অমর একুশে -২০
প্রেমাংশু শ্রাবণ
১
প্রিয় ধান ক্ষেত
প্রিয় ধান ক্ষেত, ও আমার জীবন মরণ
মন প্রাণ সই
তোমাকেই জানি আমি ভালোই জানি আমি তুমি চাও পানির প্লাবণ।
তোমার ছোঁয়াই, আমি সে সময়
আকস্মিক আন্দোলিত হই,
নেমে আসে আকাশে অবারিত আষাঢ়
শ্রাবণ।
যৌবন হারা খননহীন নদী ধীরে ধীরে ফিরে পায় প্রাণ
মুহূর্তে দুকুল ছেপে তেড়ে এসে
ভাসমান পলিভরা জল
তোমাকে প্লাবিত করে,
রস ও লাবণ্য করে যায় দান।
কৃষকের আশায় তখন
তোমার যৌবন করে টলমল।
তুমিতো বাঙলার আমার পলিভরা
উর্বর ফসলের মাঠ,
বাংলার কৃষক আমি
ঋতু বুঝেই লাঙল চালাই...
আশাবাদী মনে তো জানা আছে
চাষাবাদের সব পথ ঘাট।
কৌশলে তাই আমি
গর্ভে তোমার
আগামীর বীজ বুনে যাই।
জীবনের প্রয়োজনে, প্রজননে
এই দেখে তুমি আর আমি
বিপরীত স্পর্শে জন্ম-দিই
ভবিষ্যত প্রজন্ম আগামী।
২
বরষের তাল পাতায় লেখা
শ্রীমতী খনার কথামালা
বরষের তাল পাতায় লেখা
সভাসদগন বসেছেন অশ্বথগাছের ছায়ায়...
ক্লান্তিহীন খনাও তাকিয়ে আছেন
সংসয় ভরা আকাশের দিকে
আজ তার প্রবচন পরীক্ষার দিন।
উদ্দাম ঝড়ো বাতাসে
খনা কাঁদলো, দীর্ঘ বিরহের পর!
মেঘকুমারী ঝরালো বাণী,ও প্রকরণের অশ্রুবিন্দু।
খনার জট বাঁধা ধূসর কেশে
বৃষ্টির ফোঁটা ফোঁটা স্বর্ণকণা,
চোখে মুখে মুক্তির অভিমান এবং
প্রাপ্তির প্রচ্ছায়া
খনা এখন দুরন্ত প্রকৃতি বালা
তার পেছনে ছুটছে
সভাসদগণ...
পালালো অন্ধকারে।
খনা আজও মূর্তিমতী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন