মেঘনা পাড়ের ছেলে
অর্ণব আশিক
মেঘনা পারের ছেলে আমি
জলের সাথেই বাস
সকাল দুপুর সাঁতার কাটি
যেন বালি হাস।
উথাল নদী জোয়ার ভাটা
দুকূল ভাসায় জল
এপার ভাঙে ওপার গড়ে
এই তো নদীর ছল।
ফুঁসে উঠে নদীর জোয়ার
উছলে উঠে জল
বালুচরে আছড়ে পড়ে
ঢেউ ছলাৎ ছল।
মেঘনা আমার সব নিয়েছে
বাপের ভিটে, চাষের জমি সব
হৃদয়ে আমার মেঘনা তবু
সুখের কলরব।
পার্থ সারথি চক্রবর্তী
আকাশ চোখে স্বপ্ন দেখি, জীবন জয়ের গানে;
কাটবে মেঘের কালো কুয়াশা, প্রাণের কলতানে।
স্বপ্নে আছে নতুন বিশ্বাস, বিশ্বাসে সুখের বাতাস;
ভালোবাসার আজ বৃষ্টি হোক, ধুয়ে যাক দীর্ঘশ্বাস।
আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখি,কালের অন্ধকারে;
জেগে থাকুক সব স্নেহাশীস,মন ও প্রাণ জুড়ে ।
চেতনা থাকুক গগনচুম্বী, জয়ী হোক ভালোবাসা;
সময়ের ক্ষেত ভরুক ফসলে,বেঁচে থাক সব আশা।
নীল আকাশের নিচে কান পেতে শুনি পাখিদের কনসার্ট,
কালের অমানিশা কাটিয়ে, সামিয়ানা জুড়ে জোৎস্নার রাজপাট।
নদীর স্রোতের মূর্ছনায় বেজে ওঠে জলতরঙ্গের সুর,
মাটি স্পর্শের তৃষ্ণা বুকে, অনন্ত আকাশ যায় বহুদূর ।
ক্লান্ত রাতের শেষে, ভোরের সূর্য হাসে অবিরত,
জাগে আকাশ, হাসে বাতাস, ফুল ফোটে শতশত।
জগদীশ মন্ডল
কাঁথার কোলে ঘুমে তখন মায়ের ডাক কানে
ধড়ফড়িয়ে লাফিয়ে বসি বাবার হেঁচকা টানে
জামা প্যান্ট পরায় বাবা ব্রাশ করায় মা
জেলি,রুটি থাকনা এখন কমপ্লানটা খা।
মায়ের কিছু হয়না খাওয়া জুতোয় পা ঢাকে
বলতে থাকে তাড়াতাড়ি নে রিকশা কাকু ডাকে
মায়ের কাঁধে বইয়ের ব্যাগ ঢুলতে থাকি আমি
স্কুল গেটে থামলে গাড়ি মিসের হাঁকে নামি।
স্কুলেতে লাগে ভালো বন্ধু অনেক পাই
তবু যেন চোখ জুড়ে যায় তুলতে থাকি হাই
ক্লাসে মিসটি বকে আমার আবার টানে কান
যুগের তালে ভাসতে থাকি নেই যে অবসান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন