আগমনী বন্দনা -২১
বিশ্বেশ্বর রায়
আগমনী
পুব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণে
নয় কোনোদিকে নয়কো চতুষ্কোণে
এক কণা মেঘ পড়ছে না আর চোখে,
চলে গেছে কোন্ সুদূর স্বর্গলোকে।
প্রভাত গগনে রবির কিরণগুলি
চুম্বন করে তরুণ লতা তৃণ ধূলি।
দিবসে তপন সুনীল আকাশময়
আনকা আলোয় মুড়ে দেয় বিস্ময়।
অস্ত অচলে অবগাহনের কালে
জ্বেলে যায় দীপ সন্ধ্যাতারার ভালে।
লক্ষ প্রদীপে সাজিয়ে আকাশখানি
শরৎ শোনায় আনন্দ আগমনি।
আকাশে-বাতাসে লাগে নব হিল্লোল
চিত্তে চিত্তে কানাকানি উৎরোল।
শরৎ তো আনে অবসর, উৎসব
বৈরিতা ভুলে প্রাণময় অনুভব।
২.
চক্ষুদান
প্রতি রাতে ভাবে টুবলু-টুকুন ভোরে ভোরে রোজ উঠি,
রোদ উঠে যায় হয় না তো ওঠা জীবনটা গুটিসুটি।
ঘাসের আড়ালে লুকনো ফড়িং খুঁজছে সে আঁতিপাতি,
অমনি হঠাৎ ডানা মেলে উড়ে গেলো এক প্রজাপতি।
ভোরের বেলায় শিউলিতলায় জোছনার মাখামাখি,
টগরের শাখে প্রজাপতি আর মধুপের ডাকাডাকি।
হাওয়ার দোলায় দোলে কাশফুল আবছায়া আলো মেখে,
টুনটুনি আর চড়ুই দোয়েল সারা হলো ডেকে ডেকে।
হালকা শীতের চাদর জড়িয়ে বইছে বাতাস ধীরে,
পদ্ম-শালুক দেয় উঁকিঝুঁকি পদ্মদীঘির নীরে।
এক ফালি সাদা মেঘ ভাসে দূরে আকাশের কোলে ঘেঁষে,
সুনীল আকাশে যেন এক থোকা কাশফুল আছে ভেসে।
একদল কাক দেয় দূর পাড়ি সমীরণে পাখা মেলে,
তাদের ছায়ারা চোখ ধুয়ে নেয় শান্ত নদীর জলে।
ভোরের বাতাসে আসে ভেসে ভেসে হালকা ঢাকের ধ্বনি,
আনকা আলোর উড়িয়ে নিশান আসে ওই আগমনি।
যেই কানে এলো ঢাকের বাদ্যি জানালা কপাট গলে
টুবলু-টুকুন এক নিমেষেই হয়ে গেলো ভালো ছেলে।
এক ছুটে গিয়ে চণ্ডীতলায় বিস্ময় মাখা চোখে
দেখলো দু'জন পটুয়া কখন দিয়েছেন চোখ এঁকে।
প্রতি রাতে ভাবে টুবলু-টুকুন ভোরে ভোরে রোজ উঠি,
রোদ উঠে যায় হয় না তো ওঠা জীবনটা গুটিসুটি।
ঘাসের আড়ালে লুকনো ফড়িং খুঁজছে সে আঁতিপাতি,
অমনি হঠাৎ ডানা মেলে উড়ে গেলো এক প্রজাপতি।
ভোরের বেলায় শিউলিতলায় জোছনার মাখামাখি,
টগরের শাখে প্রজাপতি আর মধুপের ডাকাডাকি।
হাওয়ার দোলায় দোলে কাশফুল আবছায়া আলো মেখে,
টুনটুনি আর চড়ুই দোয়েল সারা হলো ডেকে ডেকে।
হালকা শীতের চাদর জড়িয়ে বইছে বাতাস ধীরে,
পদ্ম-শালুক দেয় উঁকিঝুঁকি পদ্মদীঘির নীরে।
এক ফালি সাদা মেঘ ভাসে দূরে আকাশের কোলে ঘেঁষে,
সুনীল আকাশে যেন এক থোকা কাশফুল আছে ভেসে।
একদল কাক দেয় দূর পাড়ি সমীরণে পাখা মেলে,
তাদের ছায়ারা চোখ ধুয়ে নেয় শান্ত নদীর জলে।
ভোরের বাতাসে আসে ভেসে ভেসে হালকা ঢাকের ধ্বনি,
আনকা আলোর উড়িয়ে নিশান আসে ওই আগমনি।
যেই কানে এলো ঢাকের বাদ্যি জানালা কপাট গলে
টুবলু-টুকুন এক নিমেষেই হয়ে গেলো ভালো ছেলে।
এক ছুটে গিয়ে চণ্ডীতলায় বিস্ময় মাখা চোখে
দেখলো দু'জন পটুয়া কখন দিয়েছেন চোখ এঁকে।
৩.
এগিয়ে আসে ঢাকের বাদ্যি
থামলো যখন বাদল মেঘের ভীষণ গুরুগুরু
অলক মেঘের আনাগোনা অমনি হলো শুরু।
কোথায় তারা চলছে ভেসে কোন্ দেশে যে পাড়ি
কেউ জানে না, শুধু দেখে গুটিয়ে পাততাড়ি
সে চলেছে ত্রস্ত পায়ে ডিঙিয়ে পাহাড় মরু
যেখানে তার জন্ম এবং পথচলা তার শুরু।
খবরটা যেই পৌঁছে গেলো যাচ্ছে তারা দেশে
কাশফুল আর শিউলি টগর অমনি ওঠে হেসে।
তাদের হাসি গ্রাম-শহরে ছড়িয়ে পড়ে যেই
বাতাস বেয়ে ঢাকের বাদ্যি এগিয়ে আসে সেই।
এখন শুধু হাসিখুশি ফসল তোলার দিন
বুকের মধ্যে মাদল বাজে স্বপ্নে মন রঙিন।
কোন্ সাগরের অফুরান জল কুম্ভে ভরে ভরে
ঘুরলে বছর আকাশ ছেয়ে আসবে আবার ফিরে।
সে যতদিন না আসে সেই সময়টুকু জুড়ে
দেদার মজা আর অবসর নেবো হৃদয় ভরে।
বর্ষা আনে কর্মের আর ফসল বোনার বানী,
বিদায়বেলায় যায় দিয়ে সে শস্যের হাতছানি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন