চন্দ্র বলয়
ছায়ারা আদিবাসী হলে
বিকেল নেমে আসে দ্রুত
জমা অন্ধকারের অপেক্ষায়... ঘাস ফড়িং গন্ধ নেয় সরষে পরাগের...
চাঁদ নেমে আসে মহুলের আশেপাশে
মেয়েটি গলায় খেয়াল তুলে অঞ্জলি ভরে তুলে নেয় এক আঁজলা শান্ত বাতাস...
স্রোতহীন জলে চাঁদ আরো নির্জন হয়ে ওঠে--
ক্রমে স্পষ্ট হয় মন্দির গাত্রে গোত্রহীন ভাঙা যুগল...তখনই নড়ে ওঠে চন্দ্র বলয়...কবে নাকি সে লেগেছিল চুড়ি হয়ে এক যুবকের বুকে...
পদ্মরাগ
গোছা গোছা পদ্ম কুঁড়ি
নিভৃতে সারছে আলাপ
কীর্তনের চর্চায় আচ্ছন্ন ভোর
জড়তা চেপে বসে আর্য রমনীটিকে...শরীরি ভূমি চবচব করে ঘামে...
সোনার অঙ্গ দুলে দুলে খুঁজে চলে.. সাধন সঙ্গী---
অগম্য ঘাট পেরিয়ে
খাঁচা ভরছে বাউল সঙ্গে, ঘরছাড়া মেয়ে বেদী পেতেছে নির্জনে...
হৃদয়ে জ্বালিয়ে পদ্মরাগ
গোবিন্দ বিলাসিনী
মহুল পতনে ঝিম নামে
পর্ণমোচী দোটানায় গোবিন্দ বিলাসিনী চলেছে অভিসারে...
পেছনের ঘাটে সাধিকাটি সাঁঝতারাটির গমন অভিমুখে আলোকবর্তিনী...
অমাবস্যা স্থির হয়, নড়ে ওঠে অভেদ্য কুহক...
চাইলেই সখী এগিয়ে যেতো...
শালুক পাতায় বয়ে আনতো সময়...গোবিন্দ, গোবিন্দ ডাকে ধর্মের স্থিতি ঘটে...
আর...অধর্মের বিনাশ...
ঋষি বন্দনা
মাটির গায় শ্যাওলার ছোপ
ফুরিয়ে যাওয়া রোদ তখন পিঠ পেতে দেওয়ালে
ভাঙা স্থাপত্যের জীর্ণ গল্পেরা অবহেলিত হয়েই টিকে আছে যুগযুগ... ঐ ঢিবির ভেতর
পার্থিব রশ্মি যখন আলোকিত করে চারপাশ...
লুকোনো ঢিবিতে তখন জ্ঞান, প্রজ্ঞা মিলেমিশে সুর তোলে
পৃথিবী ভাসছে জামদানী রোদে...পুবে পশ্চিমে আলো ছায়ার কাটাকুটি...
লুকিয়ে দেবী, লুকিয়ে দেবতা, অস্থায়ী সুখ... আচ্ছন্ন গরিমা...
নাটমন্দিরে তখন শুধুই ঋষিবন্দনা
জঙ্গম কারুকাজ
স্রোত নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
মাধুকরীর লোভে নিজেকে নির্জন মনে হলে.....
এক অনঙ্গ মোহন পথ আটকায়... তার পদযুগলে জমা হয় বাড়তি আবেগ...
সে উপচে পড়া আটকে পল্লবদ্বয়ে স্থান দেয় স্রোতকে..
অসংখ্য ভ্রম ছিনিয়ে নেয় কোলের ওম্ তর্জনী থেকে কনিষ্ঠা চঞ্চল হয় নিমিষে
এঁকে দেয় আদিবাসী রমনীর উন্মুক্ত পিঠের জঙ্গম কারুকাজ...
অপ্রকাশিত লেখা গদ্য ও পদ্য পাঠান
অভিমত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
Khub valo hoyeche..
উত্তরমুছুনখুব ভালো হয়েছে। বেশ পরিপাটি ও আকর্ষণীয়।
উত্তরমুছুনশ্রদ্ধা
মুছুনসুন্দর সব কবিতা। অভিনন্দন জানাই কবি ও সম্পাদক মহাশয়কে।
উত্তরমুছুন