অঙ্কুরীশা-র পাতায় অন্য ক্যানভাসএর ২০তম বছর উদযাপনের বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে চলছে দুই বাংলার অনলাইন গল্প উৎসব~"স্বল্প কথার গল্প'"।উদ্বোধক হিসেবে পেয়েছি স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক সম্মাননীয় তপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে। বিশেষ অতিথি গল্পকার হিসেবে পেয়েছি সম্মাননীয়া মৌ মধুবন্তী এবং সপ্তদ্বীপা অধিকারী কে।আজ উৎসবের চতুর্থ দিনে আছেন এই বাংলার দুই বিশিষ্ট গল্পকার~ নিখিল পানডে এবং মানসী রায় চট্টোপাধ্যায়। আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ। উৎসবটি উপভোগ করুন। আপনাদের লাইক ও কমেন্ট এ আমাদের এই চলার পথ সুদৃঢ় হোক,এই আশা রাখি
শুভেচ্ছান্তে--
সিদ্ধার্থ সাঁতরা
সভাপতি,উৎসব কমিটি।
বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়,
সম্পা,অন্য ক্যানভাস।
যুগ্ম আহ্বায়ক: মিতালী ত্রিপাঠী ও রীতা বেরা।
নিখিল পানডে
বনেদি বংশ
আজ সুরেন্দ্রর বিয়ের ফাইনাল হচ্ছে। দোতলার ঝকঝকে মেঝেতে বসে চলছে দু'পক্ষের আলাপ আলোচনা।
পাত্রপক্ষ আঠারো ভরি সোনা, দশ লক্ষ ক্যাশ, অল ফার্নিচারস দাবী করেছে।
পাত্র হীরের টুকরো। ই সি এলে চাকরী। ফ্যাট স্যালারী। বাড়িতে আছে একটা রয়েল এনফিল্ড, একটা স্করপিও, একটা ডোভার। বনেদি বংশ।
আলোচনা চলছে। চলছে হাসি - মশকরা। প্লেটে প্লেটে পড়ে রয়েছে না খাওয়া সব অবশিষ্টাংশ। রকমারী মিষ্টি, আঙুর, খেজুর, টুকরো আপেল, কাজু - কিসমিস ইত্যাদি।
পাত্রীর দাদা মহেশ হঠাৎ লক্ষ্য করে, মেঝেতে যে ঝকঝকে পাতনটির ওপর ওরা বসে আছে সেটার এক কোণে বড় বড় হরফে লেখা আছে --- "স্টোলেন ফ্রম ই সি এল, ই সি এল সে চুরাই হুয়া হ্যায়। "
বিস্ফারিত চোখে মহেশ লেখাগুলির দিকে তাকিয়েই থাকে...।
শোধ
মানসী রায় চট্টোপাধ্যায়
গভীর রাত। নির্জন রাস্তায় ঝড়ের বেগে ছুটছে গাড়ি। রাজকীয় নৈশ ভোজ আর মোটা অঙ্কের লেনদেন শেষে মাঝবয়সী প্রমোটার মালহোত্রার মেজাজটা আজ ফুরফুরে। হঠাৎ, গাড়ির আলোয় কিছু একটা দেখেই সজোরে ব্রেক ! একি!!! প্রায় নগ্ন, বিধ্বস্ত এক তরুনী...
জানলার কাঁচ নামালেন। মেয়েটি কোনোমতে বলল
" আমাকে প্লিজ একটু হসপিটালে পৌঁছে দেবেন?"
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মেয়েটিকে তুলে নিলেন গাড়িতে।খানিকক্ষণ পরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চকিতে এক ধাক্কা। চলন্ত গাড়ি থেকে ছিটকে বাইরে পড়লেন মালহোত্রা। রক্তাক্ত দেহটা কেঁপে কেঁপে উঠে একসময় নিথর হয়ে গেল। অন্ধকারের বুক চিরে গাড়ি ছুটলো নির্জন রাস্তায়।
ভোর ছ'টা। সুন্দরী এক তরুণী এয়ারপোর্টে ঢুকল। দু'ঘণ্টা পর ফ্লাইট... উড়ে যাবে বহুদূর...। যেদিন নাইট ডিউটি করে ফেরার পথে মালহোত্রার পোষা গুন্ডারা ওকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মালহোত্রার বাংলোতে, সেদিন ও আর্ত চিৎকার করেছিল , কেউ বাঁচাতে আসে নি। আইন তাদের শাস্তি দিতে পারিনি, তাই সে নিজেই নিয়েছে প্রতিশোধ, তার এতটুকু আত্মগ্লানি নেই।
সুন্দর সব গল্প পড়লাম। অভিনন্দন জানাই।
উত্তরমুছুনঅসাধারণ গল্প অল্প কথায় ছোট্ট ছোট্ট পায়ে কি সুন্দর সাজানো গল্প দুই গল্পকারকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিনন্দন সঙ্গে জানাই অঙকুরীশাকে আমার হার্দিক অভিনন্দন
উত্তরমুছুন