শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০

নির্বাচিত ছড়াগুচ্ছ।। রাসেল খান



আমায় ডাকে 

রোদের ডানায় স্বপ্ন আমার
গুমরে কাঁদে মা
চারদেয়ালের বন্দি জীবন 
ভালো লাগে না। 

আমায় ডাকে দূরের আকাশ 
ফুড়ফুড়ে অই শীতল বাতাস 
আয় রে খোকা আয় - 
খোলা মাঠের দস্যিপনা 
ঘাসের ডগায় শিশিরকণা 
ডাকে ইশারায়। 

তেপান্তরের বাঁকে বাঁকে 
দোয়েল ডাকে পাতার ফাঁকে 
কই রে খোকা কই?  
লতাপাতায় ফড়িং নাচে 
চুপিচুপি ডাকে কাছে 
ক্যামনে ঘরে রই!







পুতুল বিয়ে 

আজ‌কে খুকুর পুতুল বিয়ে
কী খুশি হইচই, 
আয় রে মিনা, আয় রে টিনা
কই রে তোরা কই?

মুকুট পরে পালকি চড়ে
বর এসেছে বর, 
ঢোলক বাজা সানাই বাজা 
বা‌ড়ি ম‌নোহর।

বেনারসি শাড়ি পরে 
ঘোমটা দিয়ে মুখ, 
পুতুল যাবে শ্বশুর বাড়ি 
লাল রঙে টুকটুক।





পড়া আর পড়া 

কোমলমতি ছোট্ট শিশুর
কাঁধে বইয়ের ব্যাগ, 
মন বসে না পড়ার টেবিল 
কখন জানি ত্যাগ। 

ইচ্ছেটাকে হয় না জানা 
বইয়ে রাখে ডুব,
ফুল পাখিরা অচেনা তাই 
অবাক করে খুব। 

শরীর থেকে অনেক ভারী 
পাহাড় সমান বই, 
সবুজ শ্যামল মাটির কথা 
জানার সময় কই?

মেঠো পথের গন্ধ সোঁদা 
পাকা ধানের ঘ্রাণ, 
হয় না শোনা পড়ার চাপে 
নদীর কলতান।



একটি ছেলে 

টুঙ্গিপাড়ার একটি ছেলে
দেশকে ভালোবেসে, 
নিজের খুশি ভালো লাগা 
বিলিয়ে দেয় শেষে। 

এই মাটি, মা আপন করে 
স্বপ্ন আঁকে বুকে, 
হার মানেনি হয়নি পিছু 
শত বাধা দুখে।

জেল জুলুমে যায় নি থেমে 
ঘুম দিয়েছে ছুটি, 
অত্যাচারের লাগাম টানে 
সাহসী হাত দুটি।

এই ছেলেটি সবার প্রিয় 
ভালোবাসে কে না!
শেখ মুজিবুর, শেখ মুজিবুর
বিশ্ব মাঝে চেনা।



স্বাধীনতা

স্বাধীনতার পরশে আজ
ইচ্ছে ওড়াউড়ি, 
মায়ের বুকে শান্তিতে ঘুম 
নেইকো সুখের জুড়ি। 

মেঠোপথের গন্ধ সোঁদা 
গায়ে মাখামাখি, 
পাখির ঠোঁটে গানের সুরে
অবাক হয়ে থাকি।

গাছের পাতা ঝিরিঝিরি 
দোল দিয়ে যায় মনে, 
হারিয়ে যাই সুবাস ভরা
ফুলের বনে বনে।

স্নিগ্ধ ছোঁয়া আবেশ ছড়ায় 
কোমল দূর্বা ঘাসে, 
সবুজ শ্যামল রূপে আমার 
প্রাণ জুড়িয়ে আসে।









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন