সুবীর ঘোষ
দুঃসময়
কোথাও বরণ নেই, চারপাশে আগুনের নদী ।
বিশ্বাসের ছায়া কই পথশ্রমে আঁধার মাটিতে !
সবাই বিভ্রান্ত করে ; হিসেবের ভুল পেশ করে ;
পেশার জীবন ছেড়ে দুঃসময় নড়ানো দুষ্কর ।
ক্রমাগত শুকোচ্ছে জীবন ;
ঘামে ভেজা জামা যেন শুকোনো চাটাই ;
নিক্তিতে কোনোদিনই মাপা যায় না নাম ;
দেশকাল লোকাচার পাষন্ড খেয়েছে ।
নিম্নে উতলা খুব ধরণীর তল ।
মোহ কাটে আঁশবটি । চন্দ্রালোকে আহত শ্মশান ।
বৈধব্য কী স্বরান্তর বোঝে ?
হয়তো উত্তরে তাই দস্যুতার মেঘ ।
শব্দসাক্ষর
শুধু বোঝো কী করে তৈরি হয়
দু’ পথের মাঝে এই অন্ধকার ।
এই অন্ধকার ভালো , যতক্ষন শোনা যায়
দূর থেকে মানুষের শব্দসাক্ষর ।
মানুষ কী মানুষের সব কথা বোঝে !
শুধু বিন্দু দিয়ে তৈরি নয় আকাশের আলো
মানুষের শব্দ ও স্বাক্ষর জানতে গেলে
স্পন্দনের খোঁজ নিতে হয় ।
সত্যের আকাশে মেঘ
তা হলে নিবিড় করে আলো দাও যাতে
গোপন জীবেরা এসে সমর্পণ করে ।
কাছে নয় মাঝে নয় খুব দূরে চোখ ফেল
অদৃশ্য কাজের ঝাঁকা উন্মোচিত হবে ।
মদত দিও না অকারণে
ঔদার্যে ভালোও বেসো না
সম্ভাষণ পেতে হলে
ঘরদুয়ারে বিনতি টাঙাবে ।
যমদূত যে ভাবে ভাবুক ;
সত্যের আকাশে মেঘ
চিরস্থায়ী পাট্টা পাবে না ;
শরীরে নিবিড় হও , আলো দাও
গোপন চক্রগুলো ভেঙে ফেটে যাক ।
বিবাহবেলা দীর্ঘনালা
অনিচ্ছুক চানের ঘরে একবার অন্তত
সুড়ুৎ করে পালিয়ে এসো মুনিয়াপাখির মতো ।
পায়ের কাছে বাধা যেমন মাথার ওপর ছাদ ;
সঙ্গী পোশাক নিজের থেকে কখন কর বাদ ?
এমন ধাঁধার অলিগলি খুঁজি কেমন করে ?
পুজোর সাজি কোথায় রাখি ঋজু স্বয়ম্বরে !
বিবাহবেলা দীর্ঘনালায় হলুদ হলুদ ছিটে
চানের ঘরে খুলে রেখেছো ভদ্রাসন ভিটে ।
অপ্রকাশিত গদ্য ও পদ্য পাঠান
অভিমত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
দারুণ উপস্থাপনা। ধন্যবাদ ।
উত্তরমুছুনসুন্দর
উত্তরমুছুন