আগমনী বন্দনা -৫
তন্দ্রা ভট্টাচার্য
১.
শিউলির গন্ধ
প্রতিটি শরৎ রাত্রির কণায় কণায় ভেজা হাওয়ার আঁচল শিউলি গন্ধ।
উনমনা মন কচি ভোরের আলোয় শোনে নগর সংকীর্তন।
চাঁপাফুলের ঘুমভাঙে রোদ্দুরের বুকে মুখ রেখে।
শিউলি ফুলের মালা গাঁথা আঁচল ভরা হিরের নাকছাবি লতা।
কবেকার প্রাচীন চিঠি সেদিনের নবীন প্রেমিক বনবিথি।
তরুণী হৃদয় খোঁজে আশ্রয় প্রতিটি মালা যেন
যৌবন গন্ধে অষ্টাদশী চাঁদ উতলা।
দুঃখ বিষণ্ণতা সেসব প্রবাসের ঘরবাড়ি
সমুখে উৎসব মাতৃ বন্দনা দখিন দুয়ারী ।
আকাশে পতঙ্গ ওড়ে পেঁজাতুলোর শরৎ আগমনী আহ্লাদে।
মায়ের চোখ আঁকা শেষ তুলিটান।
ঢাকের কাঠি কার হৃদয়ে গল্প করে চঞ্চল প্রজাপতি।
দুয়ে দুয়ে চার চোখ খোঁজে মিলন উৎসবের সুখ।
নতুন শাড়ি হোঁচট খায় পথ চলতি কিশোরী।
সন্ধ্যা আরতি প্যান্ডেলে প্রথম জীবন যেভাবে নতুন হৃদয় চেনে
২.
রেলগাড়ি
জানিয়েছি যেই সম্মতি অমনি রেলগাড়ি চলে।
রুখে সাধ্য কার তার গতি? শরৎ এসে কাশফুল হেসে মশলা মাখিয়ে দেয় তাতে।
হৃদয় ভোলেনা বৈভব খুঁজে নিতে।
বহুদূর অন্ধকার টানেল পাহাড়ি রাস্তা চড়াই উতরাই। মেঠোপথ গান ধরে বুলবুলি
টিয়া গোপন পরকীয়া।
নিরন্তর গতি অধরা মূরতি বিশ্রাম নেয় বিরহ নামক স্টেশনে। তারপর আরো পর নদীর সাগরে মেশার শপথ। হৃদয় তো একা নয় অসংখ্য
নুড়ি পাথরের ভার বইতে হয়।
আবারও শারদীয়া আভাসে সে আসে জড়িয়ে পাশে। অভিন্ন হৃদয় প্রেম তো মিথ্যে নয়
এ এক অনন্য জীবন বোধ।
মেঘলা সকালের পর আজ কাঁচরঙা রোদ।
এই বিভাগে আপনিও আপনার মৌলিক অপ্রকাশিত দুটো কবিতা আজই পাঠিয়েদিন।
ankurishapatrika@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন