আগমনী বন্দনা -৬
রবীন বসু
১.
স্মৃতির বটফল
মিঠেরোদ পড়ে দেখি স্মৃতিচিহ্ন অ্যালবামে
ফেলে আসা দিনগুলো উঁকিঝুঁকি মারে খুব
বিষণ্ণ দুপুরে বাজে বাঁশি শুধু অ-বিরামে
খালি বুকে জেগে ওঠে দুঃখ, গোপন অসুখ।
যা কিছু ফেলেছি সব, হারিয়েছি জলে অথৈ
অতল হদিশ নেই, তারা সব ডুবেছে কোথায়?
ঢেউ ওঠে, মন কাঁদে, মঞ্চের নাচে তাতা-থৈ
মুঠো খুলে চেয়ে দেখি কিছু নেই, আগলায়।
এই যে বিষণ্ণ দিন, আতিপাতি আকুলতা
সবটাই বৃথা গেল, আলপথে পড়ে আছে
মরা ফড়িংয়ের ডানা, মনখারাপ ব্যাকুলতা
সময় নিয়েছে তাকে ডেকে আপনার কাছে।
আমাদের স্মৃতিস্বপ্ন, গাঢ় ঘোরলাগা দিন
হাতে বটফল শুয়ে আছে ধুলোয় মলিন।
২.
সংগোপন অশ্রুপাত
কিছু কী বলেছি আগে? কোনদিন
হয়তো বলেছি, তা না হলে কেন
সংগোপন অশ্রুপাত, এ চুপচাপ
অভিমানের অদৃশ্য কারুকাজ!
তোমাকে বলিনি আগে, বলা হয়নি
মুখের কথাটা থাক, মনকি বাত
অন্যকথা সাজিয়েছে অভ্যন্তর,
সে যে কত মোহময় আন্তরিক!
তবুও হিসেব বলে, না বোঝানো
দায়ভাগ আমাতেই স্পষ্টতর,
আমার কথার ভারে টইটুম্বুর
বিষাদ জেগেছে খুব মনপাত্র।
এই যে সম্পর্কস্রোত, আগ্রহের
আকুলিবিকুলি টান, সবটাই
পায়ে পায়ে হেঁটে যায় আতান্তর
অধ্যুষিত বালিয়াড়ি বরাবর।
দুটি কবিতাই ভীষণ সুন্দর। মনের মধ্যে একটা গভীর ছাপ ফেলে যায়। পরিপাটি জীবনের আলেখ্য।
উত্তরমুছুন