গৌতমকুমার দে
জ্যোৎস্নায় লাশ শুয়ে আছে
ঠিক এই সভ্যতা আমরা দেখতে চাইছিলাম না;
যেখানে হাতের নখ বেরিয়ে আছে নিপুণ অস্ত্র হিসেবে—
মানুষের মাথা এখানে মলোটভ বোমা—
ভালোবাসা বিশ্বাস শ্রদ্ধা জঙ্গলে মুখ লুকিয়েছে,
আমাদের রাজনীতি কূটনীতি বেআব্রু করে দিয়েছে বিছানা,
এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে যারা জানে ও পারে
তাদের জন্য হলুদ সাংবাদিকরা রাতভোর জেগে আছে।
এই বিপন্ন বধ্যভূমিতৃ আমরা কার সাথে মুখোমুখি?
ধ্বংস করতে উদ্যত এই নিশান ধর্মের নামে মিশে যাচ্ছে —
তাই জ্যোৎস্নারাতে শুয়ে আছে রক্তমাখা লাশ পাশাপাশি।
ইচ্ছে কথা
মিশরের নীলনদ থেকে তুলে আনি জ্যোৎস্নার জল,
আমেরিকার লুরে গুহা থেকে নিই জলপাথরের গয়না,
ফ্রান্সের কর্সিকান দ্বীপ ছুঁয়ে আসি নেপোলিয়নের জন্মস্থান—
আসলে আমি খুঁজতে চাইছিলাম সমস্ত কবিতার উৎসপথ,
গহীন অরণ্য থেকে বেলাভূমি, সমস্ত পাহাড়ের নীচে মরুভূমি,
যা খুুঁজি সবই কবিতার মতো... মানব প্রজাতির ইচ্ছে লেখা।
স্পর্শ
আঙুলে ছুঁয়ে আছে তোমার মন,
এই নির্জনে শুধু চাঁদ ছাড়া কেউ নেই।
চাঁদ নেমে গেলে থাকে ব্যক্তিগত অন্ধকার ;
আমি যখন তোমাকে দেখতে পাই না,
কেবল স্পর্শের স্মৃতি লেগে থাকে
আঙুলে ও ওষ্ঠে।
ভালোবাসা
ভালোবাসা যা ছিল সবই তো দিয়েছি উজাড় করে
ফেরত চাইনি কিছুই,
ভোরের আকাশে তারার মতো মিলিয়ে গেছিস কবে,
আজ চোখের জলের দাম দিবি কী তুই?
বৃষ্টি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন