হেমন্তের সকাল - ১২
দুরন্ত বিজলী
১.
হৈমন্তিক আলো
মেঘ সরে সরে যাচ্ছে
শরৎ শেষে হিম ঝরে পড়ছে
রোদের ছোঁয়ায় রূপোলি চমক
শিশির বিন্দু
ধানের সবুজ শিষে হলুদ আভা
ক্রমশ ফুটে উঠছে
শস্যসম্ভার বুকে করে পৃথিবী
পোয়াতি রমণী
চাষীবউ লক্ষ্মীর পদচিহ্ন
আলপনায় আঁকছে
ফসল ঘরে উঠবে
নবান্ন উৎসবে পাত পেড়ে খাব।
২.
হেমন্তিকা
সবুজ মাঠে মালক্ষ্মীর আগমন
শঙ্খধ্বনিতে সেই বার্তা ভোরবেলায়
শিশিরে সজীব শস্যশরীর
আলোর উৎসবে নির্ঝর
আনন্দঝর্ণা
অতিমারীর মহাকোপে মানুষ
তবু রোদে ঝলমল ধানশিষ
বাতাসে তির তির কাঁপছে
জীবন যাপনের প্রদীপ
দীপাবলির আলোয় অন্ধকার
দূর হবে এই প্রত্যাশায় মাতৃবন্দনা
বন্ধনের পবিত্র ফোঁটায়
নিকানো উঠোন
হেমন্তের শেষে শূন্য ফসলভূমিতে
নেমে আসে শুষ্ক ও শীতার্ত দিন
সোনালী ধানে ভরা গোলায়
ধূপদীপ জ্বেলে শাঁখে ফুঁ দিয়ে
প্রণাম মুদ্রায় আমাদের ঘরের লক্ষ্মী
হেমন্তের মিঠে হাওয়ায় রোদ মিশে যায়।
সবুজ মাঠে মালক্ষ্মীর আগমন
শঙ্খধ্বনিতে সেই বার্তা ভোরবেলায়
শিশিরে সজীব শস্যশরীর
আলোর উৎসবে নির্ঝর
আনন্দঝর্ণা
অতিমারীর মহাকোপে মানুষ
তবু রোদে ঝলমল ধানশিষ
বাতাসে তির তির কাঁপছে
জীবন যাপনের প্রদীপ
দীপাবলির আলোয় অন্ধকার
দূর হবে এই প্রত্যাশায় মাতৃবন্দনা
বন্ধনের পবিত্র ফোঁটায়
নিকানো উঠোন
হেমন্তের শেষে শূন্য ফসলভূমিতে
নেমে আসে শুষ্ক ও শীতার্ত দিন
সোনালী ধানে ভরা গোলায়
ধূপদীপ জ্বেলে শাঁখে ফুঁ দিয়ে
প্রণাম মুদ্রায় আমাদের ঘরের লক্ষ্মী
হেমন্তের মিঠে হাওয়ায় রোদ মিশে যায়।
দুটি কবিতাই খুব সুন্দর।
উত্তরমুছুন