প্রতিবেশী
নিত্য অশান্তি ঝরাপাতার জন্য। পাশের বাড়ির ছাদে পাতা পড়ে জল জমছে। ডাল ছাঁটা হলো। গাছের ব্যাথা মাধুরীর ও ব্যথা । ওরা লুকিয়ে সুমিষ্ট ফল কুড়োয় শুধু পাতার বেলা-----
মাধুরী চোখের জল মোছেন।
হঠাৎ আমফান ঝড় ধেয়ে এলো। চলছে তান্ডব। ঝড়ের আঘাতে একসময় শিকড় উপড়ে শুয়ে পড়ল ফলন্ত আম্রপালী।
অলংকরণ- বিমল মণ্ডল
ব্যাঞ্জনবর্ণা
গৌর—নিতাই। অ আর আ। ওরা একসূতো। অ অনেক দিন লিখছেন কবিতা । খুব নাম যশ তাঁর। আ এলেন লিখলেন,জয় করলেন। এখন সরকারী সঞ্চালক । নামী শিল্পীদের সঙ্গেওঠা বসা। নবাগতা ‘ক’সুন্দরীর সাথে আ প্লাস। কিছু দিন পর,অ দেখেন ব্যাঞ্জনবর্ণা মঞ্চে।
অনুস্টান শেষে দুজনের হাসি মুখ সেলফী। মাইনাস অ হলে অন্ধকারে।
বলি
বিজন্যাস ম্যান সুজয় তাঁর প্রাসাদে থাকেন সপরিবারে। তাঁর বাড়ির কালি পুজো,বলি সব বন্ধ।
কলেজ পালানো মেয়েএখন গৃহবন্দী। ডিপ্রেশড।
একদিন বাজল বিয়ের সানাই লক্ষ লক্ষ টাকার আনন্দ ভোজনউৎসব।
কনকাঞ্জলী। কান্নার সমুদ্র মায়ের বুকে।
খবর। দ্বিরাগমনের দিন আলোর প্রাসাদে অন্ধকার ।
আন্দামানের সমুদ্রপাড়ে শুয়ে আছে একফালি জ্যোস্না।
অলংকরণ- প্রদীপ কুমার রায়
মই
আমাদের কবিতাযাপন,বন্ধুত্ব। মুম্বাই প্রবাসী বন্ধু কে সাহিত্য অঙ্গনের দ্বার খুলে দিলাম। ভাবলাম এতোদিনে ঠিকঠাক বন্ধু পেলাম। দুই সংগঠকের সঙ্গে আলাপে বন্ধু গদগদ। সাহিত্য সন্মেলনে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া আনন্দ । স্মার্ট ফোনে নম্বর লেখালেখি।
গভীর রাতেও দেখি অনলাইন।
হতাশ আমি। দিন গুনি। প্রতীক্ষায় সময় যায়া।
একমাসের মাথায় বন্ধু বাংলাদেশের আমন্ত্রিত লেখক। --
লকডাউন
শুচিস্মিতা আর বিজন। বৈশাখে ছিল বিয়ের ডেট। চৈত্রে কেনা কাটা সারা। শেষ ওরা মিট করেছিল পনেরোই মার্চ। ওদের বিয়েতে মত ছিলনা একজনের। বিজনের পিসি। দিনরাত গজগজ।
‘কলাগাছে মত লম্বা মেয়ে হাফ প্যান্টুলুন পড়ে। সে এসে এ সংসারে...না না ।
হঠাৎ করোনায় পিসি চলে গেলেন। রেখে গেলেন কালঅশৌচ আর লকডাউন।
অপ্রকাশিত লেখা পাঠান
মতামত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন