একটু ক্ষুধার দানা
কোন এক আতঙ্কে কাঁপছে বুক আমার,
জোয়ার- ভাঁটার মতো সব ওলোট-পালট হয়ে গেল।
শুধু সেল ফোনের অন্য রিং-টোনের ভাষায়,
বাক্যালাপে প্রকাশ পেল অদ্ভুত নির্ভীকতা।
তখন তোবড়ানো টিনের বাটি হাতে,
নোংরা সকাল আর এক ভিখিরি দাঁড়িয়ে আছে।
তাই দেখে অন্ধকার পিছনে মুখ লুকালো।
তাদের জন্য কী উপহার দেব ভাবছিলাম!
আলোকিত বলিষ্ঠ কবিতার পৃথিবী দেব,
নাকি, 'আলো'; নাকি, একটু 'ক্ষুধার দানা'?
আমার কবিতা পড়ে
বিশ্বাস করো...
আমি তো তোমাদের মতো বাঁচতে চেয়েছিলাম,
মোমবাতি নিভিয়ে পরিবারের কথা ভেবেছিলাম,
আর পৃথিবীকে জীবন্ত সবুজ সুন্দর গড়তে চেয়েছিলাম,
কিন্তু বৈঁচিমালা গলায় দিয়ে এখন ধিন ধিন করে নাচছি।
কারণ একটাই...
কেউ কথা রাখে নি।
সনাতন পাঠকরা জানবে, এ যুগে কেউ কথা রাখে না!
তবুও; একটা জিনিসের অপেক্ষায় আমি আজও...
আমার কবিতা পড়ে যদি ডাকাতও প্রেমিক হয়,
মঙ্গল গ্রহে যদি আমার ছোঁয়ায় মুক্ত বিশ্ব শুরু হয়,
আর আদিম সেই প্রথম গুহায় মোমবাতি জ্বলে ওঠে,
তবেই আমি-একবার নক্ষত্রের পানে...
একবার তোমার হৃদয়ে আমার কবিতা পড়ে শোনাবো।
অহমিকা
সারারাত ধরে জেগে আছি
ডুমুর ফুল ফোটে দেখবো বলে
ছড়িছড়ি আবিরের রং ঘুমভাঙা আকাশের কোলে।
কী লাভ হয়?
সেই তো শেষে একূল ওকূল দুই-ই হারালাম!
হাতের ক্যামেরাটা চোখ থেকে দূরে সরালাম,
এবারই আমি পরিস্কার দেখতে পেলাম
লালরক্ত আর শূলে বেঁধা মাংস খেলাম।
ঠিক সেই সময় মনে পড়ে কোনো স্মৃতি
ভাবতে ইচ্ছে করে-- কেমন করে সে বিস্মৃতি!
ঝলসায় আগুণের পাশে মরা হাড়গলা অনামিকা,
সারারাত ধরে খোলা আকাশে ভাবি এই অহমিকা।
পৃথিবীর মতো বর্ণময়
উপহার চেয়েছিলি তাই তোকে দিলাম-
তোর শ্রদ্ধেয় দাদার তুলসিপাতা মুখ।
ঠিকানা কই, তোর দাদার ঠিকানা;
তাই এডাল থেকে ওডাল ওড়া পাখির ঠিকানা দিলাম।
পাখিদের ভাষালিপি পথ ও প্রান্তর,
পান্থনিবাসের ভিড়ে রাখালিয়া গান দিলাম।
গাছেতে ওড়া পাখিদের সঙ্গ থেকে গ্রহণ করেছি,
তোর সঙ্গে তোর দাদার ভালোবাসার কথা।
প্রেমিকার হাত থেকে কেড়ে নিতে পারিস ভালোবাসা,
কেননা তোর ভালোবাসার অলিন্দ তার চেয়েও বেশি,
সেই ভালোবাসার চিহ্ন কবিতায় সাধ্যমতো প্রতিপদে,
তাই প্রত্যেক কবির শব্দ পৃথিবীর মতো বর্ণময়।
সম্পাদক মহাশয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ🙏💕
উত্তরমুছুন