সৌরভ ঘোষ
অন্তবর্তীকালীন সময়
ফুলকাঠের লাঠি ধরে
আশায় আশায় পেরিয়েছি জটিল সন্ধেসাঁকো।
আলোর ঝলকানি গুলো সব নিলম্বিত মরীচিকা!
তোমার আঁধার প্রীতি আহা নেশাধরানো পূর্ণিমা...
কম্বলের ছাদে শুয়ে বিড়াল যেমন চেয়ে থাকে
ছায়াদের মৃতদেহ ছুঁয়ে তুমিও তেমন চাও;
চেয়ে থাকো শীর্ণ হতে থাকা বাদামি গুঁড়িগুলোর দিকে।
তোমার নাকের পাটা ফুলে ফুলে ওঠে,
প্রশ্বাসের রেশারেশি যেন ভয়জাগানো মাগফিরাত...
নিয়ত বিপ্লব এঁঁকে চলে গুঁড়িগুলোর বাষ্পীয় রস,
সীমানা জ্বালিয়ে তারা বুনে দিতে চায় সহস্র না-মরা বীজ।
ভ্রু'র নীচে থেকে শুরু হয়ে
একদিন জঙ্গলে ভরে উঠবে তোমার ভারী শরীর...
প্রক্রিয়া সক্রিয় থাকবে,
বিনম্র সুর
চালডাল ডানা, মেলে ধরলে
ধেয়ে আসে অদৃশ্য সম্রাট (হাওয়া)
ফুটে ওঠে জুঁই গন্ধরাজ
হাঁটু মুড়ে নিলে, নষ্ট ডানা
মুঠোয় রাখা বালির মত গলে যায় মজুত রসদ
অবশিষ্ট সমৃদ্ধ সাম্রাজ্য তোমাকেই লিখে দেব
খবর পাঠিও জমকালো জাহাজ ফিরলে
প্রতিদান
দুরাবস্থার দিনে যে নিজের ভেবেছো
তাতেই আমার সাতশো বর্গফুট সুখ
তোমার গোপন হাজিরার বিনিময়ে
লকডাউনে চাল আলু, দরজা খোলা সিঁড়ি হতে রাজি
ভঙ্গিল ভিখারি তবু শপথের মূল্য বুঝি...
আত্ম বিচরণ
লিথোগ্রাফি তাপের ঝিরিঝিরি ঝর্ণায় একসময় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠি...
যখন হাওয়াইয়ান গিটারে সোলো বাজে গোপন রাত পাশ কাটিয়ে আসে চাহিদার সূত্র;
খুব সামান্য সাজগোজ -শিরাবরন ফিতের সাথে ওড়ে তার রেশমি চুল
বাইফোকাল চশমা খুললে চোখ ভরা চাঁদ...
প্রতিকূলে যে
বিনিদ্র কুয়াশা আগে ছিল
আজও স্থাবর, হজ
সংক্রামক ব্যাধিগুলো
আগের মতই হজরত
আগে যা যা ছিল সব, সব কিছু;
গিরিপথের নিশিযাপন বা মায়ের শ্বাসকষ্টের মত
অনাক্রম্যতা হীন এ বুক আঁকড়ে,চির শূণ্য তাই
শূণ্যে শূণ্যে ভরা এই নস্বর আধার...
কেবলমাত্র তুমি মিটমিট দূরত্বে থেকেও
নিরাপদ শূণ্য ছেড়ে
ক্রমাগত এগিয়ে চলেছ;
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন