শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২২

শুধু কবিতায়...জায়মান জীবন -৭।। দুরন্ত বিজলী।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।

 





জায়মান জীবন -৭

দুরন্ত বিজলী




১.

সবুজের পরিভাষা


খসে পড়ছে পল অনুপল
মেঘ রোদ বৃষ্টির ঋতুমোহনায়
মাটি ও মেঘের মতো
সোঁদা গন্ধ ভিজে হাওয়ায়

বৃষ্টির রমণীপ্রভাবে প্রভাবিত ধুলো
সজীব শস্যশরীর বীজঅঙ্কুর
মেঘহীন আকাশনির্ঝর কবিতাকুসুম
থৈ থৈ জ্যোৎস্নায় নবান্নের সুর

হাওয়ায় ফেনা ফেনা অদৃশ্য ভাইরাস
করোনামহাবিষ নির্মমনির্ঝর
ফোঁটা ফোঁটা রাতের কৃষ্ণপাতায়
গন্ধমাদনপথে জয়কণ্ঠস্বর

আকাশ ও মাটির সাথে এভাবেই
আজীবন ভালোবাসাবাসি
রোদবায়ুজলে মিশে একাকার
সবুজের পরিভাষা বুকভরা হাসি



২.
পথপরিক্রমা


এ.টি.এম-এ টাকা নেই।
ব্যালান্স চেক করে রেজাল্ট এই।
রথতলা দিয়ে হেঁটে চললাম,
মহিষাদলের এক কবি কবিতা কুড়োতে
এ পথেই হাঁটেন। আমিও অন্যমনস্কভাবে
হাঁটতে হাঁটতে চা-দোকানে দাঁড়াই - এক কাপ--
মেয়েটি স্বজাতীয় নয়। বেঞ্চে বসা ছেলেদুটো
অতিকৌতুহলে তাকিয়ে আছে।
-- কাগজের কাপে দেবেন।

আপনারা কী ভাবছেন? চায়ের দাম পেলাম কোথায় ? আ-হা, ওটুকু পকেটেই ছিল।
চায়ের কাপে চুমুক দিলাম। পৌষের ঘন কুয়াশামাখা শীত সকাল এগারোটার পরও জড়িয়ে আছে। বার বার চুমুক দিয়ে ঝেড়ে
ফেলতে চাইলাম।

বিজাতীয় মেয়েটিকে চায়ের দাম দিয়ে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে এগিয়ে গেলাম। ট্রান্সফরমারের পাশ দিয়ে  ঢুকে পড়লাম শহর সংলগ্ন গ্ৰামে। মেশামশি সংকর প্রজাতীয় গ্ৰামগুলি শহরের চেয়ে একটু বেশি ভালো লাগে। কারণ, সেখানে গ্রাম্যবধূর লজ্জা ও প্রদীপের আলোয় এখনও তুলসীমঞ্চ দেখা যায়।

বিজাতীয় মেয়েটিকে নিয়ে ভাবছি বলে অন্যকিছু মনে করবেন না। তার কোলে ভবিষ্যৎ আধো আধো বুলিতে বলছিল - আ-ম্-মা, আ-ম্-মা---।

আমি তখন কবিদের জাত নিয়ে ভাবছিলাম।
আমার কেবল মনে হচ্ছিল , কবিরা ন-জাতীয়।











 

২টি মন্তব্য: