আগমনী বন্দনা -৩৩
আরণ্যক বসু
অমলের সেই নতুন কবিতা
( বনে যদি ফুটলো কুসুম , নেই কেন সেই পাখি...
গীতবিতান /প্রেম/২৫৫ )
রাজা, একটা চিঠি দেবেন , রবিঠাকুরের হাতে?
সুধা, আমায় নিতে আসবি , মহাষষ্ঠীর ভোরে?
স্টেশনের নাম বোলপুর , আমি তো সেই অমল,
মৃত্যুভয়ের মতো কালো রাতটা যাচ্ছে সরে।
কতদিন যে ফুল দেখিনি ভোরের শিউলি গাছে!
কতদিন যে মেঘ নামেনি অবাক তালের বনে!
কতদিন যে টিয়া ডাকেনি ভিজে পলাশের ডালে!
হ্যাঁরে সুধা, কদমের পাতা তোর কথা, গান শোনে?
আকাশ আমায় ডাক পাঠালে তুই মনে রাখবি তো ?
রাখবে মনে, ডাকঘরে সেই চেনা ডাকহরকরা?
যদি আমি আর না ফিরি?
যাঃ, ফিরবো তো নিশ্চয়ই ;
কোজাগরী ভাসিয়ে দিলে বিশাল রূপোর সরা!
আমার সেরা বন্ধুর নাম?
নীলাকাশ আর মাটি;
যে মাটিতে আশ্বিন ভোর, তোরই ডাকাডাকি।
রবিঠাকুরের ডাকঘর তো অমল-সুধার জন্যেই ,
দূরের চিঠি পৌঁছে দেবে রাতজাগা সব পাখি।
না রে, আমি ফিরে আসবো বাঁচার মতো বেঁচে,
সারা বোলপুর ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা হবে।
দইবড়া আর ফুচকা খাবো, ছোট্টোবেলার মতো?
আমাকে তুই ডেকে নিবি তো, জীবনের উৎসবে!
কে যেন বেশ বলে গেছে কাল স্বপ্নের রাতে—
রাজা একটা চিঠি দেবেন রবিঠাকুরের হাতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন