।। মার্চ সংখ্যা।।
।। ফাগুনের আগুন ও বসন্তের উপহার-১।।
বসন্তে ফুল গাঁথল
অমিত কাশ্যপ
১.
হু হু ছুটে চলা ট্রেনটি দেখতে দেখতে যাচ্ছে
পলাশ মেখে আছে স্টেশন, কি বললেন
আলতাগ্রাম, বেশ তো, তাই এত লালে লাল
ফাগুন ছুঁয়ে ছুঁয়ে কেমন বৈভব দেখ
শীত সকালে ওরা আল ভাঙছে
ধোঁয়া উঠছে পাতাপোড়া মাঠ থেকে
ওরা আচমন সরবে সোনালী জলে
আহা, ফাগুন, তোমার মহিমা তুমিই
২.
পশ্চিম কখন যেন রাঙা হয়ে উঠল
শীত শেষ করে এইমাত্র ফাগুন যেন
টলে উঠল দিগন্ত ছুঁয়ে, আহা
রকমারি সন্ধ্যাবাজার খুলে উঠল আলোর পশরায়
আমরা এখন পর্যটক, খুঁজে খুঁজে দেখে উঠছি
ভালোর সঙ্গে নতুনের, নতুনের সঙ্গে পরিচিত খবরের
বাজার হবে, রঙিন হবে, খবর হবে
গাঁ উজাড় করে হবে মিলনমেলা, তাই তো
৩.
পরের স্টেশন বামনহাট, যাত্রী বমনের প্রক্রিয়া শেষ করে
ট্রেনটি নেবে পলাশ ছায়ায় সুনিশ্চিত যাপন
এখন দ্বিপ্রহর, বাতাসের গতিপথ এখন দক্ষিণমুখি
দক্ষিণায়ন থেকে সরে আসছে রোদ, এখন ফাগুন
দূরে কোকিলের কন্ঠ ভেসে আসছে ম্রিয়মান
তোমরা যা বল, দোলা দিচ্ছে মন, ভাসাও ডিঙা
আলিয়া ভাট, 'বসন্তে ফুল গাঁথল'
৪.
কেমন এক শহর কাঁপিয়ে মার্চ এল
পথের বাঁকে বাঁকে আশ্চর্য সতেজ বাড়িঘর
পত্রহীন বৃক্ষে নতুন পত্রের উদ্ভাস
ছায়া ছায়া হতে হতে লাল পলাশ
আশ্চর্য বাতাস, আশ্চর্য মানুষ, ফুরফুর করে উঠল
যাবেন করতা থানাপাড়া, দেবেন করতা যা মন চায়
চুলে বিলি কাটছে হাওয়ায়, মো মো স্টল বন্ধ
মনোহারি দোকান খুলে আছে পছন্দের জিনিসে
দিনহাটা, দিনে হাট বসত, তাই ওই নাম বাবু
গুচ্ছ কবিতা খুব সুন্দর। ফাগুন আসে মনের আগুনকে জ্বালিয়ে দিয়ে।
উত্তরমুছুনকবিতাগুচ্ছ ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন