ধারাবাহিক উপন্যাস (পর্ব-৭)
ছায়া- ছায়া অন্ধকারের আড়ালে
অনন্যা দাশ
কনফারেন্সে বসেছিলেন রোহন আর মার্কাস। পলাশ বলে ছেলেটার মৃত্যুটাও কেমন যেন ধোঁয়াটে! হিট অ্যান্ড রান হয় মাঝে মাঝে এই তল্লাটে কিন্তু তাও এই কেসটা বেশ জটিল। ওই জায়গায় রাতের বেলা যাওয়ার দরকার কেন হয়েছিল পলাশের সেটা কেউ বলতে পারেনি।
রোহন বললেন, “সব চেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল ওর ফোনে ঐশীর নম্বর সেভ করা রয়েছে ঐশী নামে! ওর মৃত্যুর ঘন্টা দুয়েক আগেই ঐশীর সঙ্গে কথা হয়েছিল ওর! তবে মৃত্যুর আগের ফোন এসেছে দীপা বলে কারো কাছ থেকে।”
“ওই ঐশী মেয়েটা সম্পর্কে কিছু জানা গেল?”
“না। ওকে কিছুতেই ট্র্যাক করা যাচ্ছে না। অদ্ভুত ব্যাপার হল কোন লোক বা মহিলাকে খুঁজে পেতে এত বেগ কখনও পেতে হয়নি আমাদের। এ যেন বার বার ফস্কে ফস্কে যাচ্ছে আমাদের হাত থেকে!”
“তুমি ওই নম্বরে ফোন করার চেষ্টা করেছিলে?”
“হ্যাঁ, বহুবার! প্রতিবারই মেসেজে যায়! কেউ তোলেই না!”
“সে তো অচেনা নম্বর দেখে কোন মেয়েই তুলবে না। ফোন কোম্পানি থেকে ঠিকানা জোগাড় করার চেষ্টা করেছো?”
“ওটা একটা প্রিপেড ফোন। ফোন কোম্পানির কাছেই কোন রেকর্ড নেই। বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে মনে হয়, তাই ট্র্যাকও করা যাচ্ছে না!”
“চেষ্টা করে যেতে হবে। খুব অদ্ভুত লাগছে ওই ঐশী বলে মেয়েটার ব্যাপারটা। আচ্ছা ওই পলাশ বলে ছেলেটার মারা যাওয়ার আগের রাতে যে অনুষ্ঠানে গিয়েছিল সেখানে যারা যারা ছিল তাদের সঙ্গে কথা বলেছ?”
“হ্যাঁ, কিছু লোকের সঙ্গে বলেছি। কিছু বাকি আছে। ওখানে দীপা বলে একটা মেয়ের সঙ্গে নাকি ওকে ফ্লার্ট করতে দেখা গিয়েছিল।”
“তাই!” মার্কাসের ভ্রু কুঁচকে গেল, “ওই দীপার সঙ্গে কথা বলো তাহলে! ফোনের দীপাই হবে মনে হচ্ছে।”
“হ্যাঁ। পলাশ যেখানে কাজ করত সেখানেই একটা ল্যাবের পি এইচ ডি স্টুডেন্ট মেয়েটা। তার নম্বর, ঠিকানা সব জোগাড় হয়েছে। আজ রাতে তার সঙ্গে কথা বলতে যাবো।”
আরও পড়ুন👇👇
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/06/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_3.html
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন