বুধবার, ৩ জুন, ২০২০

নির্বাচিত কবিদের কবিতাগুচ্ছ



                      ফ টি ক চৌ ধু রী 

  
    ভূমিকা

ক্রোধ থেকে হতাশা জন্মায়
অগ্নিকে প্রশমন করতে পারে
একমাত্র জল
জলের অপর নাম জীবন
অথচ জলের ভূমিকা অনেক।

কত আন্তরিক ভূমিকা 
অবহেলিত হয়
তাই এখন আর হতাশ হই না।



    দিবস

কতশত দিবস পড়ে থাকে উঠোনে
খেলা করি তাহাদের সাথে
খেলাচ্ছলে হারিয়ে ফেলি কিছু দিবস
সে ছবি আকাশ কি তুলে রাখে?
ওর শ্যেনচক্ষুর মধ্যে আছে সি সি ক্যামেরা?
তাই ভরসা রাখি এখনো
আকাশের ওপর।

দিবসের খবর রাত্রি রাখে না
শুধু দেওয়া নেওয়ার সম্পর্ক...

মানুষের মতো।





   সম্পর্ক

ফেসবুকের প্রশংসাগুলো সাজালে
পাহাড়প্রমাণ
যখন তখন ধস নামতে পারে
ধস নামে সম্পর্কেও
চিনা পুতুলের মত ঠুনকো।

একটা ইমারত গড়তে কত মেহনত!
অথচ রিখটার স্কেল মাত্রা ছাড়ালেই
সব ধসে পড়ে

সম্পর্ক এখন কলকাতার গাছ
তার শেকড় বেশিদূর যেতে পারে না।



   সময়

গভীর রাত হলে চারিদিকের আলো
 নিভে যায়
প্রতিটি বাড়ি তখন মৃত মনেহয়
মনেহয় যারা ঘুমিয়ে আছে তারাও মৃতবৎ
অথচ মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে
কত চঞ্চলতা করেছিল বসত।

আসলে সময়ের কাছে
নিয়ম শিখে নিতে হয়
নিয়ম, শৃঙ্খল পরিয়ে দেয় 
সকলের পায়ে

সকাল কখন, সময়ের পায়ে পায়ে
গভীর রাত হয়ে যায়।





    আকাশ

একটি আকাশ--
তাকে কতজন কতভাবে ব্যবহার করে!
এতে তার কিছু যায় আসে না
সে তো মেলে দেয় আঁচল
মায়ের মতো। মুছে দেয়
আঁচল দিয়ে মুখ, কপালের স্বেদবিন্দু।
আমি তো তার নীলে ডুবিয়ে দিই তুলি
আদর আঁকি ভালবাসা আঁকি
আঁকি প্রিয়তমার মুখ, মুখোশ আঁকি না
মুখোশ পছন্দ করে না আকাশ
মেঘ ঢেকে দিলে বাতাসকে খবর দেয়
সে ঠিক সরিয়ে দেয় মেঘ
হেসে ওঠে আকাশ
আকাশ ভরা সূর্য তারা
দেখে কেউ কবিতা লেখে
কেউ করে গান
সবার একটিই আকাশ

ঠিক মায়ের মতো।



অপ্রকাশিত গদ্য ও পদ্য পাঠান
নিজের অভিমত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com        


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন