৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কবিতা সংখ্যা
সকলের হাতে স্বাধিকারের চিঠি
বিকাশ চন্দ
আজও পথের সাথে জেগে ওঠে শস্যের মাঠ
আশ্চর্য আকাশে ছড়িয়েছে সকালে গৈরিক নীলের আকাশ
কতবার ভেবেছি বদলে নেবার কথা
বারে বারে জড়িয়ে ধরে ছেঁড়া পোশাকের বনেদিআনা
স্বাধিকারের আওয়াজে ছন্দ মেলাতে গেলে
সাদা পোশাকে ছুঁড়ে রক্তের রঙ ছুঁড়ে কেউ কেউ তামাশা দেখে
শহীদ মিনারের তলায় হিসেব মেলায় তরুণ প্রজন্মের তর্পণ
নিরাপদে ঘরে ফেরার ইচ্ছেয় আকাশ জুড়ে ফেরারি পাখি
পরিযায়ী সেই সব তরূণদের শ্বাসের হাপরে দোলে বুকের পাঁজর
বাহবার মতো চেনা গোলাপের পাঁপড়ি ওড়ালে আকাশে
বিষের বাতাস মাখে ঘরে ফেরা সুখ খোঁজা মানুষ
খোলা দরজায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় অভ্যর্থনার অজস্র ভেজা চোখ
কড়া নেড়ে ফিরে গৃহী প্রজাদের চেনা আকাশের লাল চাঁদ
গতকাল ও রাত্রির স্বপ্নে ডেকেছিল প্রজার উৎসবে
এ সময়ের জ্বলে উঠছে মন্দাক্রান্তা স্বাধীন জ্যোতির্ময় শিখা
প্রতিটি উঠোনে ছড়ানো গোলাপের পাঁপড়ি সরে গেলে
হয়তো উঠে আসবে সকলের হাতে স্বাধীকারের চিঠি
উঠে আসবে তো....
নিজস্ব প্রচ্ছদের প্রতি
বিকাশ ভট্টাচার্য
নিজস্ব ব'লে আমাদের কতটুকুই বা আছে
একটা দশ বাই দশ কি আরেকটু বড়ো চুনওঠা ঘর
বেআব্রু অন্দর, বারোয়ারি লম্বা করিডোরে
দৃষ্টিসুখের জন্যে আছে পর্দার ফাঁক আর
নিরীহ ঘুঘুর মতো নির্জন ডাকের কাঙাল একটা বুক
কান পেতে রাখবার মতো এক আধটা ভাঙাচোরা দুপুর
সেইসব সুসমঞ্জস দিন আর সময়ের অন্তর্গত নয় ব'লে
এখনও পা বাড়িয়ে রয়েছেন এলো গায়ে জাতির জনক
কোথায় হেঁটে যাচ্ছেন তিনি? কতদূর যাবেন
মাথা নিচু করে? মৃতবৎ চেতনার কাছে?
কে আর হ'তে চায় স্বাদেশিক দোসর নিজস্ব প্রচ্ছদে?
করতল নম্র হয়ে বসে বুকের উপরে
আমাদের গল্পের রাজাপ্রজা দেবদেবী কিংবা সুরাসুর
পণ্ডিত-মূর্খ, এমনকি যাবতীয় জ্ঞানী এবং ধুর
সকলেই আধল্যাংটা স্বল্পবাস; তবু
নিজস্ব প্রচ্ছদে আমাদের সম্ভ্রম জাগে ব'লে
নগ্নতার লোকরুচিতে আমাদের বিকল্প নেই।
আমি ভাতৃত্বের পৃথিবী দেখতে আমি
সেন্টু রঞ্জন চক্রবর্তী
একবার যদি জ্বলে উঠতে পারি
তবে-
সবকিছু ছাই করে দেবো
এখন
বিধ্বংসী চিন্তা আমার মনে,
যে হাতে ঈশ্বর বন্দনা করতাম
সে হাতে তুলে নিয়েছি
ধ্বংসযজ্ঞের আগুন।
আমি এখন
পাগলা অশ্বারোহী
সুভাষের সংকেত পেয়েছি সম্প্রতি
বুকে মুক্তির অভিমূখ,
আগুন নিয়ে বীভৎস স্বপ্ন আমার দু'চোখে
আমি আগুন জ্বালবোই
আমি সকল শোষণের আতুরঘরের কালো ধুয়া দেখতে চাই।
অভুক্ত শিশুর কান্না
আমার হৃদয়ে কুঠারাঘাত করে
সম্ভ্রম হারা মায়ের নীরব অশ্রুপাত
আমাকে কষ্ট দেয়,
শ্রমিকের হাড্ডিসার দেহ দেখে আমি বিব্রত
কিষানীর ভেজা আঁচল স্পর্শে আমি
রুদ্র রুক্ষ ও আপোষহীন হয়ে গেছি।
আমি জ্বলে উঠবোই
আমি ধূসরিত পৃথিবীতে আরেক সভ্যতার
আকাশ দেখতে চাই,
আমি মানুষের বন্দনায়
নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই
আমি ভাতৃত্বের পৃথিবী দেখতে চাই।
প্রজাতন্ত্র
জীবন সরখেল
হাতে হাত রেখে উত্তাল সমুদ্রের বুকেও এঁকে দেওয়া যায় নিপুণ সাহসের বাঁধ!
চারহাজার পাউন্ডের হিংস্র চোয়ালও সম্মিলিত শক্তির কাছে মানতে বাধ্য হয় পরাভব...
সমাজ বিবর্তনের ধারায় সুরক্ষার ক্রম পর্যায় সারণীতে উনিশশো পঞ্চাশের ছাব্বিশে জানুয়ারি তারিখ ভারতের বুকে এল ঐতিহাসিক সেই বিশেষ দিন!
নানা ভাষা সংস্কৃতির অদ্ভুত মিলন ক্ষেত্র পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ ভারতের সকল নাগরিকদের জীবনচর্যার স্বীকৃতিতে
মানুষের জন্য মানুষের দ্বারা মানুষের অধিকার সুরক্ষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি লাভের এক মহতী শুভদিন....
বছরের পর বছর ধরে সুস্থ রীতি নীতি ঐতিহ্যের অমলিন ধারা বজায় রেখে ভারত আদায় করে নিয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সম্ভ্রম,মর্যাদা ও স্বীকৃতি;
উন্নত বিশ্ব বিস্ময় অভিভূত হয়ে ব্যতিক্রমী সার্বভৌম প্রকৃত গণ-প্রজাতান্ত্রিক ধর্ম-নিরপেক্ষ রাষ্ট্রকে তাই আজ নতমস্তকে জানাচ্ছে কুর্নিশ.....
স্বাধীনতা মানে
জয়শ্রী সরকার
স্বাধীনতা মানে বনসাই নয়, স্বাধীনতা হ'লো মাটিতে শিকড়
স্বাধীনতা মানে সমারোহ নয়, স্বাধীনতা হ'লো চেতনা মুখর !
স্বাধীনতা মানে হানাহানি নয়, স্বাধীনতা হ'লো মানবতাবাদ
স্বাধীনতা মানে বেপরোয়া নয়, স্বাধীনতা হ'লো ঘোষিত জেহাদ !
কন্ঠরোধটা স্বাধীনতা নয়, যাপনে থাকবে বাক স্বাধীনতা
স্বাধীনতা আর অধিকার বোধে থাকবে না কোনো আবিলতা !
মূল্যবৃদ্ধি স্বাধীনতা নয়, স্বাধীনতা হলো সহজে বাঁচা
স্বেচ্ছাচারিতা নয় স্বাধীনতা, স্বাধীনতা হলো ন্যায়ের খাঁচা !
স্বাধীনতা মানে সাততারা নয়, স্বাধীনতা হলো ভাতের গন্ধ
স্বাধীনতা মানে ছেঁড়া পাল নয়, স্বাধীনতা হলো জীবন-ছন্দ !
স্বাধীনতা মানে স্কুল বাড়ি নয়, স্বাধীনতা হলো শিক্ষাদান
স্বাধীনতা মানে মনে বরাভয়, দীক্ষাগুরুর আসল মান !
শুধু তেরঙ্গা স্বাধীনতা নয়, স্বাধীনতা হলো মানবিক মুখ
একটি দিনের নয় স্বাধীনতা, স্বাধীনতা হলো নিত্য সুখ !
স্বাধীনতা মানে উল্লাস নয়, স্বাধীনতা হ'লো মর্মের ক্ষত
স্বাধীনতা মানে উচ্ছ্বাস নয়, স্বাধীনতা হ'লো কর্মের ব্রত !
স্বাধীনতা মানে প্রতিশোধ নয়, স্বাধীনতা হ'লো অন্যায়রোধ
স্বাধীনতা মানে শৃঙ্খল নয়, স্বাধীনতা হ'লো শৃঙ্খলাবোধ !
স্বাধীনতা মানে একা-সুখ নয়, স্বাধীনতা হ'লো মিশে থাকা
স্বাধীনতা মানে ফিকে হওয়া নয়, স্বাধীনতা হ'লো ফিরে দেখা !
অদ্ভুত পবিত্ৰ এ প্রজাতন্ত্র
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
আমাদের দুশো বছরের সংগ্রাম
আমাদের বীর শহিদদের আত্মত্যাগ
আমাদের ঘরে বাইরে নারী পুরুষের অন্তিম ও অন্তহীন লড়াই আন্দোলনের জেরে পাওয়া স্বাধীনতা
আমরা ধুলোবালির মধ্যে মিশিয়ে দেবো
এই দেশ আমাদের জন্ম দিয়েছে
এই মাটি আমাদের শিখিয়েছে সৌভাতৃত্য
এই গাছ পালা পাহাড় পর্বত নদী নালা জীব জন্তু
মানুষ জন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বুঝিয়েছে
সংস্কার সার্বভৌমত্ব. ..আমরা কি ভুলে যাবো এত সহজে বিনয় বাদল দীনেশের কথা
ভগৎ সিং থেকে প্রীতিলতার কাহিনী
ন্যায় অন্যায়ের ধারণা ,ক্ষুদিরাম থেকে মাষ্টারদা সূর্য সেনের সাহসিকতা. ..
উত্তরাধিকারীদের মুখে গ্রাসাচ্ছাদন তুলে দেবার আগে প্রশ্ন করবো না আমাদের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করব না এক ই সঙ্গে সম্প্রীতির বার্তায়
ভরে দেবো না একশো চল্লিশ কোটির দেশের শীর্ষাকাশ ...
আজ তাই সমস্ত হিংসা রিরংসা ভেদাভেদ ভুলে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে চিরসময়ের কাছে এই অঙ্গীকার জয় হিন্দ
ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম
আমরা রয়েছি সেই সূর্যের দেশে. .
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
আমাদের দুশো বছরের সংগ্রাম
আমাদের বীর শহিদদের আত্মত্যাগ
আমাদের ঘরে বাইরে নারী পুরুষের অন্তিম ও অন্তহীন লড়াই আন্দোলনের জেরে পাওয়া স্বাধীনতা
আমরা ধুলোবালির মধ্যে মিশিয়ে দেবো
এই দেশ আমাদের জন্ম দিয়েছে
এই মাটি আমাদের শিখিয়েছে সৌভাতৃত্য
এই গাছ পালা পাহাড় পর্বত নদী নালা জীব জন্তু
মানুষ জন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বুঝিয়েছে
সংস্কার সার্বভৌমত্ব. ..আমরা কি ভুলে যাবো এত সহজে বিনয় বাদল দীনেশের কথা
ভগৎ সিং থেকে প্রীতিলতার কাহিনী
ন্যায় অন্যায়ের ধারণা ,ক্ষুদিরাম থেকে মাষ্টারদা সূর্য সেনের সাহসিকতা. ..
উত্তরাধিকারীদের মুখে গ্রাসাচ্ছাদন তুলে দেবার আগে প্রশ্ন করবো না আমাদের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করব না এক ই সঙ্গে সম্প্রীতির বার্তায়
ভরে দেবো না একশো চল্লিশ কোটির দেশের শীর্ষাকাশ ...
আজ তাই সমস্ত হিংসা রিরংসা ভেদাভেদ ভুলে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে চিরসময়ের কাছে এই অঙ্গীকার জয় হিন্দ
ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম
আমরা রয়েছি সেই সূর্যের দেশে. .
প্রজাতন্ত্রের উত্তরাধিকার
দীপক বেরা
হে দেশ, হে উন্নাসিক শাসক
ধর্ম এত সোজা নয়, বিশ্বাস করুন—
সামরিক জাহাজেরা কত নৌপথ ছেড়ে
হুবহু রিক্ত কোনও নদীর পাথরে আটকে আছে
তোমার মতোই সবজান্তা কূট আছে আরও গভীরে
যতক্ষণ তোমার বুকে আপ্তভয়
সন্ধিক্রয় সমীকরণ অবশ্য জোগাবে তারা
যুদ্ধ শুধু তার সাজে, যে আসলে জানে
দেশের গভীর আশ্রয় মসৃণ মিশে থাকে
দূর্বা ঘাসের ভিতর মধুর ক্ষমায়
হে রাষ্ট্রযন্ত্র, কোন উচ্চতায় যেতে চাও?
কীভাবে? ওয়ালনাট ফিনিশের আসবাবে
সংবিধান থাকে না, অন্ধকার নামে শুধু...
রাত ফুরোলেই প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন
সে তো মাগনায় পাওয়া কাঁচা অনুভব
কত শহীদের সংগ্রাম, রক্তঋণ
বিরহের পর বিষাদ না এলে কীসের উদযাপন?
এসো বৃষ্টিতে গলাজল হই, ধুয়ে যাক পাপ
মুখরিত লাউডস্পিকারে হাহাকারের সঙ্গীত
চৈত্রের মহাপ্রস্থানেও স্বাধীনতার আত্মাটা
উইপোকা, টিলার কামড় খেয়ে জেগে আছে
ভাতের থালায় খিদের কোনও ধর্ম নেই
অবিভক্ত গাঁ ভেঙে শুধুই জিভের গাজন
মধ্যবিষাদের কাশবনে বিমর্ষ জনগণমন
ক্রীতদাস হয়ে এখনও খুচরো বাজছে
প্রজাতন্ত্রের ভোরে রোদমাখা জল গাইছে
অন্তিম রাগে, "সারে জাহাঁ সে আচ্ছা"...
সত্যের পথে হাঁটলে নিস্তব্ধ মৃত্যুটিও নড়ে ওঠে
ঋণ রক্তের অধিকৃত শ্বাসে
উত্তরাধিকারে স্বাধীন জীবনের কলকোলাহলে
জয়গান
বিদ্যুৎ মিশ্র
মেঠো পথ ধরে
সারি বেঁধে সব
হেঁটে যায় ছেলে মেয়ে।
হাতে ধরা তার
জাতীয় পতাকা
জয়গান আজ গেয়ে।
স্বাধীনতার সেই
ধ্বনি ওঠে আর
কল্লোল মিঠে সুরে।
গাঁয়ের মানুষ
ফিরে ফিরে দেখে
নগর শহর ঘুরে।
ভুলে ভেদাভেদ
জাতপাত আর
মিলেমিশে একাকার।
তোমার আমার
এই দেশ শুধু
ভালোবেসে সবাকার।
অলৌকিক মৃত্যুর বলাৎকার দৃশ্য ও কাফনের আপেল রমন মুদ্রা
নিমাই জানা
{2d~360°} নভশ্চরের মতো শীতল চারকোল অ্যাসিটোন ন্যাপথলিনের খুনিরা নিজেদের সাংখ্যযোগ জল দিয়ে মোমবাতি বানাচ্ছে , আঙ্গুলের ৩২ ইঞ্চি পেরেক , গলগন্ডের সাড়ে ৩ কেজি মাংস , খুনিদের শ্বেতপত্র সংহিতা , ক্ষুধার্ত মানুষদের পিত্ত রোগ , কুষ্ঠ ও যক্ষা নগরীর সব দারোয়ানেরা কালো পোশাক পরে থাকে বলে তাদের ঘুমানোর জন্য কোন রাতের পর্যায় সারণী থেকে কচ্ছপ ফ্লেভারের সোডিয়াম রস নেমে আসে না , এখানে প্রতিটা খনিজ কুঠুরিতে এক একটা সেলিব্রেশনের চাদর চেরা শ্যাম্পু আর নিরোধের খালি প্যাকেট পড়ে থাকে প্রতিটি ঘরের কোণে , এক একটা ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিন তাতে সকলেই অন্তত দিনে তিনবার ভাগাড়ের মতো জড়াজড়ি করে উঠে আসার সময় শেষ থুতু ফেলে কুকুরকে খেতে দিতে যায় , এতো থুতু মানুষ কোথায় পায় নষ্ট ভিটামিনের মতো ? সারারাত যাদের ডিস্কো ব্যালে ড্যান্স কাবাব চাটনি খেতে ইচ্ছে করে নিজের গোপনাঙ্গের ক্ষুদ্রতম মাংস কেটে তারা সবাই সাইকো মিথাইল আর এট্রাক্টিভ কার্বক্সি সেলুলোজ আর নিমসুলাইট রক্তের মতোই মৃত রাত্রির নাবিক সেজে ভ্রু প্যালেসের অতি লিঙ্গাত্মক ডলফিন পাখনা নিয়ে উড়তে উড়তে স্নানে যায় ভেজা পোশাক খুলে মিলিয়ে দেই ধোঁয়া উড়তে থাকে , আমার চর্বি ও শুকোতে থাকে শূকরের পায়ুদ্বারের থেকে অতি ঝুপড়ি ঘরে নিজে ঢাকনা দেওয়া আঁশটে দ্রব্য গ্রহণ করি , এখানে কেউ যুদ্ধক্ষেত্রে তার কুরুক্ষেত্র রোগ ফেলে রেখে গেছে কোন মৃতদেহ নেই বলে অথচ অসংখ্য রক্তের কারু কাজ পড়ে আছে নৈমিষারণ্যের প্রদাহের মতো , হে বিষ্ণু রক্ত নাও ,
হে নিমিত্ত মাত্র পার্থ , দুই হাতে তুলে নাও ক্ষত্রিয়ের অনুপম কঙ্কাল মার্কা চিরুনি , ওৎ পেতে থাকি সেই কৃষ্ণাঙ্গ স্তন স্তোত্রমালার নিসর্গ তাঁত গুলোকে ছুঁয়ে দেওয়ার জন্য যেখানে নিজের দেহের অতি সূক্ষ্মতম স্নায়ু সুতোর উপরে প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমাটিক ক্ষুধা চটকাচ্ছে উন্মাদ পাগলিনী নিয়ে , এর আগেই এতো মানুষ একসাথে সোম বীজের রস খেয়ে বলাৎকার হয়নি , অথচ জল কিভাবে আমার অশ্লীল দাগ ধুয়ে দেয় তা দেখেই আমি বারবার ক্লান্ত হয়ে জলকে দোষারোপ করেছি আমার জন্মের জন্য , জলকে আমি দোষারোপ করেছি ন্যাকড়া ধোয়ার জন্য আমার দুর্গন্ধওয়ালা অশ্বগন্ধা ধুয়ে ফেলার জন্য , জলের ভেতর অসংখ্য রোগাক্রান্ত জন্মেঞ্জয় কালারের বরফ খচিত মৃতদেহ ভেসে থাকে বলে আমি তাদের ভেজে ভেজে স্নায়ুতন্ত্র মাখানো নিউক্লিয় চুম্বকের মাংসপল্লী থেকে নামিয়ে একাকী এলাচি ফেভারের আইসক্রিম খেতে দিই , নিজের ভাঁজ করা মাংসগুলো এতো সুস্বাদু এর আগে আমি কোনদিনই জানতে পারতাম না যদি না কোন নিষিদ্ধ গণিকালয়ের বেকিং পাউডার মেশানো সর্দি বিক্রেতা আমাকে শীতল ঘরে পৃথিবী পেরিয়ে যাওয়ার ব্যাসাসন মুদ্রার বাৎসায়ন ইঙ্গিত দৃশ্যের অপরিপক্ক ব্যাসদেব সংহিতা না পড়াতেন , ল্যাকটোজ মুদ্রা ফল ভান্ডারে টাটকা মৃত্যুর মতো আপেল ও বিক্রি হচ্ছে কবরের কাফন পর্দা জড়িয়ে ,
মহাজাগতিক সঙ্গমের কোন প্রাপ্তবয়স্ক উপনিষদ নেই ...
নিমাই জানা
{2d~360°} নভশ্চরের মতো শীতল চারকোল অ্যাসিটোন ন্যাপথলিনের খুনিরা নিজেদের সাংখ্যযোগ জল দিয়ে মোমবাতি বানাচ্ছে , আঙ্গুলের ৩২ ইঞ্চি পেরেক , গলগন্ডের সাড়ে ৩ কেজি মাংস , খুনিদের শ্বেতপত্র সংহিতা , ক্ষুধার্ত মানুষদের পিত্ত রোগ , কুষ্ঠ ও যক্ষা নগরীর সব দারোয়ানেরা কালো পোশাক পরে থাকে বলে তাদের ঘুমানোর জন্য কোন রাতের পর্যায় সারণী থেকে কচ্ছপ ফ্লেভারের সোডিয়াম রস নেমে আসে না , এখানে প্রতিটা খনিজ কুঠুরিতে এক একটা সেলিব্রেশনের চাদর চেরা শ্যাম্পু আর নিরোধের খালি প্যাকেট পড়ে থাকে প্রতিটি ঘরের কোণে , এক একটা ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিন তাতে সকলেই অন্তত দিনে তিনবার ভাগাড়ের মতো জড়াজড়ি করে উঠে আসার সময় শেষ থুতু ফেলে কুকুরকে খেতে দিতে যায় , এতো থুতু মানুষ কোথায় পায় নষ্ট ভিটামিনের মতো ? সারারাত যাদের ডিস্কো ব্যালে ড্যান্স কাবাব চাটনি খেতে ইচ্ছে করে নিজের গোপনাঙ্গের ক্ষুদ্রতম মাংস কেটে তারা সবাই সাইকো মিথাইল আর এট্রাক্টিভ কার্বক্সি সেলুলোজ আর নিমসুলাইট রক্তের মতোই মৃত রাত্রির নাবিক সেজে ভ্রু প্যালেসের অতি লিঙ্গাত্মক ডলফিন পাখনা নিয়ে উড়তে উড়তে স্নানে যায় ভেজা পোশাক খুলে মিলিয়ে দেই ধোঁয়া উড়তে থাকে , আমার চর্বি ও শুকোতে থাকে শূকরের পায়ুদ্বারের থেকে অতি ঝুপড়ি ঘরে নিজে ঢাকনা দেওয়া আঁশটে দ্রব্য গ্রহণ করি , এখানে কেউ যুদ্ধক্ষেত্রে তার কুরুক্ষেত্র রোগ ফেলে রেখে গেছে কোন মৃতদেহ নেই বলে অথচ অসংখ্য রক্তের কারু কাজ পড়ে আছে নৈমিষারণ্যের প্রদাহের মতো , হে বিষ্ণু রক্ত নাও ,
হে নিমিত্ত মাত্র পার্থ , দুই হাতে তুলে নাও ক্ষত্রিয়ের অনুপম কঙ্কাল মার্কা চিরুনি , ওৎ পেতে থাকি সেই কৃষ্ণাঙ্গ স্তন স্তোত্রমালার নিসর্গ তাঁত গুলোকে ছুঁয়ে দেওয়ার জন্য যেখানে নিজের দেহের অতি সূক্ষ্মতম স্নায়ু সুতোর উপরে প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমাটিক ক্ষুধা চটকাচ্ছে উন্মাদ পাগলিনী নিয়ে , এর আগেই এতো মানুষ একসাথে সোম বীজের রস খেয়ে বলাৎকার হয়নি , অথচ জল কিভাবে আমার অশ্লীল দাগ ধুয়ে দেয় তা দেখেই আমি বারবার ক্লান্ত হয়ে জলকে দোষারোপ করেছি আমার জন্মের জন্য , জলকে আমি দোষারোপ করেছি ন্যাকড়া ধোয়ার জন্য আমার দুর্গন্ধওয়ালা অশ্বগন্ধা ধুয়ে ফেলার জন্য , জলের ভেতর অসংখ্য রোগাক্রান্ত জন্মেঞ্জয় কালারের বরফ খচিত মৃতদেহ ভেসে থাকে বলে আমি তাদের ভেজে ভেজে স্নায়ুতন্ত্র মাখানো নিউক্লিয় চুম্বকের মাংসপল্লী থেকে নামিয়ে একাকী এলাচি ফেভারের আইসক্রিম খেতে দিই , নিজের ভাঁজ করা মাংসগুলো এতো সুস্বাদু এর আগে আমি কোনদিনই জানতে পারতাম না যদি না কোন নিষিদ্ধ গণিকালয়ের বেকিং পাউডার মেশানো সর্দি বিক্রেতা আমাকে শীতল ঘরে পৃথিবী পেরিয়ে যাওয়ার ব্যাসাসন মুদ্রার বাৎসায়ন ইঙ্গিত দৃশ্যের অপরিপক্ক ব্যাসদেব সংহিতা না পড়াতেন , ল্যাকটোজ মুদ্রা ফল ভান্ডারে টাটকা মৃত্যুর মতো আপেল ও বিক্রি হচ্ছে কবরের কাফন পর্দা জড়িয়ে ,
মহাজাগতিক সঙ্গমের কোন প্রাপ্তবয়স্ক উপনিষদ নেই ...
উত্তর দাও!
বিমল মণ্ডল
হাত বাড়িয়ে তেরঙ্গা পতাকার দিকে দাঁড়িয়ে
বুট পরা পায়ের শব্দ সহজে মেখে নিচ্ছি বুকে
হিসেবহীন মানুষের বুকে রক্তাক্ত বিবর- বিলাসী হিংসা
কঠিন ভাবে খুঁজি জীবনের সমস্ত পরমায়ু
তেজোদ্দীপ্ত আমার দেশকে ভয়,প্রতিবাদ, পরিচয় বাণী শেখাই
উদীপ্ত সাহসের পথে।
উজ্জ্বল আলো উঠে আসছে দেখে
বুকের ওম থেকে নামিয়ে আনি শেষ লয়
কতগুলো হাত মিশে যাচ্ছে কালো আকাশে
মেঘের পাশ দিয়ে সুরু চাঁদ
প্রাণের আবেগে অস্থির
তবুও দূর ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখি
তোমার - আমার ইতিহাসের দিকে
কারা যেন হাত বাড়িয়ে বলছে...
উত্তর দাও!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন