পৌষ এল ঘরে -৩৭
বিকাশ বর
১.
হিমযুগ
শাল মহুয়ার জঙ্গলে মোরাম ফেলা
রাস্তায় হেঁটে চলেছি একা একা
শীতের চাদরে পৌষকে জড়িয়ে নিয়ে
পিছনে ফেলে এসেছি একটা বিষণ্ণ মুখ
আমার একাকীত্বে ধরিত্রীর উষ্ণতা গেছে নিভে
তার মুখ আর মনে করতে পারি না
কুয়াশার ঝাপসায় অস্পষ্ট সে মুখ
শরীরে শরীর ছোঁয়ার উষ্ণতা নয়
চেয়েছিলাম মনের উত্তাপ
আমার হিমযুগ শুরু হয়ে গ্যাছে
চাইলেই ফিরে পাব না উষ্ণ হৃদয়।
২.
শব্দ
পৌষের পিঠেপুলিতে মনটা নেচে উঠলে
খেজুরপাতায় হাওয়া কথা কয়
তোমার কথা শোনা না হয়ে উঠলেও
পাতার শব্দ শুনি, আর তখনি ঠিক তখনি
তোমার কথা শুনতে পাই খেজুরের বুকে
কতটা গভীর ক্ষত তৈরি হলে এভাবে
কাঁদা যায়, কান্নার শব্দ তৈরি হয়--
ধ্বংসের খেলায় শিউলির ছুরি
পৌষ এলে বুঝে যাই বুকের ক্ষতচিহ্ন
কতটা শব্দ মিশে কান্না তৈরি হয়!
দুটো কবিতাই অনবদ্য। শব্দ একেবারে ব্যাতিক্রমী ও দুরন্ত এক পৌষের কবিতা।
উত্তরমুছুনসুন্দর
উত্তরমুছুন