পিচকালো সব শুনসান পথে
চারচাকাদের ছুটি,
মহা আনন্দে পারাপার করে
কটা হাঁস গুটি গুটি।
পার্কে মজায় খুশিতে লুটায়
কয়টা হাতী ও বাঘ,
জীবনের মানে অন্যরকম
ভুলে গেছে সব রাগ।
সাগরের নীলে খুশির অনিলে
ডলফিন লাফালাফি,
এত নীল তারা জীবনে দেখে নি
ভুলেছে দুঃখ ঝাঁপি।
চারিদিকে দেখে ওদেরই তো রাজ
মানুষেরা আজ লুকিয়ে,
এতদিন তারা মেনেছে শাসন
এবার নেবে তো গুছিয়ে।
অবলা প্রাণীরা বিনয়েতে কয় ,
মুছে দাও এ দুষণ,
তোমার পৃথিবী হোক আলোকিত
অঙ্গে স্বর্ণ ভূষণ।
দীপক বেরা
নামটি তার চতুর আলম
হাটে বাজারে
বেচে মলম।
চুলকানি আর দাদ যত
সারবে সবই
গায়ের ক্ষত।
ভিড় জমিয়ে লোক দাঁড়ায়
নখ দিয়ে সব
গা চুলকায়।
চতুর আলম হাঁকে হরদম
খোস-পাঁচড়া'র
"আশ্চর্য মলম"!
চুলকানি ভাই ভীষণ বাজে
মান-ইজ্জত কি
থাকে সমাজে?
হরেক মানুষ মলম কেনে
চর্মরোগ যার
আছে গোপনে!
ঘা-এর মলম দেদার বিকায়
আলম চাচার
ফুর্তি বেজায়।
হঠাৎ দেখে ত্রিলোচন কাকা
আলম মিঞার
গায়েতে ঘা!
শোরগোল! হায় হায় এ কি?
ধরা পড়ে যায়
চতুরের বুজরুকি!
প্রমাদ গোনে, আর সবাই বাকি
"আশ্চর্য মলম"-এর
আশ্চর্য ফাঁকি!
তাপস বর্মন
ছাতা মাথায় স্বপন খুড়ো বেরিয়ে ছিলেন পথে,
হটাৎ দেখেন ছায়াটি তার চলছে সাথে সাথে।
ছায়া কেন সঙ্গে যাবে
শনির দশা নিশ্চই হবে
পাঞ্জি খুলে দেখতে হবে কি আছে তাতে।
পাঞ্জি খুলে স্বপন খুড়ো দেখেন সরষে ফুল,
কেন্দ্রে দিব্যি বৃহস্পতি কোথায় হল ভুল।
এবার ওঝা ডাকতে হবে
তিনি সঠিক কথা কবে
ছাতাটি বোধ হয় স্বপন খুড়োর যত নষ্টের মূল।
রাত দুপুরে ওঝা এলেন সঙ্গে চন্ডাল হাড়,
অং বং চং করলেন শুরু ছায়া তাড়াবার।
খুড়ি গেলেন বেজায় চটে
ঝাঁটা হাতে যেই না ওঠে
অমনি ওঝা ঝোলা গুটিয়ে হলেন পগার পার।
খুড়োর ভয়ে ঘুম আসেনা দুরু দুরু বুক,
ছায়া বিভ্রাট কেড়ে নিল স্বপন খুড়োর সুখ।
অবশেষে খুড়ো ভাবেন
নন্দ বাবুর কাছে যাবেন
তিনি হলেন ওই এলাকার বিজ্ঞানের মুখ।
বিবর্ণ
বিশ্বে এখন অগ্নি দহন
জ্বলছে আকাশ আলোক শিখায়,
সবুজ পাতা হলুদ হলো
হারিয়ে যাওয়ার সেই ঠিকানায়।
আমরা মানুষ বেহুঁশ বড়ো
করেছি শুধু অত্যাচার,
নিজের আরাম আয়েশ ছাড়া
বুঝি না যে কিছুই তো আর।
বলল নদী, দূষিত আমি
বলল সাগর ,হায় হায়,
গাছ বলল,কেটো না আমায়
বলল বাতাস, আমি অসহায়।
এসো না আমরা ভালোবেসে সব
জ্বালি নতুন আলোক শিখা
সবুজ প্রাণ আর মুক্ত বাতাস
এই হোক জীবনের সব শিক্ষা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন