স্বার্থে!
স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক । ফিরছে অন্য রাজ্য থেকে। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবার আর বাবার হবার সুখানুভূতি একসাথে।
আপাতত স্টেশনের কোয়ারেন্টাইনে। স্ত্রী ফোনে জানালো আসার দরকার নেই। যে আসছে, তাকে সুস্থ থাকতে দাও।
তোমাকে ভালোবাসি
সরস্বতী পুজোর দিন। হলুদ পাঞ্জাবিতে সদ্য গোঁফের রেখা নিয়ে শুভ ।পকেটে এক টুকরো কাগজ। বাসন্তী শাড়িতে ঝিমলি। মুখোমুখি দাঁড়ালোও খনিক।চোখে চোখ। কিন্তু...
শুভএখন মধ্য পঞ্চাশে। ঝিমলি বিবাহিতা। এখনও কাগজের টুকরোটা শুভর ডায়েরির ভাঁজে।
ভোঁ
লক ডাউন শেষ। জুট মিলের ভোঁ বেজে উঠল। ধড়মড়িয়ে উঠে বসল লখাই। ঘুম চোখে বৌকে খুঁজলো।
বৌ রাতে কোথায় যেন গেছিল। এই ফিরলো। কোঁচর থেকে মুড়ি বাতাসা বাটিতে ঢালতে ঢালতে গজরালো
"নাও, ওঠো দিকিনি, গতরটা একটু নাড়ো। দু'টো গিলে কাজে যাও। "
উচ্ছিষ্ট
মেয়েটা বাড়ি ফেরেনি এখনও। পাঁচ বাড়ি কাজ করে ঊষার মা ভাত নিয়ে ঠায় বসা।
মাঝরাতে মেয়ে ফিরলো, সারা গায়ে জ্বলন নিয়ে। সিগারেটের ছ্যাঁকার জ্বলন! বলল, "ওরা ট্যাকা দেবে বলেছিল, দিলো না। শুধু ফুর্তিই করল।"
ঊষার মায়ের চোখে আগুন! বলল, "মরণ হয় না কেন তোর?"
বন্ধন
চার দেয়ালে আবদ্ধ অসুস্থ অনুপমা। সমরেশ ব্যস্ত কর্মজগতে। কোথায় যেন একটা দূরত্ব!
একসময় ওরা গানে মেতে থাকত। বন্দী অনুপমার খুব শুনতে ইচ্ছে করে সমরেশের গান।
হঠাৎ সেদিন বাড়ি ফিরে সমরেশ সোজা বারান্দায়। খানিক উদাস । গেয়ে ওঠে 'যে রাতে মোর দূয়ারগুলি... '!
হুইল চেয়ার টেনে বারান্দায় এলো অনুপমা। দুজনের চোখেই জলের ধারা...
যেকোনো বিভাগে অপ্রকাশিত লেখা পাঠান।
মতামত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন