।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। প্রতিবাদী কবিতা -২৯।।
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়-র কবিতা
১.
হতভাগী
যে নাম-ই দাও দুঃখে রাগে
আসলে সে লাশ
তোমার বাড়ির একটু দুরে
অন্য পাড়ায় বাস।
সেই পাড়াটি আরশিনগর
মানতে দ্বিধা জাগে
বুকে যখন আয়নাঘরে
চাঁদের গ্রহণ লাগে --
নাম দিয়েছি হতভাগী
মুখ পুড়েছে আমার
নিজের হাতে চাষ করেছি
ভীষণ বিষের খামার।
আগুন দিয়ে সেই ফসলে
মুক্তি পেলি আজ
মাথার উপর হানল আঘাত
বিনা মেঘে বাজ,
ব্যথা যখন ঘৃণার দোসর
রাতজাগানি তোরা
জাগিয়ে রাখিস প্রেতের শহর
ভোলাস আমরা-ওরা।
হাথরাসে বা হাসখালিতে
কিংবা আরজিকরে
জাগিয়ে রাখিস দ্রোহের আগুন
চরম আর্তস্বরে।
বুকে আমার আয়নাঘরে
জ্বলছে ক্রোধের ধুনী
বদলে দেব, বদলা নেব
পার্কস্ট্রিট কামদুনীর।।
২.
রক্তজবা
চোখ রাঙাও
চোখ রাঙাতে রাঙাতে
একদিন আয়নায় দেখবে
চোখ দুটো রক্তজবা হয়ে গেছে।...
জেনে রেখ তখন
শেষ বিচারের দিন সমাগত।
জেনে রেখ সে দিনের উৎসবের
আরেক নাম অকালবোধন।
জনগণেশের অট্টহাস্যে
মুখরিত আকাশ বাতাস
শহরে মফস্বলে গ্রামে-গঞ্জে
রাস্তায় রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষের ঢল...
তখন তোমার জায়গা
আর আকাশচুম্বী রাজগৃহ নয় --
আস্তাকুঁড়ে, কারাগারে
অনিবার্য বদ্ধভূমিতে।
চোখ রাঙাও
চোখ রাঙাতে রাঙাতে
অন্ধ আয়নায় দেখবে
চোখদুটো পদ্মপলাশ নয়
রক্তজবা হয়ে গেছে।...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন