সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

প্রতিদিন বিভাগ।। ।। মে সংখ্যা।। ।। শিক্ষা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - ৭।। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।

 




।  প্রতিদিন বিভাগ।। 

   ।। মে সংখ্যা।। 

।। শিক্ষা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - ৭।।




জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা 


এক:

গুরুঠাকুর    




অভ্যাসে হাতে বেত তুলে নিলে হেসে ওঠেন রবীন্দ্রনাথ
বড়ো মৃদু ও মধুর যেন বার্থডে কেকের কোমল ছুরি
টেবিলে নেমে আসে বেত।

চিৎকার করে উঠি দুরন্তের দিকে,ডেকে তুলি কাছে আসে
ভয়ার্ত দেহ,শাস্তির হিসেবনিকেশ করে মন,করুণ
ভয়মলিন মুখে জেগে ওঠেন রবিঠাকুর
কখন ছড়িয়ে যায় মধুরতা
মাথা ছোঁয় যে হাত তা আমার নয়,রবিবাবুর।

ওদের বলি,গান গাও। আমার গম্ভীরমুখে কখনো গান
ফোটেনি, কেউ বলে ওঠেন, তুমিও গাও।
ছেলেমেয়েরা গেয়ে ওঠে,আলোকের এই ঝর্নাধারায়
ধুইয়ে দাও ...
গলা মিলে যায় যে গোমড়ামুখ মাস্টারের সে আমি নই,
রবীন্দ্রসংক্রমিত এক গুরুর,লাজুক ও দরাজ।

তার নাম হয়ে যায় গুরুঠাকুর।





দুই:

গুরুঠাকুর       



শিক্ষকের মন বললো, তা কী করে হয় ?
চারদেয়াল,পাঠ্যক্রম,কড়া শৃঙ্খলা,শাসন... এসবে ছাড়,
চলনে-বলনে স্বাধীনতা ! নির্দিষ্ট দিক্-নির্দেশনা  থাকবে না ?
কী হবে গুরুদেব ?
আমরাই তো দেখিয়ে দেবো পথ,এগিয়েও দেবো, শৃঙ্খলা
ছাড়া কিছুই হবে না মুক্তির হাওয়ায় শিক্ষা যে পালায়।

অন্যমন বলে,আপনি যা বলেছেন তা গভীর দর্শনের কথা
স্বশৃঙ্খলাই সুশৃঙ্খলা আনে প্রকৃতির উন্মুক্ত পাঠশালায়
সবুজে প্রাণের ভাষায় কলতানে যে শিক্ষা তা তুলনাবিহীন
তাই হোক তবে।
আপনি হাসলেন, মৃদু হাসি, উদার দৃষ্টিতে দেখিয়ে দিলেন
সোনাঝুরি বন,সবুজের মজলিশ,গানে গানে আনন্দপাঠ
রবীন্দ্রনাথ।

২টি মন্তব্য: