মুক্তি
যে কখনো আকাশ দেখেনি -
মাটির গভীরে তারও দীপিত জগৎ
পাতাল রেলের মতো সে এক স্টেশন ।
জন্মবীজ খুঁজে নেয় জল
হয়তোবা রাবণ লতার মতো - অস্থায়ী জঠরে।
বেওয়ারিশ । তবুও কি বেজন্মা বলা যেতে পারে!
আমৃত্যু আকাশ খোঁজা
আদ্যপ্রান্ত রৌদ্র তাপে স্নান
এ শুধুই মুক্তি নেশা - লতানো জীবনে অম্লান।
ছায়া যুদ্ধ -
ছায়াযুদ্ধ শেষ হোক আবির বাতাসে
হে বৃক্ষ এসো - গণতন্ত্রে এসো
মিছিলে সামিল হলে কিবা যায় আসে !
সন্ধিক্ষণ
বুক ফুলিয়ে ছুটে যায় যে নদী
তাকেও ফেলতে হয় শ্বাস এক সময়
হয়তোবা শতাব্দীর মতো চল্লিশ প্রকোষ্ঠে
যে বুকে ধুক্ পুক্ নেই - কুয়াশা পাহাড় নেই দ্বিতীয় তৃতীয় পর্বে শুধুই সমুদ্র সুখ
তাকেও ফেলতে হয় শ্বাস।
মোহনার পাশে তুমি দাঁড়াও তীর্থযাত্রী
দেখে নাও নদীটির শ্বাসে এর পতন ।
এ সময় সূর্যের সবটুকু আলো যেন
ঠিক ধূসর পৃথিবী
সে পৃথিবীর প্রতিটা সূর্য ঠিক বিমূর্ত মানুষ ।
দরজা
পরিকল্পিত ঘুম আসেনা এখন
মধ্যবিত্ত দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে থাকে অপেক্ষার আড়াল সরিয়ে মুখোমুখি হলে
সাড়ে তিন ফুট ফ্রেমে একটা পৃথিবীর তৈলচিত্র সুতো বাঁধা বেলুনের মতো দোল দোল।
গাঢ় শেওলা পলেস্তারা
আকাশ নেই তবু ক্যানভাস
হলুদ সিলিং
হে আমার রাত্রি -
দেখেছি তোমার দেয়াল
বেগুনি সুড়ঙ্গপথে
ভেসে থাকা পৌরাণিক গন্ধ
আশাহত মিথ
নিবিড় বয়স্ক স্বপ্ন
ঘোরে । ঘোরপাক খায়।
সংজ্ঞাহীন
আটচল্লিশ ঘন্টার কোমায় আচ্ছন্ন আমার একান্ত চেতনা
চক্রাকারে ব্যাধিগুলি সপ্তরথীর মতো,
ক্ষমতার নীতিহীন আগ্রাসন
অত্যন্ত সক্রিয় ক্যান্সারের চেয়েও
ধ্বংস করছে আমার চেতনা শরীর।
যে জানালায় ছুঁড়ে ফেলি মুখের নির্গত লালা, ফিরে আসে বিরুদ্ধ বাতাসে।
অসহায় প্রাণ অবচেতনে কামনা করে -
হে আমার ঈশ্বর ! আমার দখিনা বাতাস !
যদি কখনো ফেরাও চেতনা
ভিসুভিয়াস করো একটিবার অন্তত।
আধুনিক জানালা
নিকষ অন্ধকারে ডুবে গেল আকাশমনি গাছটা সূর্য ডোবেনি তখনও
নিভে গেল পৃথিবীর সবটুকু আলো
নিখুঁত লক্ষ্যভেদে ঝড়ের ভেতর দিয়েও
এভাবেই ফেরা যায় আদিম সভ্যতায় ।
সভ্যতার শেষ কথা মানুষই তো বলে।
সম্পর্ক শেকড় তুলে পুতেঁ দিই চলো
পাললিক শিলা
মাটির গভীরে
সগর্বে ঘোষণা করি প্রকল্প সকাল ।
এভাবে বিকেল হলে
আধুনিক জানালার পাশে বসে
ভীষণ কামনা করি আদিম বাতাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন