মহাকাব্যিক
কি আর চাইতে পারি , বলো ?
শব্দভেদী তীর নিক্ষেপ করার আগে নৃপতি কি ভেবেছিলো
অভিশাপ বিয়োগের প্রতিক্রিয়া মাত্র।
অথচ শেষের শুরু এরকমই অপ্রত্যাশিত।
অন্ধকারে চোখ বেঁধে কি জেনেছিলো গান্ধারী ?
আসন্ন যুদ্ধে হিংসার পরাজয় সুনিশ্চিত।
তবু দুর্যোধনেরা চিরদিন অহংকার বাজি রাখে
ভাঙনের আগে।
আমি দুই মহাকাব্যের দুর্বল সময়গুলি জেনেও
চাইছি ওষ্ঠের স্পর্শে
শ্রেষ্ঠরমণী হোক সলাজ বৃষ্টিবিন্দু।
নির্জনবর্ণ
নির্জনবর্ণ মন ঋণ করি।
প্রবাসী ও ঋণী
আমার হলোনা গৃহসুখ।
কেবল ফেরি করি
এবেলা ও বেলার রোদ।
তুচ্ছ নয় কেউ
সপ্তপর্ণী হতে পারে চক্ষু পল্লব
তোমার গ্রন্থনা শুনি
পূর্ণ সভগৃহে।
আমাকে ঋণী রাখো
অপ্রেমে থাক তুচ্ছ ভ্রান্তি গুলি
দ্যাখো , উন্মোচন কাল
লিপি ও প্রস্তর।
স্পর্শ দাও একবার
সব ধ্বনি প্রতিধ্বনিময় বলেছিলো কেউ
ওম খুঁজি নাভিমূলে
পরান্মুখ মনে বাড়ে ঋণ।
দূরতম
কে কার ছায়ায় বসে
কে বলেছে হিমবন্ত স্মৃতি আসলে ব্যর্থতাবোধ।
ঘূর্ণি হাওয়ায় ওড়ে চূর্ণ কুন্তল
রূপ হলো দূরতম দ্বীপ।
দর্পনের প্রতিভাস বলে কিছু নেই
ঝড়ের সংকেত ফেরি করে আবহ দপ্তর।
দিঘির উঠোনে হওয়া স্বেচ্ছাচারী
বাহুর ওপর কাটা দাগ প্রতিষেধকের স্মৃতি।
কবিতা কি অনুসঙ্গময় ?
তর্ক হতে পারে অন্ধকার ছাদে গ্রীষ্ম সন্ধ্যায়।
ফেরারী বৃষ্টির খোঁজে তোলপাড় সৌরমণ্ডল
ঘুমোতে যাওয়ার আগে শাওয়ারের নিচে নিরাবরণ পরী।
সব স্মৃতি উপাখ্যানময়
স্থূলতা থেকে দূরে রাখি সমস্ত সংলাপ।
দেখা ও না দেখার মধ্যে অনুভবগুলি
অরণ্য পথের মতো রহস্যময়।
নদী জীবন
পা ছুঁয়ে বললাম আপনাকে প্রণাম করার ইচ্ছা হলো ,
প্রণত হলো মন।
মনের আগুন নিভিয়ে আপনাকে স্পর্শ করলাম ,
আর্দ্র হলো হৃদয়।
স্থির ও নম্র আবেগে আপনার আঙ্গুল নিলাম আঙুলে ,
ঢেউ মিলিয়ে গেলো জলে।
শান্ত জলে আপনার মুখ প্রতিমার মতো ভাস্মর ,
ধূপের সুগন্ধ এলো বাতাসে।
বইয়ের মতো পড়ি বার বার মুগ্ধ মনোযোগে ,
উন্মোচন হয় এক একটি দিগন্ত।
দিগন্তের রঙ ও বর্ণালী যত্নে গুছিয়ে রাখি কোথাও ,
ছড়িয়ে পড়ে আলো।
অনন্ত অন্বেষা নিয়ে এই যাপন
একটি উৎসের নদী জীবন।
ঈশ্বরীকে নিবেদিত
রাত্রি ন' টায় ঈশ্বরী কবিতা পড়ছেন
কৃষ্ণা বসুর 'রাধিকা সংবাদ'।
তরল আলো গাঢ় হয়েছে যেখানে ঘোলা জলের মতো ঈশ্বরীর পা দুটি ঝুলছে অনাবৃত।
স্বেচ্ছাচারী মেঘে সন্ধ্যায় বৃষ্টি হয়েছে অকস্মাৎ। আবহাওয়ার বৈশাখী আবেগ
কুড়িয়ে পাওয়া আর্দ্র বাতাসে ঈশ্বরীর সমুদ্র রঙ ঘুম ফ্রকের বোতাম দুটি খোলা।
নির্মাণ রেখার উল্টোদিকে বসে আছেন অক্ষর পুরুষ। তাঁর দৃষ্টি নক্ষত্রে
নক্ষত্রে খুঁজছে শূন্যে বিলীন হয়ে যাওয়া জীবনানন্দের অমুদ্ৰিত কবিতার
ধূসর জীবাশ্ম।
ঈশ্বরীর ওষ্ঠে রাধিকার অভিমান কফি রঙের মতো গাঢ়।
ঈশ্বরী নারীবাদী না হলেও নারীর স্বাভিমানে বিশ্বাস করেন।
তাঁর ট্রিমড চুলে রাত্রির বিষন্ন
নিভৃতি ও অন্ধকার।
অক্ষর পুরুষের কণ্ঠে জর্জ বিশ্বাসের ভঙ্গিতে গাওয়া রবীন্দ্রগান।
বাতাসে সুরের কম্পন।
হরিনের জলপানের মতো আওয়াজ হলো কোথাও। ঈশ্বরী জানেন এই সময়টি চা পানের।
অপ্রকাশিত লেখা পাঠান
অভিমত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
Taba tai hok......Kuhn valo ....
উত্তরমুছুন