প্রেমের কবিতা —৫
প্রদীপ কুমার রায়
১.
তুমিই প্রথম
তুমিই প্রথম ছড়িয়ে দিলে
চৈতি ফুলে অভিনন্দন
ছেঁড়া পালে গাঙের জলে
জীর্ন জীবন অবহেলায়
ভাসিয়ে দিয়ে হেলে দুলে
ভাঙা ভেলায় নবীন জীবন।
অন্ধকারের আকাশ হতে
আঁকশি দিয়ে আলোর পথে
ধ্রুবতারা আনলে ছিঁড়ে,
তুমিই প্রথম জ্বালিয়ে দিলে
তুলসী তলায় শঙ্খ প্রদীপ
ছন্নছাড়ার ছেঁড়া তারে
নুতন জোয়ার আসলো ফিরে।
গ্রীষ্ম দুফুর, উদাস বেলা
ফাগ চৈত্রের রঙের মেলা
হিমেল রাতে হিম কুয়াশা
ঘুমিয়ে থাকা সুপ্ত আশা
তুমিই প্রথম জাগিয়ে দিলে,
তোমার ডাকে এক সচেতন
জুটলো কবির নুতন ভাষা।
তুমিই প্রথম আলোর হাতে
গভীর প্রেমে করলে বরন
জয়ের তিলক পরিয়ে দিয়ে
ভালোবাসার বিজয় রথে।
বক্ষে লয়ে প্রেমের ছবি
যাত্রা শুরু তোমার কবি
পায়ে পায়ে এই ধরণীর
জীবন যুদ্ধ জয়ের পথে।
২.
মৃত্যু পদাবলী
এখন চলার পথে,আলোর সাথে
মৃত্যুর ছোঁয়া পাই
পায়ে পায়ে তার পদচিন্হ আঁকা
প্রভাতে কুসুম কলির মতো ঝরে পড়া
আলো আঁধারে লুকোচুরি খেলা, দৃশ্য
তবু অদৃশ্য মোলায়েম চাদরে ঢাকা।
অনেক সাধ বাসনা ছিলো চাপা
মনের গোপন খোপে, তবু ছিলো দুরাশা
সশরীরে দেখবো তারে, সে প্রেয়সী আমার,
কত রূপ সাজানো তার গল্প কবিতায়
শিহরণে শিহরিত সে সব অধ্যায়
পাবো মুখোমুখি দেখার অমূল্য উপহার।
এখন গোধূলি বেলা, জীবন অস্তাচলগামী
জমানো সঞ্চয় শেষ, বেঁচে আছে প্রণামী,
আকুল পরানে বেঁচে থাকা, এই নিয়ে আশা
জন্মের সার্থকতা কতটা করেছি লাভ, অজানা
সব কর্মফল অকাতরে দেবো তোমারে
হে প্রেয়সী হাত ধরো, এটাই প্রত্যাশা।
কবিতা দুটি খুব সুন্দর। অনবদ্য সৃষ্টি।
উত্তরমুছুনদুটি কবিতাই ভালো বেশ ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনদুটি কবিতাই দারুন ভালো লাগলো ।
উত্তরমুছুন