ভগীরথ সর্দার
নীল শূন্যতা
ভোরের ঠাণ্ডা পুকুরের জল দিয়ে ধোয়া তুলসীমঞ্চ
দূর্বা, ফুল, দু'ফোঁটা গঙ্গা জল পবিত্র...
সামান্য বাতাসে ভেসে ওঠে নীল শূন্যতা
প্রার্থনা একটু দূরত্ব কমায় বলে,
ভেসে উঠি
কী আশ্চর্য,
নতুন করে আমি আর ঢেউ চাই না
অথচ ঢেউ ভেঙে ভেঙে
পাথর হয়ে ওঠে বুক ৷
শর্ত শুধু একটাই
পাঠক,
তোমাকে লুকোনো শোক, বৃষ্টি, শিকল,
আলোর পিছুটান, ঘরোয়া ব্যথা, বেয়াদপ অভিমান
দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাই ৷
তাতে আমার কোনো লাভ হবে না জেনেও
বৃথা বসে থাকি বেহালার তারে হাত রেখে৷
গান আসেনি যেমন ছায়ারা সহজে আসে
কিংবা যখন তারারা জাপটে ধরে রাতের কোমর
শর্ত তখন একটাই থাকে
ফুলের মতো ঝরে যেতে হবে স্বার্থ ছাড়া
এবার পাঠক তুমি বলো,
স্বার্থ ছাড়া কাউকে কোনোদিন ঝরে যেতে দেখেছো !
কিছুটা নিবিড় হব বলে
অভিনয় মুছে ফেলার মুহূর্তটুকু নিয়ে
কি অসম্ভব রূপকথা সাজিয়ে তুলছে পথ
চারিদিকে যতটা সম্ভব চওড়া হয়ে থাকে আবেগ
অন্ধ হয়ে যাবার মতো কোনো লণ্ঠনকাণ্ড ঘটেনি ৷
তাই
সোনালি আলোর ছায়া খুঁজে
স্নানের আগে নমঃ করি জল
ঢেউ ৷
আঘাতেও উপমা টেনে আনি
শুধু কিছুটা নিবিড়মহব বলে মুখস্ত করি
আগুন নেভানোর মন্ত্র ৷
অন্তত অশ্রু দাও
দুঃখী মানুষের কাছে গিয়ে আঁচল পাতি৷
যাতে আমি খালি হাতে না ফিরি
তাই অন্ন জল না হলেও
দু' এক ফোঁটা অশ্রু অন্তত দাও ঈশ্বর ৷
এই পুনশ্চে লেখা
১
দ্যাখো, এই পথের শেষে দরজা
শিকের ফাঁক দিয়ে আলো নেভানোর শব্দ এলো
তার পরাগ যখন আপনার হোলির মধ্যে যায়
সে কৃষ্ণ কিংবা একাকী একটা গাছ হয়ে যায়
দমকা হাওয়ায় দুলে দুলে ওঠে ৷
২
প্রায়শ্চিত্ত বোঝোনি যখন,
শপথ একারও নয়
এই পুনশ্চ লেখো
আশ্চর্য হরি সভায় ৷
আপনার অপ্রকাশিত লেখা গদ্য ও পদ্য পাঠান
আপনার অভিমত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
ভালো লাগল ভাই । অভিনন্দন।
উত্তরমুছুনবেশ ভালো লাগলো ��এভাবে লিখে যাও। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ������ রইলো ।
উত্তরমুছুন