ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস ( অষ্টম পর্ব)
একটি মার্ডার : এবং তারপর...
সৈয়দ রেজাউল করিম
যতীন
দারোগার কথামতো পরদিন সকালবেলা দুজন কনস্টেবলকে নিয়ে জ্যোতিষ বাবু হাজির হলেন জগাছা
থানায়। ওখান থেকে তিন-চারজন পুলিশ নিয়ে চলে গেলেন খালপাড়ায়। তখন বেলা দশটা হবে।
দূর থেকে সোর্স বাড়িটা দেখিয়ে দিল। কিন্তু মেজোবাবু কি ভেবে দাঁড়িয়ে পড়ল রাস্তায়।
পাড়ায় একটা চায়ের দোকান ছিল, সেখানে সকলের জন্য চায়ের অর্ডার দিল। কিন্তু তার চোখ
দুটো পড়ে থাকল দেবব্রতদের বাড়ির দিকে। বেশ কিছুক্ষণ গড়িয়ে গেল। কনেস্টেবলরা অস্থির
হয়ে উঠল। আর তার পরেই ঘটল ঘটনাটা। মেজোবাবু মনে মনে সেটাই ভেবে রেখেছিলেন। যাতে সাপ
মরে, লাঠি না ভাঙে। দিনের বেলায় বাড়িতে ঢুকে অ্যারেস্ট করতে হলে আরো অনেক লোকজনের
প্রয়োজন। সেটা তাদের কাছে ছিল না। তাই প্রতীক্ষা। সেই প্রতীক্ষায় সফল তিনি। সকলে
দেখতে পেল বই, খাতাপত্র নিয়ে একটা ছেলে বার হল সেই বাড়ি থেকে। মানসের মতো চেহারা
তার। সেই সময় সোর্স নিচু গলায় জ্যোতিষ বাবুকে বলল-- ওর নাম দেবব্রত দাস।
সে
কথা শুনেও শুনলো না মেজোবাবু। সকলকে উদ্দেশ্য করে নিচু গলায় ফোর্সদের বললেন আমরা এখন
ওকে ধরব না। ওকে অনুসরণ করব।
সেই
মতো তারা একটু দূরত্ব বজায় রেখে দেবব্রতর পিছু নিল। দেবব্রতর তাড়া ছিল। সে দ্রুত
হাঁটছিল। ঠিক বাজারটা পার হয়ে তার কাঁধে হাত রাখল জ্যোতিষ বাবু। দেবব্রত ঘাড় বাঁকিয়ে
ঘুরে দেখল। দেখে চিনতে পারল না। তাই অত্যন্ত ভদ্রতার সাথে দেবব্রত জিজ্ঞেস করল-- কিছু
বলবেন ?
--
না কিছু বলব না। চুপচাপ আমাদের সাথে একটু থানায় চলো। জ্যোতিষ বাবু বললেন-- বেশি ব্যাগড়বাই
করলে মারতে মারতে নিয়ে যাব।
মেজোবাবুদের
সাথে লোকজন বেশি থাকায় দেবব্রত আর কিছু বলল না। ভালো ভাবে বুঝতে পারল সে পুলিশের হাতে
পড়েছে। কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারল না, কেন তাকে পুলিশ ধরেছে ? তাই কৌতূহল বশতঃ বলেই
ফেলল-- স্যার ! আমাকে ধরছেন কেন ? কি করেছি আমি ?
--বন্ধুকে
মাডার করছিস তুই। বেশ আত্মনির্ভরতার সাথে কথাটা বললেন জ্যোতিষ বাবু।
কথাটা
শুনে খুব ঘাবড়ে গেল দেবব্রত। কান্নাভেজা গলায় শুধালো-- আমি কাকে মার্ডার করতে গেলাম
স্যার ? আপনি বোধহয় কোথাও ভুল করছেন স্যার !
--ভুল করব কোন দুঃখে ? তীর্যক
ভাষায় জ্যোতিষ বাবু বললেন-- তোর নাম দেবব্রত না ? ধরা পড়ে এমন ভাব দেখাচ্ছিস যেন
ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানিস না ?
একরকম
জোর করে দেবব্রত কে টানতে টানতে জগাছা থানায় নিয়ে গেলেন মেজবাবু।
সকাল
থেকে আকাশটা মুখ গোমরা করেছিল। সূর্যের সাথে লুকোচুরি খেলায় মেতে ছিল কুন্তল কালো
মেঘেরা। হঠাৎসনসন করে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করল। তারপর বড় বড় ফোটায় ঝেঁকে বৃষ্টি
নামল। ছাতাহীন ব্যক্তিরা নিজেদের মাথা বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আকাশের মুখ গম্ভীর
দেখে যারা ছাতা নিয়ে বার হয়েছিল, তারাও নিশ্চিন্ত হতে এখানে ওখানে আশ্রয় নিল। তবুও
এর মাঝে রটে গেল রামরাজাতলা খুনের আসামী ধরা পড়েছে। তারা রথ দেখতে, কলা বেচতে চলে
এলো থানায়। তবে অনেকেরই থানার ভিতরে ঢোকার সাহস ছিল না। তারা বারান্দায় দাঁড়িয়ে
জানলার ফাঁক দিয়ে উঁকি ঝুঁকি মারতে থাকল। যাদের থানায় প্রয়োজন ছিল তারাই কেবল ঢুকল।
কিন্তু কেউ বুঝতে পারল না, খুনিটা আসলে কে ? তার কারণ সাদা পোশাকে দেবব্রত বসেছিল মেজোবাবুর
পাশে। আবার কেউ কেউ আঙ্গুল তুলে দেবব্রতকে দেখাল। দেবব্রত কোনক্রমেই মেজোবাবুকে বোঝাতে
পারল না, সে এই ঘটনার নাড়ি-নক্ষত্র কিছু জানেনা ।
কথায়
বলে-- থানা, পায়খানা, আর ডাক্তারখানাতে, প্রয়োজন ছাড়া মানুষ কখনো ঢোকে না। কিন্তু
খুনী আসামীকে এক পলক দেখার উৎসাহ মানুষের মধ্যে কম ছিলনা। অফিসঘরে বসে খুব বিড়ম্বনার
মধ্যে পড়ে গেলেন মেজোবাবু। বড়বাবুর ঘরে লোকজন ভর্তি। সেখানেও ঢুকতে পারছেন না তিনি।
পাশে বসে আছে দেবব্রত। তাকে ছেড়ে উঠলে আর এক বিপদ। জনতার আক্রোসের প্রতিফলন ঘটলে তার
সব দায় এসে পড়বে তার ঘাড়ে। হাওড়া জি.আর.পি. থানা থেকে মাত্র দুজন কনেস্টেবল এসেছে
তার সাথে। তারা দুজনে সামলাতে পারবে না ব্যাপারটা। বড়বাবুকে বলে রওনা দেবেন, সে পরিস্থিতিও
নেই। থানার বারান্দায় লোকজন থৈ থৈ করছে। তাদের মাঝখান দিয়ে আসামীকে নিয়ে যাওয়া
আরো রিক্সের ব্যাপার। আবার বৃষ্টিও ঝরছে অঝোর ধারায়। কী করবেন, না করবেন, তা নিয়ে
মনে মনে ভাবছিলেন মেজোবাবু। এমন সময় দেখতে পেলেন একটা সুট কোট পরা সুশ্রী আঠারো-কুড়ি
বছরের যুবক থানার অফিস রুমে ঢুকল। হাতের ভিজে ছাতাটা খোলা অবস্থায় অফিস রুমের মেঝেতে
রেখে বড় বাবুর চেম্বারে ঢুকে গেল। কোন পারমিশন ছাড়াই। দেবব্রত বোধহয় তাকে আগে থেকেই
চিনত। তাই তার কাছে সাহায্য পাওয়ার আশায় জোর গলায় বলল-- রাঘব ! দেখ না, পুলিশ আমাকে
জোর করে ধরে এনেছে।
কথাটা
কানে গেল রাঘবের। ঘাড় ঘুরিয়ে রাজহাঁসের মত একবার দেবব্রত দিকে তাকিয়ে দেখল। কিন্তু
কিছু না বলে ঢুকে গেল বড়বাবুর ঘরে। জ্যোতিষ বাবু দেবব্রতকে চাপা গলায় জিজ্ঞাসা করলেন--
তুই কি ওকে চিনিস নাকি ?
দেবব্রত
বলল-- কেন চিনব না স্যার ? ওর নাম রাঘব । ভালো নাম রাঘবেন্দ্র চৌধুরী। ওর বাবা কমল
চৌধুরী। জগাছা মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান। এলাকায় খুব নামডাক। রাঘব আমাদের সাথে জগাছা
কলেজে পড়ে।
জ্যোতিষ
বাবু গম্ভীর মুখে বললেন-- বুঝতে পারছি। ওর আচার-ব্যবহারে। তা না হলে... বলতে বলতে হঠাৎ
স্তব্ধ হয়ে গেলেন তিনি। তার চোখ জোড়া গিয়ে পড়ল রাঘবের ছাতার ওপর। ভেজা ছাতার জল
গড়িয়ে পড়ছে অফিস রুমের পাকা মেঝেতে। পুলিশের লোকজন তার উপর দিয়ে যাতায়াত করছে।
যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যে কেউ পা হড়কে পড়ে যেতে পারে। হাত পা ভাঙতে
পারে। ছাতাটা মুড়ে এক কোনে রাখলে কি এমন ক্ষতি হত ? অসভ্যের মতো কাজ করেছে। এসব কথা
ভেবে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। তারপর ছাতাটা হাতে নিয়ে বন্ধ করলেন। আর বন্ধ করতে
গিয়ে লক্ষ্য করলেন ছাতাটার বাঁট নেই। আর বাঁটের কথা মনে হতেই আচমকা তার ডান হাতটা
চলে গেল ডান পকেটে। জি.আর.পি. থানা থেকে বের হবার সময় হঠাৎ জ্যোতিষ বাবুর মনে হল,
তদন্ত করতে যাচ্ছেন খালপাড়ে। দেবব্রতদের বাড়িতে। সেখানে যদি কোন ছাতা-টাতা উদ্ধার
হয়, তাহলে তা মিলিয়ে দেখতে কাজে লাগবে। কিন্তু দেবব্রতদের বাড়িতে গিয়ে বেমালুম
ভুলে গিয়েছিলেন ব্যাপারটা। হঠাৎ বাঁটহীন ছাতা দেখে মনে পড়ল কথাটা। তাই নিতান্ত কৌতূহলবশতঃ
পকেট থেকে বার করলেন ছাতার বাঁটটা। রাঘবের ভিজে ছাতাটা নিয়ে সেই বাঁটটা লাগাবার চেষ্টা
করলেন। আশ্চর্যের ব্যাপার, ভাঙা বাঁটটা নিখুঁত ভাবে লেগে গেলো সেই ছাতায় । সাধারণত
ভেঙে যাওয়া বা খুলে যাওয়া ছাতার বাঁট অন্য ছাতায় লাগানো যায় না। তাহলে কি.... মনের
মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলো জ্যোতিষ বাবুর। তিনি তাড়াতাড়ি করে বাঁটটা খুলে আবার পকেটে
রেখে দিলেন।
একটু
পরেই রাঘব বার হল বড়বাবুর চেম্বার থেকে। ছাতাটা যেখানে মেলে রেখেছিল সেখানে ছাতাটা
নেই দেখে, এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল। অবশেষে দেখতে পেল জ্যোতিষ বাবুর পিছনের দেয়ালে
ছাতাটা মোড়া অবস্থায় রাখা আছে। রাঘব ছাতাটা নিতে গেল। জ্যোতিষ বাবু বললেন-- ওটা আমার
ছাতা।
ছাতাটা
খুলে ভালো করে দেখে রাঘব বেশ দৃঢ়তার সাথে বলল-- আমার বললেই হয়ে গেল ? এ ছাতাটা আমার।
জ্যোতিষ বাবু বললেন-- আমার
যে বলছ, তার প্রমাণ কি ?
--
ছাতায় আমার নাম লেখা আছে। রাঘব বলল। এরপরেও কি প্রমাণ দিতে হবে ?
--
তাহলে আমার ছাতাটা গেল কোথায় ? যদিও মেজোবাবু ছাতা-টাতা কিছু আনেননি, তবুও বেশ উদ্বেগের
সাথে কথাগুলো বললেন।
বুকে
বল পেয়ে রাঘব বলল-- আমি তা কি করে জানব ? তবে এ ছাতাটা যে আমার, তা প্রমাণ করার রসিদ
আছে আমার কাছে। দরকার পড়লে তা দেখিয়ে দিতে পারব।
এই
তর্ক বিতর্ক করার পিছনে জ্যোতিষ বাবুর একটা মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। ছাতাটা যে রাঘবের তা
প্রমাণ করার দরকার ছিল। ব্যাপারটা বুঝতে না পেরে অতি সহজেই রাঘব সেই ফাঁদে পা দিয়ে
ফেলল। না হলে পরে বলে বসত-- ও ছাতা আমার নয়।
তাই
এই চাল ইচ্ছে করেই চালাল জ্যোতিষ বাবু। এবার মানে মানে থানা থেকে রাঘবকে নিয়ে যেতে
হবে হাওড়া জি.আর.পি. থানাতে। যাতে এত লোকের মাঝে গোলমাল না হয়, তাই বুদ্ধি করে জ্যোতিষ
বাবু রাঘবকে উদ্দেশ্য করে বললেন-- ঠিক আছে, এই ছাতাটা কার তা ঠিক করে দেবেন.... বড়বাবু
আর বলতে পারলেন না। অর্ডারলি এসে জ্যোতিষ বাবুকে বলল-- বড়বাবু আপনাকে ডাকছেন।
মেজোবাবু
আর বিলম্ব করলেন না। ইশারা করে কনেস্টেবলদর বললেন রাঘবকে দেখতে। তারপর রাঘবের সেই ছাতাটা
নিয়ে বড়বাবুর চেম্বারে ঢুকলেন তাকে দেখে বড়বাবু হাসিমুখে শুধালেন, কি জ্যোতিষ বাবু!
আপনার কাজ হল ?
জ্যোতিষ
বাবু বললেন-- কাজ হয়েছে স্যার! কিন্তু মস্ত বড় ভুল কাজ। দেবব্রত বলে যে ছেলেটাকে
সন্দেহ বসে আমরা ধরে নিয়ে এসেছি, সে আদৌ মার্ডার কেসে জড়িত নয়। তবে যে ছেলেটা জড়িত,
তাকে ধরে ফেলেছি এই থানাতে।
-- তার মানে ? চোখ দুটো কপালে তুলে বড় বউ শুধালেন-- কে সেই খুনি ? তাকে একবার এখানে
আনুন তো দেখি।
--
না স্যার ! ওকে এখানে আপনার সামনে আনা উচিত হবে না। তাহলে সমস্ত দোষ বর্তাবে আপনার
উপর। ও হলো আপনাদের এলাকার চেয়ারম্যানের ছেলে, রাঘবেন্দ্র চৌধুরী ।
বড়বাবু
চমকে উঠলেন রাঘবেন্দ্রের নাম শুনে। কৌতূহলবশতঃ জানতে চাইলেন-- কিভাবে জড়াল ওর নাম
! সে যে খুন করেছে, তার প্রমাণ কি ?
জ্যোতিষ
বাবু এক এক করে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে বললেন বড়বাবুকে। মৃতের মুষ্ঠিবদ্ধ হাত থেকে পাওয়া
ছাতার বাঁটটা পকেট থেকে বার করে ছাতার বাঁটে লাগিয়ে দেখালেন। অবশেষে বড়বাবু বললেন--
তাহলে এক কাজ করুন জ্যোতিষ বাবু ! রাঘবকে থানার মধ্যে এ্যারেস্ট না করে, ওর পিছনে পিছনে
গিয়ে, রাস্তা থেকে এ্যারেস্ট করে নিয়ে যান। তাহলে ওর বাবার চামচাদের হাত থেকে আমি
রক্ষা পাবো।
জ্যোতিষ
বাবু বললেন-- ঠিক আছে স্যার ! তাই হবে।
এ
কথা বলে একটু থেমে, আবার বড়বাবুকে উদ্দেশ্য করে জ্যোতিষ বাবু বললেন-- স্যার! একটা
উপকার করতে হবে।দেবব্রতকে বেল বন্ড, পি.আর.বন্ড করে, থানা থেকে ছেড়ে দেবার ব্যবস্থা
করে দিতে হবে।
--:ঠিক
আছে। ওটা আমি করে দেব।
জ্যোতিষ
বাবু বড়বাবুর চেম্বার থেকে বের হলেন। ছাতাটা রাঘবের হাতে দিয়ে বললেন-- এটা আপনার
ছাতা। আপনি নিয়ে যান।
তারপর
দেবব্রত দিকে তাকিয়ে বললেন-- বড়বাবু তোকে একটু পরেই থানা থেকে ছেড়ে দেবে। আজ আর
পড়তে না গিয়ে সোজা বাড়িতে চলে যাবি। কয়েকদিন পরে আমি তোকে হাওড়া জি.আর.পি থানাতে
একবার ডেকে নেব। কিছু কথা জানার আছে। তখন গিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করিস।
দেবব্রত
বলল-- হাঁ স্যার ! অবশ্যই যাব। আমার ফোন নাম্বারটা আপনাকে লিখে দিচ্ছি।
একথা
বলে একটা কাগজ নিয়ে খচখচ করে তার ফোন নম্বরটা লিখে দিল। রাঘব আর মুখে কিছু বলল না।
চোখ পাকিয়ে ক্রুর হাসি হাসল। তারপর থানা থেকে বার হল। আর বাজারটা পার হতেই তাকে ধরে
গাড়িতে তুলে নিল মেজবাবু।
গাড়িতে
তুলতেই রাঘব চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিল। তারই ফাঁকে জিজ্ঞাসা করল-- আমাকে কোথায়
নিয়ে যাচ্ছেন স্যার ?
মেজোবাবু
মহাদেবের মত ধীর-স্থির অবিচল। অবশেষে মুখ খুললেন। রাঘবের প্রশ্নের জবাবে বললেন-- তোমাকে
হাওড়া জি.আর.পি থানাতে নিয়ে যাচ্ছি। তোমার পাপ পুণ্যের হিসেব কষতে।
(চলবে)
----------------------------------------------------------------
এই বিভাগে আপনিও আপনার মৌলিক অপ্রকাশিত সেরা লেখাটি পাঠাতে পারেন।
ankurishapatrika@gmail. com
----------------------------------------------------------------

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন