আগমনী বন্দনা -১৭
প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী
১.
ওদের পুজো
আশ্বিনে ঘন ঘন
প্রকৃতির মনে কোন
দয়ামায়া আর কিছু নাই,
আকাশের কালো মেঘ
শুধু বাড়ে উদ্বেগ
বৃষ্টিতে ভিজে গান গাই।
গৃহপথ জলময়
সব দেখে বাড়ে ভয়
খাবারের নেই আয়োজন,
কেউ দেয় ডালভাত
তরকারি থাকে সাথ
খুশি তবু হয় নাতো মন।
শালুকের কচি হাসি
দেখি আর ভালবাসি
চেয়ে রয় আকাশের পানে,
দূর্বার ম্লান মুখ
প্রাণে বুঝি নাই সুখ
জলে ডুবে হাহুতাশ গানে।
শারদীয়া কড়া নাড়ে
এসে গ্যালো চুপিসাড়ে
গ্রাম জুড়ে অকালবোধন,
ক'দিনের মেলামেশা
হাসি খুশি কত নেশা
প্রাণে ধরে মধুর যাপন।
দামাল ওই কটা ছেলে
পড়াশোনা রাখে ফেলে
পুজো নিয়ে খুশিতে মাতে,
ছেঁড়াফাটা জামা পরে
ধিন ধিন নাচ করে
তবু মজা লুটে নেয় সাথে।
২.
আগমনী
আগমনীর বাংলা জুড়ে
কোথায় সুখ?
করোনা-ভূত ওই যে দূরে
বিরস মুখ।
বছর চাওয়ায় নতুন জামায়
খুশির রোল,
ছড়ায় আলো পুজোর তলায়
হল্লাবোল।
দ্যাখনা চেয়ে মাঠের আদর
ফুটছে কাশ,
বাতাস দোলায় শুভ্র ঝালর
কি উচ্ছ্বাস।!
বনের ধারে পথের মাঝে
শিউলি ফুল,
মাটির ছোঁয়ায় আলতো বাজে
সে তুলতুল।
আকাশ জুড়ে মেঘের ডানায়
বৃষ্টিগান,
প্রাণটা ভরে কানায় কানায়
কি আনচান!
পাড়ায় পাড়ায় দুর্গা পূজায়
কিশোর নাচ,
এ আশ্বিনে জীবন থাকে
সুখের কাছ।
দুটোই খুব ভালো। দ্বিতীয় টা একটু বেশী ভাল লাগল। রক্তিম শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুন