আকাশ-কুসুম
অফিস ফেরত রণজয় মেট্রোতে বাড়ি ফিরছে। সিট না পেয়ে লেডিস সিটের পাশে দাঁড়ায়। সামনে বসা মেয়েটির দিকে তাকায়। সত্যিই, অপূর্ব দেখতে মেয়েটা!
রণজয়ের ভীষণ ইচ্ছে করে ওর প্রেমিক হতে!
পরমুহূর্তেই ভাবে, ধ্যুর শালা! সামান্য কেরাণীর চাকরি করে আকাশ-কুসুম ভাবনা!
হঠাৎ, বোনের ফোন, বাবার একটা জরুরী ওষুধ কেনা খুব দরকার!
অলংকরণ-বিমল মণ্ডল
বাবা
ছোটবেলায় বাবা আমাকে স্কুলে নিয়ে যেতেন, খেলার মাঠে নিয়ে যেতেন। রাস্তায় যেতে যেতে পিঁপড়ের সারি দেখিয়ে বলতেন, "দেখো দেখো পিঁপড়েরা কতো পরিশ্রমী, বর্ষাকালের জন্য খাদ্য সঞ্চয় করে রাখছে। মানুষকেও এরকম পরিশ্রমী ও স্বাবলম্বী হতে হয়।"
আজ, আমিও বাবা হয়েছি, কিন্তু, বাবা নেই।
দুই বাবার সাথে দেখা হবেনা আর কোনদিন...!
অলংকরণ- বিমল মণ্ডল
রাঙাপিসি
ছেলেবেলায় রাঙাপিসির সাথে খেলেছি, রাতে বিছানায় শুয়ে রাঙাপিসির কতো গল্প শুনেছি। আজ আমি বড়ো হয়েছি। রাঙাপিসি আর আমার সাথে খেলেনা, গল্প শোনায়না!
রাঙাপিসির বিয়ে হয়নি। একদিন রাঙাপিসি বাথরুমে সুইসাইড করে! পুলিশ এসে বডি নিয়ে যায় থানায়। পোস্টমর্টেম করা হয় মৃত্যুর কারণ জানতে।
হায়রে সমাজ! কেউতো বেঁচে থাকার কারণটা জানতে চায়না!
অলংকরণ- বিমল মণ্ডল
বিবাহপ্রস্তাব
খগেন বাউরির মেয়ে ময়না ডাগরডোগর হয়েছে! পথেঘাটে বেরোলেই পটলা ময়নাকে চোখ দিয়ে গেলে। মা-বাবা মুনিশ খাটতে গেলে, সুযোগ বুঝেই পটলা ময়নাদের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে। মুখে গামছা বেঁধে ময়নাকে ধর্ষণ করে। জানাজানি হয়, মোড়ল নিয়ে বিচারসভা বসে। পটলার বিবাহপ্রস্তাবে মিটমাট হয়।
এভাবে বিবাহপ্রস্তাবেই প্রতিটি ধর্ষকের হবে বেকসুর খালাস!
অলংকরণ -বিমল মণ্ডল
সাহস
বুলগানি, পাড়ার ডাকসাইটে মাস্তান! রকে বসে মেয়েদের টিজ করে। সেদিন শুভময়ের বোনকে রেপ করে কেস খায়। বাড়ি গিয়ে শুভময়কে শাসায় কেসটা তুলে নিতে।
চিরকাল কেন্নোর মতো গুটিয়ে থাকা শুভময়ের আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বুকে আগুন জ্বলে! সাহস জাগিয়ে চিৎকার করে বলে, "আয় শালা শুয়োরের বাচ্চা, মায়ের দুধ আমিও খেয়েছি!"
অপ্রকাশিত লেখা গদ্য ও পদ্য পাঠান
মতামত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন