পৌষ এল ঘরে -৪০
জয়শ্রী সরকার
১.
পৌষের দুঃখ-সুখ
পৌষ মানেই উত্তরে হাওয়া শীতলতার বশ
পৌষ মানেই তাপটুকু পাওয়া আর খেজুরের রস।
পৌষ মানে তো কনকনে শীত, সত্যি তো নেই ছল
পৌষ মানেই কাঁপন লাগা ঠিক বরফেরই জল !
পৌষের বেলা নয় হেলা ফেলা যতদূর চোখ যায়
যেদিকে তাকাই সব ভুলে যাই প্রাণ-মন সব জুড়ায়।
সারা মাঠ জুড়ে পৌষের গান সোনালী ধানের শিস
মন বলে যেন থাক না এ মাস সুখেই অহর্নিশ !
পায়রার দল উঠোনেই ওই সোনা ধান খেতে আসে
পাতিহাঁঁস সব বিলের জলেই আহ্লাদেতে ভাসে !
কৃষকের ধান মাঠেতেই ম্লান উঠলো না ধান ঘরে
মাথাতেই হাত কৃষকই কাত অকাল বৃষ্টি ঝরে !
কৃষক বন্ধু আজ সুখে নেই, বিষণ্ণ তার মুখ
গোলায় ভরা ধানগুলো নেই, নেই নবান্ন-সুখ।
তাই মন আজ মনমরা খুব কৃষকের কথা ভাবে
মাঠেই ওরা স্বপ্ন বোনে, সত্যিই ভেঙ্গে যাবে ?
হাত জোড় করে বলছি মাগো, ওদের খেয়াল রেখো
নবান্নসুখ একটু দিয়ে ওদের পাশে থেকো !
২.
পৌষের পরশ
পৌষ মানে তো আনন্দগান শুধুই খুশির মেলা
হিমেল হাওয়ায় গাছে গাছে পাখ-পাখালির খেলা!
পাতায় পাতায় কাঁপন লাগে শীত বুঝি ওই আসে
গালচে পাতা সবুজ ঘাসে হিমের কুচি হাসে!
সকালবেলা ভেজাই গলা মিষ্টি খেজুর রসে
দিনের শেষে রাত্রি এসে সবাই লেপের বশে!
অজয়-তীরে পৌষের মেলা , বাউলেরা গান গায়,
গভীর সুরে সুদূরের ডাক ভক্তমনকে ভুলায়!
শীতের পরশ জাগায় হরষ আনন্দে মন ভাসে ,
নরম রোদের মিষ্টি ছোঁয়া কেই না ভালোবাসে!
বেশ বেশ
উত্তরমুছুন