আগমনী বন্দনা -২৪
সুবীর ঘোষ
আগমনী চর্চা -১
এদিকে শিউলি ফুলের সমারোহ
আর ওদিকে ছাতিমফুলের উঁকি
দূরে কোথাও নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে
ছুটে চলা চোখের সফর ;
আগমনি বার্তা এসে যায় স্বনিয়মেই।
প্রসাধনী জুড়ে জলতরঙ্গ
অশ্বশক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
জাগে অলৌকিক অতিক্রমণ;
মনের ভেতর পাকিয়ে ওঠে মেলোডি;
বিন্দুবিসর্গের খুঁটিনাটি মায়াজালে
মত্ত থেকে মত্ততর হয়ে ওঠে
সামান্য সংসার।
আগমনী চর্চা -২
এ বছর বর্ষা ও শরতের বন্ধুতায় ভাগ হয়ে গেছে আকাশ।
কয়েকদিনের মেঘকান্নায় মানুষকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে।
দিন কয়েক পর আকাশের গালে মৌসোনা রঙ।
এ রকম আগমনি বড় একটা দেখা যায় না।
পুজোর আনন্দ পুজোর কেনাকাটায় একটা শুষ্ক আবহাওয়া লাগে।
এ বছর সবই খুব অনিশ্চিত।
যন্ত্রণার মাঝখানে দাঁড়ানো উৎসবে মানুষ আজকাল অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
আমাদের কৈশোরের সেই অমলধবল পালে লাগা মন্দ মধুর হাওয়া কোথায়!
কোথায় সেই পাটভাঙা জামাকাপড়ের মনকাড়া গন্ধ!
কোথায় পুজোর গান ! কোথায় সেই সব শারদীয়া পত্রিকা!
হয়তো সবই আছে, বদলে গেছে তার স্বাদ।
জানি, অতীতের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বর্তমানের বারান্দায় উঁকি দেওয়া যায় না।
জীবন সমসময়ের সঙ্গে বাঁচে।
যাঁরা নিজেদের ফেলে রাখেন পিছনের কোনো মজা-ঘাটে
তাঁরা আস্তে আস্তে হারিয়ে যান।
সমকালের আগমনি গান তাঁদের কানে পৌঁছায় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন