লেবেল

রবিবার, ২০ জুন, ২০২১

দুঃসময়ের কড়চা।। পুষ্প সাঁতরা।। Ankurisha ।।E.Magazine ।। Bengali poem in literature ।।

 


দুঃসময়ের কড়চা

পুষ্প সাঁতরা



কোন পাপে, কোন অভিশাপে 




এ এক দুর্দৈব, এক, দুই, তিন না অতি উৎসাহী  তীর্যক  ভয় চোখ ঢোল কলমির বেড়ার থেকেও অনেক দূরে উঁকিঝুঁকি দেয়, এই বুঝি চোখাচোখি হয়-- পারলে নিজের বানানো পথে হাঁটে! ছোট্ট জানালার পাশে আতঙ্ক  মৃত্যু ভয়ে ভীত প্রাণটি বুক চেপে ঈশ্বরের  স্মরণাপন্ন , আরও বাতাস চাই! কোনাকুনি চোখে প্রখর ঘ্রাণ শরীরের বিসর্গ না বি- যুক্তি মাপে, কথার নুড়ি গড়ায় নর্দমায় কু-নাট্যের জটিল রঙ্গে, কোলাহল ছুটে, উচ্ছিষ্ট ওদন রান্নাঘরে পচন দুর্গন্ধে আমোদিত আরশোলা ছুঁচো স্খলন পতনে আর্তনাদ, ঘোর অন্ধকারে উন্মাদ প্রবৃত্তি, ছিক্কার বিলাপ সিক্ত বিবৃতি, রাহুর কপালে চাঁদ টিপ, তবু রাহুমুক্তির প্রতিক্ষা। ধ্রুপদী প্রার্থনা  হীন স্তব, স্তপীকৃত অসূয়া বাতাস। বিকৃত বাক্যক্ষেপ বীভৎস রমন ধর্ষণ যেন যতি চিহ্ন। অন্তরাত্মা অভিশপ্ত, বুদ্ধির কোমরে বাত ত্রিপলের ঘরে উনুনে আগুন নেই, গোটা সূর্যটাই পেটের ভেতর আগুন জ্বালায়।  জনগণমন বাস্তবের আড়কাঠি ঝকঝকে ফোড়েবাজ আমাদের কনায় মিশে আছে ক্ষুদ্রতার জীবানু। স্খলন পতন হাহাকার শরীরে তাখত নেই, দুর্দশা দূর্গতি এবং দুর্ভাগ্য কে পাপের ফল বলে সান্ত্বনাপেয়ে বাঁচে অনেকে। দেবতাদের ও কপাল ভাল ছিল না রামচন্দ্র কেও সরযূ নদীতে আত্মঘাতী হতে হয়েছিল। হিটলারের হার আর আত্মহত্যা সমার্থক। দুঃসময় ব্যক্তির পেছনে ধাওয়া করবেই। ধর্মের   আবরণ আর   আভরণ  আফিং খেয়ে বেঁহূশ! কম্পন- অনুভূতি এক নয়। ঈর্ষার রঙ অসহায়!  কিছু বে-জন্মা অভিমানে মুঠোভরা মৃত্যুভয়। জননেতা আর আমজনতার সূচের ডগায় সময়- দুঃসময়ের কড়চা। মনে রাখার ইতিহাস  উইপোকাদের মহোৎসব। কালবেলার গায়ে চাপিয়ে দিই মুখরোচক শব্দের আলোয়ান। বিলাসী শয্যায় ঘুম কিনে ঘুম দিই। ব্যক্তিত্ব কে ফুটিয়ে তুলি দামী সেন্ট  স্প্রে করি। চলনে মননে শয্যায় ভালবাসাহীন সঙ্গম করে খিদে মুছি স্নান ঘরে চেনা মুখে অচেনার কালো ছায়া। কথার মুখে কথা সেলাই করে হুকুম। টাকার বখরায় রাজপ্রাসাদ আকাশ ছোঁয়, থার্ড ডিভিশনের ছেলে বিদেশে ডাক্তারি পড়ে, চার পাঁচটা উপবউ, বুকে চাপ্পড় মারে পরিচয় প্রতিলিপি, বগলে সুড়সুড়ি দেয় সুসময়। ঘড়ির কাঁটা অন্ধকারেও হাঁটে তার কালোও যা ধোলো তা। ''---- আঁধার রজনী আসিবে এখনি মেলিয়া পাখা, সন্ধ্যা আকাশে স্বর্ন আলোক পড়িবে ঢাকা"— এ কবির আক্ষেপ নয়-- সব আর্তজনের আক্ষেপ। মহামানব কী আসবেন!? কিন্তু জমানো বীর্যে বালখিল্যপনা। খোকা কর্পোরেট সেক্টরের বড় অফিসার! মা কে মনে নেই, মনে নেই কোন স্মৃতি! হাজার ওয়াটের আলোর ও মৃত্যু হয় অমোঘ সত্য অবুঝ মন শুধু বিনি সূতোর মালা গাঁথে। সকালের ফুলও জানে না দেবতার থান না শ্মশানে যাবে বড় দুঃসময় যে! অক্ষরের প্রদীপ জ্বেলে অক্ষর সেবিকা বেঁধে বেঁধে থাকি, পাপ বা অভিশাপ সব দূরস্ত হোক! 




















✍🏾✍🏾এই বিভাগে আপনিও আপনার মৌলিক ও অপ্রকাশিত লেখা আজই পাঠিয়েদিন। আপনার এই সৃজন সম্মানের সাথে প্রকাশিত হবে। 👇🏾👇🏾

✍🏾   ankurishapatrika@gmail.com
  

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন