সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

শুধু কবিতায়...আলোর-উৎসব-১৯ ।। মুক্তি দাশ।। Ankurisha ।। E.Magazine ।। Bengali poem in literature ।।

 




আলোর-উৎসব-১৯

মুক্তি দাশ




১.

পিলসুজ


ঠাম্মির পুরোনো সিন্দুক ঘেঁটে বের হল
প্রায় আড়াইফুট সাইজের নকশা করা পেতলের
একটা বস্তু। যা আমরা, এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা  
কেউই কখনো দেখিনি। ঠাম্মি বলেছিল –
প্রদীপ জ্বালিয়ে এর ওপরে রাখতে হয়,
তাহলে চারিদিকে আলো ছড়িয়ে পড়বে।
আরো গর্ব করে বলেছিল, এই আলোতে আমরা
তখনকার যুগে পড়াশুনো করতাম।
এর নাম পিলসুজ!
 
পিলসুজের ওপর যখন প্রদীপ জ্বলতো
নিচটা হয়ে যেত ছায়ান্ধকার।
সেই নিয়ে কাব্যরসিকদের সে কি
তুমুল কাব্যোন্মাদনা!
প্রদীপ বা পিলসুজ দেখি বা না-দেখি
জানলাম, প্রদীপের নিচেও অন্ধকার থাকে!

পিলসুজ বা ঠাম্মি এখন আ্যান্টিক!


চতুর্দিকে আলোর ঝলমলে কেরদানিতে
ঘরের দুর্গম কোণের ঘুপচি অন্ধকারও
এখন সুড়সুড় করে ভোল পাল্টে ফেলেছে!

পিলসুজ এখন ঠাম্মির মতোই ব্রাত্য!






২.
তাজা রোদ্দূর



কথা দিয়েছিলাম তোমার শিয়রে
এনে দেব তেজস্বী রোদ্দূর একমুঠো

জমাট অবিশ্বাসের পানসিতে ভাসমান ইচ্ছেমেঘের মত
আঁধারকে ভালোবেসে তুমি হলে রাত্রি
যাবতীয় ক্লান্তি ও অবসাদ ধুয়ে ফেললে
জোনাকির মলিন আলোতে

অথচ আমি তোমাকে তাজা রোদ্দূর দিতে চেয়েছিলাম।

















কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন