আজ ৯ই আগষ্ট
হিরোশিমা নাগাসাকি দিবস
গুরুত্ব ও স্মরণে — অরবিন্দ সরকার
আকাশবাণী কলকাতা,আজ হিরোসিমা নাগাসাকি দিবস। আমরা ফিরে যাই সেই অতীতে—
বিগত শতাব্দীতে এই বিশ্বের বুকে সংঘটিত হয়েছে দুটি ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধ। পৃথিবীর সমস্ত যুদ্ধকে অতিক্রম করে গেছে এই দুই যুদ্ধের ভয়াবহতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ গড়ার উদগ্র বাসনা, বিশ্বের বাজার দখলের লড়াই,এই সব কারনেই বিশ্বযুদ্ধ ঘটে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ১৯১৪-১৯ ব্যবহৃত হয়েছিল বোমারু বিমান ও আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত যুদ্ধ জাহাজ।এতে নিহত হয়েছিল প্রায় চার কোটি চোদ্দো লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার মানুষ আর বিকলাঙ্গ হয়েছিল দুকোটি মানুষ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৩৯-৪৫ নিহত মানুষের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি চল্লিশ লক্ষ।এই সংখ্যা সর্বকালীন রেকর্ড অতিক্রম করে গেছে। বিকলাঙ্গ হয়েছে নয়কোটি মানুষ।এই মহাযুদ্ধেই প্রথম আনবিক বোমা ব্যবহৃত হয় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে। মূহুর্তের মধ্যে দুটি সমৃদ্ধ সভ্যতা জ্বলে পুড়ে খাঁক হয়ে যায়।প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর রবীন্দ্রনাথ, বার্নার্ড'শ প্রভৃতি মণীষীরা "যুদ্ধ বিরোধী আহ্বান" জানালেন! স্থায়ী শান্তির জন্য তৈরি হল " জাতিসংঘ"। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শক্তিশালী দেশগুলি শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখলো।গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ এই আহ্বানে সাড়া দেন।এই রেডিও টা বন্ধ করে দে তো! সঙ্গে সঙ্গেই রেডিও বন্ধ।দাদু নৃসিংহ কবিরাজ বলে উঠলেন- জাতিসংঘ, শান্তি।যতো সব বুজরুকি।শক্তিধর দেশ গোটা বিশ্বে দাদাগিরি করবেই। এখনো চুপিচুপি সব দেশই অস্ত্রভাণ্ডার মজুত করছে। দুর্বল দেশ শক্তিশালী হওয়ায় চেষ্টা করলে তার সমরাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।বিশ্বে আমেরিকা ও তার পেটোয়া দেশসমূহ রকেট, পারমাণবিক বোমা, শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করছে। ওদের নিষেধাজ্ঞা নাই। মূহুর্তের মধ্যেই পৃথিবীর মৃত্যু ঘটানো যাবে এমন অবস্থা।
বিজ্ঞান মানুষের সেবায় ব্যবহৃত না হয়ে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে যে নেতাই থাকুক বৃহদাশক্তির কাছে তর্জনী তোলার মতো ক্ষমতা নাই তবে দাদারও দাদা থাকে।তাই তালিবান জঙ্গি সংগঠনের নেতা ওসামা বিন লাদেন আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস করেছিলো। লাদেনকে আমেরিকা তৈরি করেছিলো। বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন আজ দেশে দেশে বিদ্যমান। জম্মুকাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তান যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধে নামতে পারে।কারো কাছে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা।আর কারো বেঁচে থাকার জন্য মরণযুদ্ধ। এতো টাকা পয়সা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগালে পৃথিবীতে হাহাকার থাকতো না।ভিখারি তৈরি করার জন্যই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা।ভয়ে ভক্তি মানুষের সর্বত্র। সাদা কালো চামড়ার লড়াই, ক্রীতদাস বন্দী , তাদের সঙ্গে অনবরত লড়াই।এরা যেন বিশ্বের বাইরের লোক।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে কতো বিপ্লবীর প্রাণ গেলো,ফাঁসি হলো। লড়াইয়ের মুখ পাল্টিয়ে সামনে এলো অহিংস আন্দোলন।আরে বাবা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে ভারত ক্ষতবিক্ষত। অহিংস নীতি সহিংস আকার নিয়ে দেশ ভাগ হলো। ইংরেজের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাধীনতা এলো।যাদের বিরুদ্ধে লড়াই তারাই এলো ক্ষমতায়।শহীদের রক্তের দাম নেই। সুভাষচন্দ্র তো দেশছাড়া নিপাত্তা হলো।উদে মাছ মারে খাটাসে তিনভাগ।ধূর ছাই!তিলে তিলে গড়া মুস্কিল, ধ্বংস এক লহমায়,সহজ।
আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾
জীবনকে ভালবেসে নয় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েই
উত্তরমুছুনএকশ্রেণীর মানুষ চরম আনন্দ পায়। তাদের মধ্যে
মানবিকতার লেশ মাত্র নেই। কিছু কিছু রাষ্ট্রনায়ক
এইসব মারন খেলায় মেতে উঠে সমস্ত বিশ্বকে
বারুদের স্তুপে পরিণত করে। দুটি বিশ্বযুদ্ধে তার
সাক্ষী আছে। এছাড়া গায়ের রঙ নিয়ে তো লড়াই
লেগেই আছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এসব ব্যাপারে সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। মানুষের
সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করে।এ খেলা কি
চলতেই থাকবে?