।।প্রতিদিন বিভাগ।।
।। জুন সংখ্যা।।
।। বিষয় - মুক্ত (গুচ্ছ কবিতা) -৬।।
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় -র কবিতা
১.
দেবতা ও ঈশ্বর
সুন্দর ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই কোনোখানে
তাই পুরুষ রমণীর কাছে, রমণী পুরুষের কাছে
গিয়ে বারবার খুঁজে পেয়েছে দেবতা
তার অবয়ব গ্রীষ্ম বর্ষা হেমন্তে
দূরের বাগানে কোলাহলে
চাকরি অথবা অটোপারমিটে অজস্র উৎসুক দৃষ্টিতে ভিজেছে, ঈশ্বরের মতো দেবতা
পাওয়া যায় নি কখনো।
হঠাৎ পাওয়া ছুটির মতো দখিনা হাওয়ায় দাঁড়িয়ে সহসা ,উভয়ে পুরুষ রমণীর কাছে
আর রমণী পুরুষের কাছে বিস্মৃতির স্তূপ ভেঙে
তাকায় একে অপরের দিকে খোঁজে সুন্দরের
প্রতিরূপ একটি দুটি অভিজ্ঞতায় কাপে প্রতিচ্ছবি স্পর্শাতীত দেবতার চোখে ভাসে
আর তখন ঈশ্বর আড়ালে থেকেই হাসে ...
২.
অগ্নিধর্ম
অগ্নিধর্ম বড়ো ধর্ম তার পর কাম
তারপর ক্রোধ ,লোভ আরো পরে
কত মূর্খের সঙ্গমে জন্ম নেয় মোক্ষ
ক্ষিতি অফ তেজ
পুত্রার্থে জাগ্রত শিশ্ন জাতপাতের উর্ধ্বে
কে পিতা কে পুত্র
কে ই বা ভগিনী রমণী
সব সুদ্ধ ভেসে যায় পদ্মপত্রে জল বিন্দু সমান
মাঝখানে নিয়তি মাঝখানে পিন ড্রপ সাইলেন্স
পুজো পড়ছে নিজের পায়েই ঘটন অঘটন
ডুবছে ভাসছে সৌরজগত
অগ্নিধর্ম বড়ো ধর্ম তারপর
কাম,ক্রোধ লোভ আরো পরে ...
৩.
ভেবেছি
ভেবেছি কাছে যাবো ,আরো কাছে ,ভেবেছি
চেয়ে নেব ক্ষমা
একে একে ভাসিয়ে দেবো যত ভুল
যত ক্ষোভ, কখনো ডাঙা ভেবে
কখনো তীর ভেবে
কখনো সংযোগ ভেবে ক্রোধ কখনো অতল
ভেবে ভালবাসা যমুনা গঙ্গা সব
দেখতে দেখতে সব গোলমাল
নিটোল বর্ষণে ভেসে যাবে ভাবিনি কখনো
একেবারে তবে বুদ্বুদের মতো মিলিয়ে যায়
সবকিছু, কবে কতদিন আগে...
শাখ বেজে উঠল ,সীতাহার কোথায় লুকালো
? কেমন সে সিথি ?কেমন সে কনকচূড় ?
স্রোতের মুখোমুখি এসে দুটি
ঢেউ বারান্দা ,নাকি বসবার ঘর ...
ছুটে যায় এক বস্ত্রে আর কত গজে এক মাইল...
মৃত চর আসলে একটুকরো ফেনা
আমি কি জল দেবো তবে, শিকড়ে এখনো ...
৪.
আবার সকাল আসে
আবার সকাল আসে ,আবার সন্ধ্যা
আবার কুমারমঙ্গলম পার্কে সোনাঝুরি
এর থেকে মুক্তি নেই আজ
আকাশ পাতাল রেল
বাতাস পরকীয়া...
আয়নায় গোলাপের ছায়া
চোখে চোখ পড়ে গেলে বলি
না ডাকলেও ফিরে আসবো
যৌবন যার নাম, অলিখিত কভারড্রাইভ
প্রতিটা পদক্ষেপে বাউন্ডারি
কতটা শচীন আর কতটা সৌরভ
সেটা বিচার্জ নয়
বিচারের বিষয়
বলের পিছনে যেন রকেটের মতো আকাঙ্ক্ষা
তত বড়ো কিছু নয়
তবু নিভৃত প্রহরে নি:শ্বাস নিস্তব্ধ করে
চুম্বনের মায়া দর্পণ
চিরস্থায়ী বদল বলে কিছু হয় নারে পাগলা
শরীরে বাটিক প্রিন্ট ঠুকরে দিয়ে বলে ,কেকা ...
৫
ম্যানহাটন
কবে কতদিন আগে এখানে এসেছিলাম
আজ আর মনে পড়ে না
কিছুই মনে পড়ে না
আশ্চর্য, আমাকে শব্দ শেখায় নি কেউ
আমাকে এ বি সি ডি
আমাকে অক্ষর, অঙ্কের অনেক মানে
শেখায় নি কেউ
আমি বিশেষ কিছুই জানি না
সা রে গা মা পা ...
সাড়া দিয়েছে কেউ আর অম্নি দৌড়ে গেছি
সেই থেকে কেন্দ্রাতিগ বল পাক খাচ্ছে
ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন...
সুজন বন্ধু হে
কবে কতদিন আগে তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল
বৈষ্ণব কবির গান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা
আমাকে পড়তে শেখায় নি কেউ
লিখতে শেখায় নি কেউ ,আমি ঘুরে ঘুরে
শিখে গেছি পাখিদের ভাষা,সমুদ্রের ঢেউ
দুইয়ে দুইয়ে চার
কবে কতদিন আগে নীলাভ মলাটে এক প্রবীণ নক্ষত্র লিখে রেখে গেছে ভবিতব্য
অজস্র ম্যানহাটন প্রোজেক্ট...
সুন্দর ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই কোনোখানে
তাই পুরুষ রমণীর কাছে, রমণী পুরুষের কাছে
গিয়ে বারবার খুঁজে পেয়েছে দেবতা
তার অবয়ব গ্রীষ্ম বর্ষা হেমন্তে
দূরের বাগানে কোলাহলে
চাকরি অথবা অটোপারমিটে অজস্র উৎসুক দৃষ্টিতে ভিজেছে, ঈশ্বরের মতো দেবতা
পাওয়া যায় নি কখনো।
হঠাৎ পাওয়া ছুটির মতো দখিনা হাওয়ায় দাঁড়িয়ে সহসা ,উভয়ে পুরুষ রমণীর কাছে
আর রমণী পুরুষের কাছে বিস্মৃতির স্তূপ ভেঙে
তাকায় একে অপরের দিকে খোঁজে সুন্দরের
প্রতিরূপ একটি দুটি অভিজ্ঞতায় কাপে প্রতিচ্ছবি স্পর্শাতীত দেবতার চোখে ভাসে
আর তখন ঈশ্বর আড়ালে থেকেই হাসে ...
২.
অগ্নিধর্ম
অগ্নিধর্ম বড়ো ধর্ম তার পর কাম
তারপর ক্রোধ ,লোভ আরো পরে
কত মূর্খের সঙ্গমে জন্ম নেয় মোক্ষ
ক্ষিতি অফ তেজ
পুত্রার্থে জাগ্রত শিশ্ন জাতপাতের উর্ধ্বে
কে পিতা কে পুত্র
কে ই বা ভগিনী রমণী
সব সুদ্ধ ভেসে যায় পদ্মপত্রে জল বিন্দু সমান
মাঝখানে নিয়তি মাঝখানে পিন ড্রপ সাইলেন্স
পুজো পড়ছে নিজের পায়েই ঘটন অঘটন
ডুবছে ভাসছে সৌরজগত
অগ্নিধর্ম বড়ো ধর্ম তারপর
কাম,ক্রোধ লোভ আরো পরে ...
৩.
ভেবেছি
ভেবেছি কাছে যাবো ,আরো কাছে ,ভেবেছি
চেয়ে নেব ক্ষমা
একে একে ভাসিয়ে দেবো যত ভুল
যত ক্ষোভ, কখনো ডাঙা ভেবে
কখনো তীর ভেবে
কখনো সংযোগ ভেবে ক্রোধ কখনো অতল
ভেবে ভালবাসা যমুনা গঙ্গা সব
দেখতে দেখতে সব গোলমাল
নিটোল বর্ষণে ভেসে যাবে ভাবিনি কখনো
একেবারে তবে বুদ্বুদের মতো মিলিয়ে যায়
সবকিছু, কবে কতদিন আগে...
শাখ বেজে উঠল ,সীতাহার কোথায় লুকালো
? কেমন সে সিথি ?কেমন সে কনকচূড় ?
স্রোতের মুখোমুখি এসে দুটি
ঢেউ বারান্দা ,নাকি বসবার ঘর ...
ছুটে যায় এক বস্ত্রে আর কত গজে এক মাইল...
মৃত চর আসলে একটুকরো ফেনা
আমি কি জল দেবো তবে, শিকড়ে এখনো ...
৪.
আবার সকাল আসে
আবার সকাল আসে ,আবার সন্ধ্যা
আবার কুমারমঙ্গলম পার্কে সোনাঝুরি
এর থেকে মুক্তি নেই আজ
আকাশ পাতাল রেল
বাতাস পরকীয়া...
আয়নায় গোলাপের ছায়া
চোখে চোখ পড়ে গেলে বলি
না ডাকলেও ফিরে আসবো
যৌবন যার নাম, অলিখিত কভারড্রাইভ
প্রতিটা পদক্ষেপে বাউন্ডারি
কতটা শচীন আর কতটা সৌরভ
সেটা বিচার্জ নয়
বিচারের বিষয়
বলের পিছনে যেন রকেটের মতো আকাঙ্ক্ষা
তত বড়ো কিছু নয়
তবু নিভৃত প্রহরে নি:শ্বাস নিস্তব্ধ করে
চুম্বনের মায়া দর্পণ
চিরস্থায়ী বদল বলে কিছু হয় নারে পাগলা
শরীরে বাটিক প্রিন্ট ঠুকরে দিয়ে বলে ,কেকা ...
৫
ম্যানহাটন
কবে কতদিন আগে এখানে এসেছিলাম
আজ আর মনে পড়ে না
কিছুই মনে পড়ে না
আশ্চর্য, আমাকে শব্দ শেখায় নি কেউ
আমাকে এ বি সি ডি
আমাকে অক্ষর, অঙ্কের অনেক মানে
শেখায় নি কেউ
আমি বিশেষ কিছুই জানি না
সা রে গা মা পা ...
সাড়া দিয়েছে কেউ আর অম্নি দৌড়ে গেছি
সেই থেকে কেন্দ্রাতিগ বল পাক খাচ্ছে
ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন...
সুজন বন্ধু হে
কবে কতদিন আগে তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল
বৈষ্ণব কবির গান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা
আমাকে পড়তে শেখায় নি কেউ
লিখতে শেখায় নি কেউ ,আমি ঘুরে ঘুরে
শিখে গেছি পাখিদের ভাষা,সমুদ্রের ঢেউ
দুইয়ে দুইয়ে চার
কবে কতদিন আগে নীলাভ মলাটে এক প্রবীণ নক্ষত্র লিখে রেখে গেছে ভবিতব্য
অজস্র ম্যানহাটন প্রোজেক্ট...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন