জায়মান জীবন -৯
শুভঙ্কর দাস
সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা
একটা মহাকায় বিন্দু মহাশূন্যের ওপার থেকে,ঠিক সন্ধ্যের মুখে,চায়ের দোকানে এসে থামল...
চা-দোকানটিতে জন্ম ও মৃত্যুর সকল কার্য ও কারণ ব্যাখ্যা ও বিবরণ টাঙানো ছিল ক্যালেন্ডারের মতো...
একটু আগে ব্রহ্মা দাঁড়ি খুলে চা খেয়েছিলেন, কিন্তু যাওয়ার সময় মহাদেবের জটা পরে ভুল করে চলে গেছে! আবার বিষ্ণু আনমনে চক্র টেবিলের ওপর ফেলে যেতে,তাকেই সান্তা স্লেজগাড়ির চাকা ভেবে, তাকে লাগিয়ে রক্তাক্ত যিশুকে নিয়ে যাচ্ছেন আরবে...
সকলে প্রচণ্ড ব্যস্ত,সেই রাক্ষুসে বিন্দু নিয়ে... সেকি নতুন লীলা,খেলা এবং অবতারীয় আঙ্গিক!
সদ্য ঘুম ভাঙল নবজাতকের...
বয়সের কথা অবান্তর,তা রূপকথা ধরবে না,নটেগাছ নয়, নটেগাছ নয়!
সুকান্তের সেই সুপ্রাচীন কবিতা আওড়াতে সে চলে গিয়েছিল চায়ের দোকানে...
এক বাটি গরম দুধের দাম জিজ্ঞেস করেছিল গোটা ব্রহ্মাণ্ডের বিনিময়ে...
একেবারে ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা এক অদ্ভুত জীবনদর্শন।
উত্তরমুছুনসমাজ বসু।