অঙ্কুরীশা-র পাতায় অন্য ক্যানভাসএর ২০ বছর উদযাপনের বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে চলছে দুই বাংলার অনলাইন গল্প উৎসব"স্বল্প কথার গল্প''।উদ্বোধক হিসেবে পেয়েছি স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক সম্মাননীয় তপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে। বিশেষ অতিথি গল্পকার হিসেবে পেয়েছি সম্মাননীয়া মৌ মধুবন্তী এবং সপ্তদ্বীপা অধিকারী কে।আজ উৎসবের ৭ম দিনে আছেন এই বাংলার দুই বিশিষ্ট গল্পকার~ নিমাই মাইতি এবং মহুয়া ব্যানার্জী। আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ। উৎসব টি উপভোগ করুন। আপনাদের লাইক ও কমেন্ট এ আমাদের এই চলার পথ সুদৃঢ় হোক,এই আশা রাখি।
শুভেচ্ছান্তে--
সিদ্ধার্থ সাঁতরা
সভাপতি,উৎসব কমিটি।
বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়,
সম্পা,অন্য ক্যানভাস।
যুগ্ম আহ্বায়ক: মিতালী ত্রিপাঠী ও রীতা বেরা।
অপমান
নিমাই মাইতি
বিশ্ব আর রীনা স্কুল জীবনের অন্তরঙ্গ বন্ধু। গত পাঁচ বছর তাদের সম্পর্ক। একদিন কেউ কাউকে না দেখলে ঘুম আসে না। বিশ্ব ছবি আঁকে কবিতা লেখে। রীনা তার স্বপ্ন ভালবাসার কথা বলে। বিশ্ব বাড়িতে বলে উঠতে পারে না। বিশ্বর মা একদিন বলে, কিরে এবার বিয়ে থা কর। তোর বাবা মেয়ে দেখা শুরু করেছে। সুযোগ বুঝে বিশ্ব মাকে জড়িয়ে বলে-মা, একটা মেয়েকে ভালোবাসি। তাকে ছাড়া জীবনে কাউকে বিয়ে করব না।-তাহলে এতদিন বলিসনি কেন? তোর বাবাকে তো জানিস।--আমি অতসব বুঝি না। তুমি বাবাকে একটু ম্যানেজ করো।
মেয়েটিকে একবার আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়। রীনাকে দেখে মা খুব খুশী।
তার কয়েকদিন পরে রীনার বাপ ছেলে দেখে রীনার বিয়ে দিয়েছে। ক'দিন যোগাযোগ নেই। বিশ্ব বাড়িতে গেলে রীনা বেরিয়ে এসে বলে-তোমার মত ছেলেকে বিয়ে করা অসম্ভব। মুখের উপর দরজাটা বন্ধ করে দেয়। বিশ্ব নির্বাক হয়ে দেখে, বকের ডানা থেকে বৃষ্টি পড়ছে।
লাশ
মহুয়া ব্যানার্জী
বাজারের পাশ দিয়ে যে নালাটা সোজা চলে গেছে, তার পাশেই এখনো দেহটা পড়ে।মাছি ভনভন করছে তার নাকে মুখে। পরনে পোশাক না থাকায় শরীরের সমস্ত আঘাত, রক্ত যৌবনের সাথে মিশে হাতছানি দিচ্ছে লোলুপ দৃষ্টিকে।সেই রক্তের সাথে হয়তো মিশে আছে অনেকটা অসম্মান আর অসহায়তা।
পরিত্যক্ত এই মিলের ভেতরেই থাকতো পাগলীটা। ভরা যৌবন নিয়ে আলুথালু বেশে চুপ করে বসে থাকতো বাজারের পাশে।দয়ার দানে খাওয়া জুটত।পরাও জুটে যেত মাছওয়ালী, সব্জিওয়ালীদের দৌলতে। কারো কোন ক্ষতি করেনি। তবুও আজ সে লাশ হয়ে পড়ে আছে। বাজারের সকলেই বুঝতে পারছে গত রাতে ঠিক কি ঘটেছিল! কিন্তু এক পাগলীর জন্য প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে যাওয়া একদম উচিত নয় সেটাও সকলে জানে।
"ডবকা মাল ছিল শালী।"বলতে বলতেই বাসি লাশের ওপর রাতের বিকৃত বাসনা চরিতার্থ করতে লেগে পড়ে আরো এক পুরুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন