।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।।জুন সংখ্যা।।
।।বিষয় -' রথযাত্রা'—১২।।
রথের মেলাতে
কালাকার
চারিদিকে সবাই খুশিতে ডগোমগো
নেই খুশির মাত্রা,
জগন্নাথ চলেছে আজ রথে চড়ে
আজ যে রথযাত্রা।
কেউ কেউ হাজির পুরীর সেই রথে
কেউ হুগলির মাহেশে,
আবার ও কেউবা ইস্কনের সাথে
দুলকি চালে আশেপাশে।
ভেসে যে আসছেই ম ম সেই গন্ধ
মানুষেরই কোলাহল,
নানা পসরাতেই সাজিয়ে বিকিকিনি
হুমড়িয়ে ক্রেতার ঢল!
বিকোচ্ছে নানান ফুলেরই চারা
নানান গাছ গাছালি,
গুড়ের জিলাপী ফাস্ট ফুড দোকানে
মুহূর্তে সব খালি!
নাগর দোলাতেই কেউ খুশি চড়েই
আনন্দে হাল্কা হাসি,
ভিড়ের সে মধ্যে ঠেলাঠেলি করেই
মনের আনন্দে বাঁশি!
ওই পথ শিশুটি এসেছেও মেলায়
আশ কিনবে সে খেলনা,
একরাশ হতাশা তাকিয়ে সে দিকেই
কে মেটাবে তার বায়না!
চারিদিকে ভীষণ খুশির সে মাঝেই
চোখ দিয়ে পড়ছে জল,
সোনার চামচে না জন্মানোর দুঃখে
নয়নে জল অবিরল!
বলরামের সাথে সুভদ্রাও চলেছে
সুসজ্জিত চড়ে রথে,
সবার মনে আশ টানবে রথ রশি
পাপ তাপ মুক্ত হতে!
ছুটেই গেল সেই পথ শিশুটিও
ছুঁতে রথের সেই রশি,
সব দুঃখ তাপ টেনে নেবেই দেব
যদি জীবনে সুখ আসি!
হঠাৎ দেখে সে যে পিঠে হাত দিয়েই
ছোটো এক পিকু সোনা,
বললে বাবাকেই আব্দার সে করে
তার আছে কিছু বায়না!
যদি কিছু তুমিই মনে নাহি করোই
দেবো আমার কেনা রথ,
দেখবো ওর আজ মুখের সেই হাসি
পুরেই ওর মনোরথ!
বিস্ময়ে হতবাক পথ সে শিশুটিও
আনন্দে চোখে জল,
সত্যিই এখনো আছে এমন মানুষ
নয়কো চোখের সে ছল!?
গর্বে বাবা তাই বুকের সেই মাঝে
জড়িয়ে পিকুকে ধরে,
তোকে জন্ম দিয়ে হলাম গর্বিত
ধন্য এই চরাচরে!
পথ শিশু তখন ছুটে এসে আদরে
পিকুকে দেয় ছোট্ট চুমি,
বলে, পেয়ে গেছি তো মোর সে জগন্নাথে
দেবশিশু ওরে তুমি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন