আষাঢ়ে গপ্প কথা -১৬
নীহার চক্রবর্তী
প্রিয়ামুখ ভাসে
যুদ্ধ-শিবির থেকে আমি ব্রায়ান বলছি--
'যুদ্ধের যা অবস্থা আমাকে হয়তো মরতে হবে । কিন্তু বাড়িতে যে বলে এসেছি ফিরছি। আমি মারা গেলে কী হবে?'
ওর পাশে বসেছিল আর এক যোদ্ধা ডেরেক।
সে হেসে উঠে বলল--
'কি আর হবে । ক্ষতিপূরণ পেয়ে নিজের পথ ধরে নেবে।'
শুনে খুব অবাক হল ব্রায়ান ।
ভ্রূ-কুঁচকে ডেরেককে বলল--
'তা বুঝি হয়? কতদিনের পথ আমাদের। মুছে যাবে অত সোজা। মনে হয় তা হবে না।'
আবার হেসে উঠলো ডেরেক। এবার আরও জোরে।
হঠাৎ সে মুখভার করে বলল ব্রায়ানকে--
'তাহলে তোমার যুদ্ধে যেতে হবে না। আবার একা ফেলে তো যাওয়া যায় না। তোমাকে মেরেই যাবো আমরা। যুদ্ধ মানে শুধুই বেগ। আবেগের কোন জায়গা নেই।'
শুনে থতমত খেলো ব্রায়ান।
মুখ কাচুমাচু করে তাকে বলল--
'তাহলে আর ভাবছি না। যুদ্ধ করতে এসেছি যুদ্ধ করেই যাবো। মরণের কথা ভাবি না। নিকুচি করেছে সে পথের।'
কথা শেষ করলো বটে ব্রায়ান, কিন্তু তার দুচোখ সহসা ছলছলিয়ে উঠলো।
সঙ্গে-সঙ্গে ডেরেক ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে প্রায় অস্ফুট-গলায় কান্নাভেজা স্বরে বলল, 'আমারও সেই অবস্থা। বন্ধু, এখানে এত ভাবতে নেই যে।'
দুই যোদ্ধার করুণ আর্তনাদ চলল খুব সন্তর্পণে। কেউ-কেউ দেখে কিছুই বুঝতে পারলো না।
আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/07/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_30.html
যোদ্ধাদের জীবন খুব করুণ খুব কষ্টের।তবু নিজের
উত্তরমুছুনপরিবার পরিজনের জন্য তাঁদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত সম্পদ কাজে লাগবে এই জেনেই সৈনিক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়া।দেশ মাতৃকার সেবা করাও তাদের কাছে একটা উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়।
মনে কষ্ট থাকলেও এই কারণগুলি তাদের মনে
শান্তির প্রলেপ দিয়ে যায়।