দুঃসময়ের কবিতা-২৫
তপনজ্যোতি মাজি
১.
হন্যমান
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে আছে যে জীবন তাকে
কেন দাও সম্পন্নতার প্রতিশ্রুতি?
রক্তে হিম জলের প্রবাহ।
মস্তিস্ক জানে সব আয়োজন আসলে
বিশুদ্ধ প্রতারণা।
বঞ্চনার স্তরগুলি তবুও শস্যবতী হয়।
প্রজনন কি জীবধর্ম?
অথচ দরিদ্র উঠোনে অপুষ্টি সরীসৃপের
মতো ঘোরে।
হাত থেকে খসে পড়ে
প্রতিবাদী কুঠার।
সব অহংকার কি কেন্দ্রানুগ?
ধরিত্রী তবু জন্মদাত্রী।
কৃষকের বুকে কেবল ঝড়ের
তস্কর স্মৃতি।
২.
অভিঘাত
শস্য ও স্বস্তির আশা মুছে দিল জল।
জল ঘোলা হোল ঢের!
এমন ত্রিমাত্রিক অভিঘাতে
কার আর সুসময়?
যে বাঁচে সে তো বাঞ্ছারাম।
মৃন্ময় জীবন কি জানে হিরন্ময় প্রাসাদের মধ্যে
কতখানি অন্ধকার?
সব জানা বালির ওপর সমুদ্রের বুক থেকে উঠে আসা
ঢেউ। মুছে যায়।
সব মুছে যায়।
ইতিহাসের পাতায় কেবল আলঙ্কারিক
অর্ধসত্য।
অভাব , দৈন্য ও অসাম্যের চিত্রগুলি ফুটে ওঠে
শিল্প রেখায়।
অকথিত অভিঘাত এক প্রজন্ম থেকে
অন্য প্রজন্মে প্রসারিত হয়।
পাথুরে শিকড়।
৩.
সংক্রমণ
স্বস্তি প্রবচন কি মেঘের কোলে রোদ?
হ্যা ম লিনের বাঁশীবাদককে খুঁজে আনো ।
সত্যকে মিথ্যার জলে স্নান করিয়ে প্রচার করো
অর্ধসত্য।
মৃত্যুর সঙ্গে লুকোচুরি খেলা
চলুক শহর , মফস্বল ও গ্রামে।
দারিদ্রের মত প্রতিষেধকের অভাব থাক
সম্বলহীনের সম্বল।
মৃত্যুর কি দার্শনিক ব্যাখ্যা নেই?
সংক্রমণ ততক্ষণে
দরজায় কড়া নাড়ছে
বিরতিহীন।
আরও পড়ুন👇👇
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/06/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_9.html
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন