সেও তলিয়ে গেল হাঁটুজলে
বাহাত্তুরে পেয়েছে তাহলে
আবহবার্তা ছিল ঝড়;
ঝড়ের অভিঘাতে
আমার মনখারাপের আঙিনাতে
জটিল প্রকৃতি-প্রত্যয়
এ বঙ্গ নবান্নভোজী
ইফতারে সিমুয়ের পায়েস
প্রকাশ্য দিবালোকে রংবাজ
হাড় বদমায়েস
নেবে পাঙ্গা ?
পড়ো। পড়ো। পদ্মা নদীর মাঝি
গঙ্গা
অলীক গাছের কোটরে
আমার কাছে কস্তুরী নেই
আছে শুধু পাখির জন্যে খড়কুটোর বাসা
আলমারিতে ছড়ানো আছে ন্যাপথালিনের বল
আদরগন্ধে রাখা পোশাকআসাক
সুগন্ধি চা-পাতার দাম খুব। তবু
বয়ামভর্তি ধরে রাখি মুহূর্তসংকেত
আমি তো কুমির নই। কাঙাল প্রেমিক
অনন্তকাল তাকিয়ে আছি ধানসিড়িটির দিকে
পাখিরা ফিরবে কবে? পালকে পালকে লেগে
এক আকাশ নীল
মনকেমনের মেঘ
পুরনো দিনের গন্ধমাখা বিস্রস্ত নীড়
সকলেই ফেরে কি? কেউ কেউ
গল্পের ধূর্ত বানরের মতো। ফেরেনি কখনও
অলীক গাছের কোটরে রাখা পাললিক হৃদয়
খুব দূরে নেই
মার খেতে খেতে ইস্পাত
ধারালো রোদের ব্লেডে
নীরক্ত চীৎকার
শুকনো করোটি আর পাঁজরের
সম্বল নিয়ে
অপরাধ জমে
মাতালের মতো বিন্দাস ঘুমে
গোপন ভাঁড়ারে যাওয়া খয়রাতি ডোলে
রাস্তার এল.ই.ডি আলোর নিচে সভ্যতা পড়েছি
তাই মৃতপ্রায় হাঁসেদের মতো করুণ স্বপ্নশব
ভেসে যায়
একটি কচুরিপানার বিদায়দৃশ্য দেখে যাব
জষ্টি দুপুরে
বেগুনি আলোর সেই অমোঘ দুপুর
খুব দূরে নেই
ও বসন্তের মেঘবিকেল
জাতীয় সড়কগুলো প্রায়শই স্তব্ধ আর শুনসান
কিংশুক দিনগুলো বহুদিন অন্তর্হিত
চারপাশে অকাল মননতুষার
খর রৌদ্রমাসে উনিশের মেঘও
আর জায়মান নয়
ও বসন্তের রূঢ় মেঘবিকেল ! তোমার
প্রবাসজীবন কত দীর্ঘ হলে
ভাষা-অন্ধকারের কোন নির্বীর্য রাতে
বের হবে দুর্ধর্ষ মিছিল
এমনই হয়তো
এমনই হয়তো তাকিয়ে আছো
দূরে পাহাড় বালির নদী
হয়তো কোথাও বসবে পাখি
শুনতে পেলে মেঘের দ্রোহ
বুকে হয়তো চাপা কষ্ট
অন্তঃসলিল সঞ্চরমান
সাতটি তারার তিমির খুঁজে
কাউকে হয়তো কথা দিচ্ছো
হয়তো তোমার ঘুম ভেঙেছে
তোমার পাশে ছায়াকাতর
তোমার হয়তো কিচ্ছুটি নেই
তবু তুমুল বৃষ্টি ভিজছো
আপনি যেকোনো বিভাগে অপ্রকাশিত লেখা পাঠান
মতামত জানান
bimalmondalpoet@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন