।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। অক্টোবর সংখ্যা।।
।। উৎসব বিষয়য়ক- ১৭।।
নবমী নিশি
অলক্তিকা চক্রবর্তী
১
ওই তো ওঘরে পাশ ফিরে শুয়ে নরম ঠোঁটের কাঁপন।
কী এক ফিসফিসে মৃদু উচ্চারণ । ওই... ওই তো ডাক, ছায়া ছায়া ভেসে যাওয়া কান্না যেমন।মায়াবী জোৎস্না মাখা,ওই কি ত্রিনয়ন? চকচকে ফলায় কেমন...
ফিরে আসা জলে ভেজা গাল আর অস্তিত্বটুকু তুলে রাখা বিছানার পাশে ।উঁকিঝুঁকি লোভ শুধু মায়ের কোলের হাতছানি।
নিরালায় হাঁক ডাক শ্রান্ত হয়ে আসা চোখে ঘুম ঘোরে, কি যেন মোমের মতোই পালক পালক।হাত বুলিয়ে টানে মমতার কাছাকাছি।
ওইতো ভ'রে ওঠা টলটলে ত্রিনয়ন ঠিক যেন... অবিকল মায়েরই মতন
২
ঝিঁঝি ডাক বাতাসের পরাজয় , জোনাকির মত সারি সারি মিটমিটে আলো দূরে জ্বলে নেভে
একান্তে, ওই শৈলশহরের ঝাড়বাতি ।
সেখানেও কি আছে এমনই অরূপরতন? বরাভয় আহ্লাদে কোল আঁচল টেনে, পাশ ফিরে ঘুম ঘোরে তুলে নেয় ব্যথার অস্তিত্বটুকু
৩
এই তবে শেষ রাত। চোখ মোছো আগামীর যাত্রাপথ । নদী হয়ে বয়ে
যাবে গোটা দেশকাল ?নামগোত্রহীন এক উদ্গত ঢেউ শুধু টান ... মায়াবী ঘন হয়ে ছুঁয়ে
থাকা না থাকায় আরো যেন একা হয়ে যাওয়া কেউ
ঠিক আবাল্যের সেই একরত্তি মায়া পুতুল।স্বভাব ছাপিয়ে যাওয়া ছোট্ট সর্বংসহা তুমি মাগো!
৪
আসলে এতো যাওয়া নয় শুধুই ফিরে ফিরে আসা বারংবার আশ্চর্য কৌশলে। চীৎকার বুকের ভেতর । বাইরের চাপা ঝড় শান্ত, আলো আর আগুনের ডালপালা কুড়িয়ে ফেরে রাতের ক্ষোভ
পরিণত কিছু স্মৃতিচিহ্ন ঘিরে দোলাচল। ঘর নেই , দোর নেই, ছড়ানো ছিটানো নেই সম্পর্কের অলিগলি । এত কিছু 'নেই' নিয়ে একা, আরো একা হয়ে যাওয়ার ভয়ে ডুকরিয়ে ওঠা সেই প্রথম দিনের মতো
আর পায়ে পায়ে নবমীর ঘরে রেখে আসা বিন্দু বিন্দু পিছুটান,'যেও না' কথা কটি ব'লে...
কবিকে ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুনযে কোনও সৃজন স্রষ্টার মনসিজ।
কাজেই , সে ভাবে বলার অধিকার
থাকে না। ভাস্করকে বলা যায় না, কোনখানে দুর্বল হয়েছে তাঁর কল্পনা।
তবে, সব art work কে মানুষের কাছে
পৌঁছাতে হয়। কবিতাকে পৌঁছাতে হয়
পাঠকের ঋদ্ধ অভ্যাস ও পর্যবেক্ষণের
কাছে।
এই প্রেক্ষাপট থেকে কিছু বলার চেষ্টা,
কবির উপলব্ধি স্পর্শ করার প্রয়াস মাত্র।
কবিতার মূল সুর ও অভিমুখ টি সুন্দর।
শিরোনাম নিঃসন্দেহে বিষয় অনুগামী।
কবি , আর একটু মনোযোগ দিলে, কিছু
অতিকথন, উপমা এবং বিন্যাসকে
সংযমী সতর্কতায় আরও মনোমুখী
করা যেত। বিশ্বাস, কবি পারতেন।
কথা বলার ইচ্ছা হলে, থাকলো,
যোগাযোগ নম্বর(9932737899)
পুনরায় শুভেচ্ছা।