মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

। প্রতিদিন বিভাগ।। ।। প্রতিবাদী কবিতা -১২।। ফাঁসির আগের দিন পর্যন্ত — শান্তনু ঘোষ।। Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।



    ।।  প্রতিদিন বিভাগ।। 

     ।।  প্রতিবাদী কবিতা -১২।।





ফাঁসির আগের দিন পর্যন্ত 

শান্তনু ঘোষ 


একদা এক রাণী বলছেন:
আমি ফোনে খবর পায় ঘটনাটির
তারপর যা যা করণীয় প্রশাসনকে করতে বলি,
এবং সেই মতো তারা অ্যাকশন নেয়।
বস্তুত নিহত ধর্ষিতার বাড়ি যান তিনি 
মেয়েটির বাবা -মাকে স্বান্তনা দিতে,
জানতে চান মনের কথা
এবং কলকাতা পুলিশ কী কী কাজ করেছে তার তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেন।
এছাড়া তিনি রবিবার পর্যন্ত সময় চান পরিবারের কাছে ।
না হলে তিনিই কেস হ্যাণ্ডওভার করে দেবেন
সি.ব.আই এর হাতে।
এরপর সময়ের আগেই
সি.বি.আই হয়েছে।
অবশ্য কলকাতা পুলিশ একজনকে অ্যারেস্ট করেছে।
তিনি ও তাঁর দল সুবিচারের পক্ষে,
ফাঁসির পক্ষে।
 
ঘটনা ক্রমে জল গড়ায়।
ছাএ সমাজ ধানসিঁড়ি চলো ডাক দেয় সুবিচারের দাবিতে,
অন্যদলের মদতে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চায় সেইসঙ্গে।
এমন উস্কানি মূলক মন্তব্যে রাণীর পক্ষও ময়দানে নামার সুযোগ পায়।
এবং ধানসিঁড়ি অভিযান হয়
অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে ,
ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী পক্ষ 
ডাকে ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধ।
সরকার পক্ষ বলেন‌ :‌নানা চক্রান্তের কথা।
চক্রান্তকারিদের উদ্দেশ্যে বলেন : ধানসিঁড়িতে কেন?
যাও সাদা গোলায়,
জিঞ্জেস করো,রনদীপ ঘোষ কবে অ্যারেস্ট হবে,যাও।
মানুষও‌‌ ঘাসের বীজ‌ খায় না, বুঝতে পারে 
ঘটনা কোন দিকে মোড় নিচ্ছে।

এমত অবস্থায় মানুষ যেমন সাদা গোলায় আস্থা রাখতে পারছে না,
সেই সঙ্গে কথা উঠছে
সরকার পক্ষ থেকে অনেক কিছুই বলা হচ্ছে, 
কেন তবে প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলা হল?
কেন এমন কর্মস্থানে ধর্ষণ খুন?
রণদীপ ঘোষকে  ওই হসপিটাল থেকে সরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য হসপিটালে নিয়োগ করা হয়েছিল কাকে আড়াল করতে?
কেন ময়নাতদন্ত হয়েছিল রাতের বেলা?
কেন দাহ করা হয়েছিল চটজলদি?
তড়িঘড়ি হসপিটালের দেওয়াল ভাঙা হয়েছিল কেন?
দশ লক্ষ টাকার কথা উঠেছিল কেন?
ইত্যাদি ইত্যাদি....

তারপরও
সুবিচারের দাবিতে মানুষের আন্দোলন তিলোত্তমাকে‌ ঘিরে,
মানুষও আশাবাদী
আর এই মানুষ গুলোর মধ্য থেকে কেউ না কেউ 
রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সুবিচার চায়বে 
ফাঁসির আগের দিন পর্যন্ত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন