পাতায় প্রকাশিত অন্য ক্যানভাস-এর দুই বাংলার অনলাইন গল্প উৎসব"স্বল্প কথার গল্প"।পর্ব-১০

 

অঙ্কুরীশা-র পাতায় অন্য ক্যানভাসএর     ২০বছর উদযাপনের বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে চলছে দুই বাংলার অনলাইন গল্প উৎসব~"স্বল্প কথার গল্প'"।উদ্বোধক হিসেবে পেয়েছি স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক সম্মাননীয় তপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে। বিশেষ অতিথি গল্পকার হিসেবে পেয়েছি সম্মাননীয়া মৌ মধুবন্তী এবং সপ্তদ্বীপা অধিকারী কে।আজ উৎসবের ১০ম দিনে আছেন এই বাংলার দুই বিশিষ্ট গল্পকার~ সৌমিত বসু এবং অমৃতা খেটো। আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ। উৎসব টি উপভোগ করুন। আপনাদের লাইক ও কমেন্ট এ আমাদের এই চলার পথ সুদৃঢ় হোক,এই আশা রাখি

                                 


              

 শুভেচ্ছান্তে--

  সিদ্ধার্থ সাঁতরা                      

সভাপতি,উৎসব কমিটি।

  বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়,

 সম্পা,অন্য ক্যানভাস।

  যুগ্ম আহ্বায়ক: মিতালী ত্রিপাঠী ও রীতা বেরা।




সৌমিত বসু

মেঘদুটো অসুখ পেরোলো


একটা মানুষ হেঁটে চলেছে 

আকাশের দিকে

তার পেছনে পেছনে সমস্ত পৃথিবী গাছপালা থেকে বের হয়ে আসছে।

কান্নার মতো রোদ ভোরগুলো ঝুলি থেকে বের করে আনছে পোকামাকড়।রাতের পর রাত গেঁথে তৈরি করা বাড়িগুলো

হাত বাড়িয়ে মুখের মধ্যে পুরে নিচ্ছে ঝাঁক ঝাঁক পাখি।

একটা মানুষ ক্রমাগত একা হতে হতে নদীর তীরে এসে দাঁড়িয়েছে।সম্পর্কের নদী।ওপারে দাঁড়িয়ে তুমি মেপে নিচ্ছ জমিজিরেত দুহাতে আপ্রাণ রিফু করে চলেছ।ফুটো ফাটা

পুরোনো রাতগুলো খুঁজে খুঁজে এনে সাজিয়ে তুলছো তাকে

যে মেঘ একদিন বাষ্প হয়ে নেমে এসেছিলো তোমার চোখে

যে চোখ দিয়ে তুমি নিজের মতো 

বানিয়ে নিতে সাঁকো

যে সাঁকো ধরে একদিন তোমার কাছে পৌঁছে যাবে অঝোর শ্রাবণ।তুমি ভিজবে, আর চোখ থেকে গলে গলে মুদ্রাগুলি নেচে উঠবে ছাদে, আকাশে,গ্রহতারকায় একটি নিঃস্ব মানুষের আঙুলগুলো সম্বল করে।তুমিও মিলিয়ে যাবে ভোরের বাতাসে।চারিদিকে অজস্র গন্ধ।শুঁকে শুঁকে এগিয়ে চলেছে দুটি প্রাণ।মানুষ চিনতে চিনতে এগিয়ে চলেছে মরাবিকেলের দিকে,সন্ধ্যা নামার আগেই তারা পূর্ণ হবে নাগাল এড়িয়ে।



অমৃতা খেটো  

রূপ ও রস


রূপবতী নারী কৈকসী প্রথম সন্তানের জন্ম দিলেন। ভয়ঙ্কর তার  চেহারা... তুঁতের মত গায়ের রঙ, দশটা মাথা, কুড়িটা হাত। নাম হল

দশানন ওরফে রাবণ।মহাদেব ও ব্রম্ভার  তপস্যা করে দারুণ দারুণ বরলাভ করলেন।

      একবার রাজা মরুত্ত দেবতাদের সাথে যজ্ঞ করছিলেন।রাবণ সদর্পে যজ্ঞস্থলে এলেন। রাবণকে দেখে দেবতারা ভয়ে ঘেমে নেয়ে অস্থির।বুদ্ধি করে তারা পশুপাখির রূপ ধারণ করলেন। কুবের রাবণের সৎদাদা, ঐশ্বর্যের খনি।রাবণ তাকে নিধন করার প্রচেষ্টায় ছিল। কুবের গিরগিটির, যম কাকের, বরুণ হাঁসের, ইন্দ্র ময়ূরের রুপধারণ করলেন।

       রাবণ ঋষিদের খেয়ে চলে গেল। দেবতারা নিজের রুপধারণ করলেন।কুবের গিরগিটিকে বড় দিলেন, –"সোনার মত বর্ণ হবে তোমার।"

বরুণ হাঁসকে দিলেন ধবধবে সাদা রং।ইন্দ্র ময়ূরকে বললেন, "তোমাকে সাপ ভয় পাবে।"

যম কাককে বললেন," তোমার গায়ের রং কুচকুচে কালো হবে, মানুষ মারলে তোমার মৃত্যু হবে।"









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন