যাবতীয় অসুখ
যে হৃদয় তুলে দিয়েছি তোমার দু-হাতে
তা আর কিছু নয়-
পবিত্র স্নিগ্ধ শিশিরের কণা মাত্র।
সামান্য তাপে যদি শুকিয়ে যায়
তাহলে কোন শিশির আর কোনদিন
পৃথিবীর বুকে নেমে আসবে না।
তুমি তাকে বাঁচিয়ে রেখো সেভাবেই
যেভাবে প্রদীপের শিখা বেঁচে থাকে
দু'হাতের তালুর মাঝে।
কথা দিলাম, নির্মল শিশির দিয়ে একদিন
ধুয়ে দেব তোমার ফেলে আসা সময়ের গায়ে
লেগে থাকা যাবতীয় অসুখ।
জলপাই বনে বৃষ্টি
পৃথিবীর গায়ে জ্বর , ফুসফুসে সংক্রমণ
ভেন্টিলেশনে শুয়ে অচেতন সময়,
অগণিত মানুষ মৃত্যু হাতে প্রহর গোনে;
জলপাই বনে কেমন যেন ঝড়ের ইঙ্গিত
অঝোরে বৃষ্টি নামতে পারে
চলবে অনন্তকাল…
আতঙ্কের কুয়াশায় কয়েকটা দিন
আতঙ্কের কুয়াশায় কয়েকটা দিন মাখিয়ে নিলাম -
আনন্দঘন মুহুর্তের কিছু স্বরলিপি;
আবার ফিরে এলাম,
বিষাদের আলোয়ান গায়ে
মন খারাপের বকুল বনে।
আবার স্মৃতির শাখা থেকে পেড়ে নেব
শুকিয়ে যাওয়া বিগত কয়েকটা দিন
দুঃসময়ের মাদুরে পরিপাটি করে সাজিয়ে
খুঁজবো মৃত দিনের ব্যার্থতার নির্যাস;
যদি পারি অতীতের গায়ে লেগে থাকা
ছিটেফোঁটা সুখ খুঁজে নিয়ে মাখবো শরীরে।
পরিব্রাজক হয়ে হেঁটে বেড়াবো
আবছা সময়ের মানচিত্র জুড়ে;
নয়তো, মনের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে
পান করে নেব নীরস গদ্যময় সময়।
ব্যথারাই বোধহয়
আমি প্রতিদিন প্লাস্টিকের প্যাকেটে বেঁধে
ব্যথাগুলো আবর্জনার স্তুপে ফেলে আসি
ল্যাম্পপোস্টের আড়ালে গিয়ে অপেক্ষা করি
মিউনিসিপালিটির আবর্জনা বহনকারী গাড়ির।
গাড়ি এগোতে থাকে একসময় পথের বাঁকে হারিয়ে যায় আমি এক পা এক পা করে ফিরে আসি নিজস্ব বাসায়
দেখি আমার বিছানা, সোফা,বইয়ের তাকে
কেমন ভয়ার্ত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে ওরা।
কেন জানি না আজকাল ব্যথাদের বড়ো জন্য দুঃখ হয়
আসলে ওরাই একমাত্র বোধহয় আমার সঙ্গে থাকবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন