মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০

অল্প স্বল্প গল্প





 যন্ত্র

সুনামের সঙ্গে কাজ করলেও শেষদিকে সুভাষের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন বসে। টাকাপয়সার ব্যাপার কিছু  নয়, দায়িত্বে থাকা একটা পুরনো টাইপ রাইটারের  খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে। 
সরকারি দপ্তর বলেই অচল যন্ত্রটা নিয়ে চার্জশিট মিটিং চললো।  কিন্তু খোঁজ মিলল না। 
সুভাষের ঘরে অভ্যস্ত  সে নিজের মনে লিখে চলছে হারানো সব কথাবার্তা ।



  কে
একটা ছায়ামূর্তির দেখা পেত পিনাকিবাবু, চেহারা  বুঝতে পারতো না।  ভাবতো, মৃত কোনও আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব?  সের'ম ঘনিষ্ঠ কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু তো হয়নি ! 
কোনও কথা ছবি বা শব্দ নয়... শুধু একটা সুর। সে এলে মাথার মধ্যে সেটাই বাজতো । অথচ সুরটাও চেনা নয়। 
শেষদিনে সেই ছায়াটা মিশে গেল  শরীরে, রজনীগন্ধা হয়ে।



  
  আসা

জানলা থেকে বাগান দেখা যায়, সেখানে ভাঙাচোরা কতগুলো শিবমন্দির। অমিতার মনে ভরে ওঠে রূপকথা। 
রাত্তিরে একা বসে মনে হয় তার জন্যে এসেছে রাজপুত্র সাদা ঘোড়ায় চড়ে। শিবমন্দিরে  জমা অনেক যুগের বেলপাতার স্তুপ সরিয়ে খুঁজে নিয়েছে পথ। ক্রমে ভিজে ওঠে যুবতী বয়স ।  
সে এল, সাদা শববাহী গাড়ি চলিয়ে। ততক্ষনে ঘুমিয়েছে অমিতা। 



  
  দড়ি
কোথা থেকে যে কী হয়ে যায়... সুস্থ সবল লোকটা ! 
ভালমানুষের মতো মুখে সুবীর  আগের দিন কী যেন দরকার বলে একগাছা কাতা দড়ি নিয়ে গেছিল মুখুজ্জেবাবুর কাছ থেকে । বুড়োমানুষ এতো তলিয়ে ভাবেনি। 
যখন খবর পেলেন ,  আর কিছু করার নেই । সুবীরের কিশোর ছেলেটার 'সবাই এসো... বাবা গলায়'।
পরদিন সব জায়গায় সুশান্ত সিংয়ের খবর।  



  

  অবসর

নালা থেকে মাছটা ছিটকে এসেছিল রাস্তায় । বাতাসপুরের ফাঁকা রাস্তা, সুজনের চোখে পড়ে । খেলাচ্ছলে হাতে নিয়েছিল ছটফটে মাছটাকে ।
মুহূর্তের মধ্যে কী যেন হয়ে গেল । কল্পনার মতো জীবন বইলো... কলকাতা দিল্লি হয়ে নিউইয়র্কে কাটিয়ে চারদশক পর টাউনে ফিরেছে সুজন ।
বর্ষার জলে রূপালি মাছটাকে সাঁতরাতে দেখলো, সাথে ছানাপোনা।
সুজনের মাথার চুলেও রূপালি ঝিলিক ।  



      যেকোনো বিভাগে অপ্রকাশিত লেখা পাঠান
মতামত জানান
            bimalmondalpoet@gmail. com        

1 টি মন্তব্য: