স্পেডের বিবির হাত বদল
আমার বৃদ্ধ আঙুলটি কীভাবে ভুলবে ১ ফর্মার একাকীত্ব, তার সাথে
আমাকে কোথায় কোথায় নিয়ে চলেছে চোখের ভাষা,
আঙুলের ছাপের দুরভিসন্ধি স্নানে ধুয়ে, আ-সমুদ্র পৌঁছে গ্যাছে,
এখন
বন্দিশে বসেছে আইনস্টাইন এবং তালাত মামুদ। ওদের মধ্যে রিলেটিভিটি ঘ্রাণেন্দ্রিয় হয়ে বারান্দায় হেঁটে চলেছে
বনজ সম্পদ
লাইজল স্বচ্ছতা
সবাই রাস্তায় নেমেছে। তা বলে ওদের বিদ্যোজন বলা যাবে না।
কারণ এনাদের একটা স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে, যেখানে ম্যামালস্ রাও জবকার্ড রূপান্তর করে সরীসৃপ হয়ে যায়
ছড়িয়ে পড়া রসায়নে ৩০ দিনের সংযোগ ডিসট্যান্স—
কিন্তু ওই বুড়ো আঙুলটির ডগাতেই
স্কোয়ামাসঅ
স্পেডের বিবির হাত বদল
সবই গণতন্ত্রভুক্ত করেছেন, এবং
চোখের ভলিউম কমিয়ে ই-মেল করা হচ্ছে। দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী,
পাশেই চুপসানো মুখের ওপর মাস্কের হাসি —
মশারির কোনায় বাসাবাঁধা পৃথিবীর অবয়ব
আজকাল আচরণে সমান্তরাল মৃত্যুকালীন স্পিনগতি—
পা টিপে টিপে উঠছে গলার আওয়াজ। যদিও ভোলাককর্ডের উপর অনেকের রাগ, তবুও লক্ষ্য করছি দখলকরা সাবজেক্ট আর আমার জামার কলার,
আমাকে ব্রুটালিয়ভাবে ঠকাচ্ছিল।
আমি জনতাকার্ফুর আওতায় ১৪ ঘন্টা ভার্জিনিটি মেইনটেইন করছি
উইথ শব্দ, অক্ষরধ্বনি এবং ভাবের হ্যালুসিনেশনে———
উইথ আউট সিগারেট, বিষন্ন ভাড়াঘর আর ঘায়েল লঘুমস্তিষ্কের স্নায়বিকতায়_____
আমি ঘোষণা করছি ১টি ঘটমান অববাহিকার বর্তমান গল্পের তথ্য, সন্ধ্যার প্ররোচনা এবং
প্রতিবিম্বেও যৌনতা
কাগজে শব্দগুলো বিবস্ত্র | ঈশান দিকের স্নানঘরে আমাজন নদীটি গড়িয়ে পড়ছে | এটি ১টি নিতান্তই বর্ণনা |
বিশেষণে ঘুমিয়ে পড়েছে সদ্য ফুটে ওঠা পরমায়ু |
খালি গায়ের প্রতিবিম্ব দেখেছি | ওই শব্দ আর আয়না সাংকেতিক আকাশ ভেঙে পড়েছে |
যৌনতার রদবদল খোঁজে লিপিবদ্ধ বালিশ |
ওখানে সালোয়ার পরা মেয়েটির গনগনে আঁচ | এই লাইনের সব শব্দই কেমন ডাগরডোগর | নিজেকে মহিম ঘোষাল চরিত্রে দেখছি।
সংগঠিত শব্দদোষ থেকে গনতন্ত্রের দাবী |
পাশে শিবরঞ্জনী রাগ | পকেটের নক্সা নিয়ে পরিসর বরাবর হেঁটে চলেছে পালটে যাওয়া প্রতিচ্ছবিগুলো |
হাতে একগ্লাস টাকিলার সন্ধ্যে |
বাথরুমটাও ফাঁকা। মনে হচ্ছে বদমেজাজি মেঝের বুকের উপর স্ট্রীপ টিজ নাচি।
ফেলে রাখা অন্তর্বাসে লোমমুক্ত হাইফেন দীর্ঘবাসনায় |
সন্ধ্যের কবিতায় ওই মেয়েটির নাম লিখবো ক্যাটফিসের গায়ে | অনেক শালীনতার বেমানান বাক্য-সভা করলাম |
প্রবীণতম পরিধির
আপাতুত মুলতুবি করলাম সনির্বন্ধ অনুরোধ
প্রজাপতির রং
আর
মকররাশি মিশে যাওয়া অভিধানের পাতা-বিন্যাস |
কুয়াশা দুপুর মকর ছায়া নিয়ে আস্তে আস্তে সন্ধ্যাচ্ছন্নতায়
ঢলছে —
নদী বন্দনা সূর্য হয়ে বইছে ক্রমশ পশ্চিমে |
আমার বয়সী কান্না কোথায়, রাখি?
পা-ঝোলান ক্লান্ত কুসুম রোদের উত্তাপ সম্মিলিত হচ্ছে প্রবীণতম পরিধির কেন্দ্রবিন্দুতে।
আরো একটু পথ-অবরোধ আর বিবস্ত্র হোক কিশোরী জলবায়ু-
আমি নাস্তিক নাম নিয়েছি | আমার শরীরে এখন শুধু বাষ্পজল বুদবুদ হয়ে সামিয়ানা টাঙায়—
তুমি পতাকা হয়ে এসো, আমি ঝাপস হয়ে দেখবো...
মৌসুমী বায়ু একমাত্র পশ্চিমমনা নয়
২টো জোড় সংখ্যার পেছনে যারা আড়ি পাতছেন, তারা শাস্ত্রানুযায়ী নিচে নামছেন, এতো টানাপোড়েন। তবুও -
অধঃপতন ঘটছে বাতাসের সাথে পশ্চিমী সূর্যের।
পশ্চিম বলতে শুধুই হাওয়া বদল নয়,তার সাথে বিজোড় সংখ্যার যোগফলের গতিবিধি আমাদের পছন্দের ভিতর থিক থিক করে জমছে -
অথচ দেখুন মৌসুমী বায়ু একমাত্র পশ্চিমমনা নয় কিছুটা ডানপন্থীও হতে পারে ; যদিও তা সাদা খাদি বা অনাহাসিই প্রমাণ হিসেবে বিবেচ্য নয়,
তবুও আবহাওয়ার আগের আভাসে শিলার এক্সক্লুসিভ যাও নীর কথা ফোরকাস্ট করলো। অথচ বারান্দা টপকে বৃষ্টি হলো। শিলাও ছিলো । কিন্তু সেখানে তার কোন মেয়েবেলা, যৌবন এবং কোন বনাঞ্চল ছিলো না।
এবার ২টো বিজোড় সংখ্যা থেকে ১টি জোড় সংখ্যার অন্তর তৈরি হচ্ছে, আর
পশ্চিমী মন আস্তে আস্তে বাইকের প্রতিকুলে
১টি অরাজনৈতিক স্টালিনসন্ধ্যার দিকে শব্দ, ধ্বনি, বাক্য হয়ে ঘুম, গাঢ় ঘুম এবং তারপর...
অপ্রকাশিত গদ্য ও পদ্য পাঠান
মতামত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন